জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হৃদয়ের পরিবারের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

পটুয়াখালী ও গলাচিপা প্রতিনিধি
পটুয়াখালী ও গলাচিপা প্রতিনিধি
শেয়ার
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হৃদয়ের পরিবারের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
ছবি: কালের কণ্ঠ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আশিকুর রহমান হৃদয়ের পরিবারে পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের যৌতা গ্রামে শহীদ হৃদয়ের পরিবারে খাদ্য সহায়তা নিয়ে ছুটে গেছেন ওই উপজেলার বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা। 

এ সময় তারা হৃদয়ের কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারতে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন শুভসংঘের সদস্য হাফেজ মো. মুদাচ্ছির।

এরপর শুভসংঘের সদস্যরা হৃদয়ের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান এবং হৃদয়ের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন শুভসংঘের উপদেষ্টা ও বাউফল ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওহিদুজ্জামান সুপন, উপদেষ্টা ও বাউফল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান ফিরোজ, উপদেষ্টা ও বাউফল সরকারি কলেজের প্রভাষক এনামুল হক সায়েম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শুভসংঘের সভাপতি মো. মারনুচ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ আরিফ। 

এ সময় আরো  উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘের আবু জাফর, হুমায়ুন কবির রুবেল, ইফাত হোসেন জিসান, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. রিফাত গাজী, জারিন তাসমিন জিনিয়া, মো. জাকির হোসেন, লাবনী আক্তার রেখা, রাকিবুল হাসান, রমেন চন্দ্র দাস, মো. জামাল হোসেন, মো. মামুন, মো. অপু খান ও মাসকসুদুর রহমান বাচ্চু।


স্বাক্ষাৎ শেষে হৃদয়ের বাবা মো. আনসার হাওলাদারের হাতে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু, তেল, লবণসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেন। 

জানা গেছে, অভাবের সংসারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হাওয়ার পর হৃদয়ের আর পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই সংসারের অভাব মেটাতে হৃদয় কিশোর বয়সেই ঢাকায় যায়। ঢাকাতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে বাড়িতে টাকা পাঠাত।

কিন্তু জুলাই বিপ্লবে হৃদয় আন্দোলনে শুরু থেকেই অংশ নেয়। গত ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা হটাও বিপ্লবে যোগ দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তার মাথায় তিনটি গুলি লাগে। প্রথমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের ভয়ে হৃদয় আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নেয়। পরে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর হৃদয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

চিকিৎসকরা তার মাথা থেকে দুইটি গুলি বের করলেও একটি গুলি বের করতে পারেনি। এরপর থেকে প্রায় জ্বর ও মাথা ব্যথা হত। তাই তেমন একটা কাজও করতে পারত না। আহত হৃদয় জুলাই ফাউন্ডেশনের তালিকাভুক্তও ছিল না।

বিল্পব পরর্বতী এভাবেই চলছিল হৃদয়ের দিনকাল। কয়েকদিন আগে হৃদয় বাড়িতে যান। অভাবের সংসারে পরিবারের চাহিদা মেটাতে এলাকায় মাটি কাটার কাজ করতে গিয়ে হৃদয় অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত বুধবার অসুস্থ অবস্থায় হৃদয়কে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। তবে আর্থিক অভাবের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে হৃদয়ের মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভা

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভা
ছবি : কালের কণ্ঠ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বসুন্ধরা শুভসংঘের একঝাঁক তরুণ সদস্য নিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের ভাবনা নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘স্বপ্ন, সাহস আর সৃজনশীলতা—এই তিনে ভর করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে তরুণরাই’ এমন বিশ্বাস থেকেই এ আয়োজন।  

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ৩১৫ নম্বর রুমে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় আলোচকরা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা, বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের ভূমিকার কথা, তরুণদের দক্ষতার উন্নয়নের নানা পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।

কেউ কেউ আবার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন স্বপ্নে দেখান।

জবি শুভসংঘের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখের সভাপতিত্বে ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় আরো অংশ নেন কমিটির বিভিন্ন নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

সভায় শুভসংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর আনজুম বিশ্বাস বলেন, গণ-অভ্যুত্থান আমাদের দেখিয়েছে- বাংলাদেশ এখনো স্বপ্ন দেখতে জানে, জানে ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তুলতে। আমরা যারা এই দেশের ভবিষ্যৎ, সেই তরুণ প্রজন্ম, আজ আমাদের কাঁধে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব।

গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ হবে এক সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র— যেখানে মানুষ কথা বলবে মুক্ত মনে, চিন্তা করবে স্বাধীনভাবে।

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ আব্দুল্লাহ রাদ বলেন, বাংলাদেশ হবে দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন— যেখানে সুযোগ ও সেবার সমান অধিকার পাবে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ। যেখানে শিক্ষার মান হবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের, গবেষণায় আমরা প্রতিযোগিতা করব বিশ্বের সঙ্গে, আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে।

শুভসংঘের সদস্য আবিদা সুলতানা আঁখি বলেন, আমরা চাইলে উদ্যোক্তা হয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি।

চাকরি খুঁজে না বেড়িয়ে, চাকরি দেওয়ার মানুষ হতে পারি। আমরা চাইলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের কৃষককে শহরের বাজারের সঙ্গে যুক্ত করতে পারি, শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে পারি প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

আইনবিষয়ক সম্পাদক সাকেরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে পারি, সচেতনতা বাড়াতে পারি স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে, সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে পারি যেকোনো দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে। তরুণ মানেই স্বপ্ন, সাহস আর সৃজনশীলতা। আমরা যদি আমাদের মেধা, সময় আর প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাই, তবে একদিন বাংলাদেশের কোনো মানুষ আর ‘গরিব’ নামে পরিচিত হবে না।

আরেক শিক্ষার্থী ও নবীন সদস্য রাফিজুল ইসলাম বলেন,  দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের অংশগ্রহণ শুধু নয়, পাশাপাশি দরকার বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষতাসম্পন্ন জ্ঞান। আমরা যদি প্রযুক্তি, যোগাযোগ, উদ্যোক্তা দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণে পারদর্শী না হই— তাহলে আমরা পরিবর্তন আনতে পারব না। কাজেই দরকার বাস্তবমুখী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও উদ্যোগমূলক পরিবেশ। দক্ষ তরুণ মানেই একটি দক্ষ বাংলাদেশ। আর দক্ষ বাংলাদেশই পারবে দারিদ্র্যকে ইতিহাসের পাতায় পাঠিয়ে দিতে।

বক্তব্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখ বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমাদের তরুণসমাজ। এই তরুণরাই পারে আধুনিক, শিক্ষিত ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। তবে তার জন্য প্রয়োজন মানসম্পন্ন শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সুযোগ তৈরি। একজন শিক্ষিত, সচেতন ও দক্ষ তরুণ শুধু নিজের জীবন বদলায় না— সে সমাজকেও বদলায়। দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়া, প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী হওয়া এবং মানবিক নেতৃত্ব দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, আজকের এই সভা আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে। আমরা সবাই মিলে একটি শিক্ষিত, দক্ষ, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব ইনশাআল্লাহ। 
 

মন্তব্য

ফুলপুরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী বসুন্ধরা শুভসংঘ

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
শেয়ার
ফুলপুরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী বসুন্ধরা শুভসংঘ
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ৩০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অংশগ্রহণে হারিয়ে যাওয়া ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ঘুড়ির সৌন্দর্য ও আকাশে নজরকারা দৃশ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ১০ সংগঠনকে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ফুলপুর গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম খেলার মাঠে ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা। এই উৎসবে অংশ নেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, ফুলপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, বন্ধু মহল, ভলান্টিায়ার ফর বাংলাদেশ, গ্রামাউস মডেল একাডেমি, ফুলপুর হেল্প জোনসহ প্রায় ৩০টি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 

জানা যায়, প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
আকাশে আবু সাঈদ-মুগ্ধকে দেখে স্তব্ধ লক্ষাধিক মানুষ

আকাশে আবু সাঈদ-মুগ্ধকে দেখে স্তব্ধ লক্ষাধিক মানুষ

 

ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাট্যমঞ্চ, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা, প্রশাসন চত্বরে বৈশাখী মেলাসহ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিকেলে গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যায় হরেক রকমের ঘুড়ি। বিভিন্ন রঙের ঘুড়ি দেখতে শত শত মানুষের আগমন। যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ।

আকাশের দিকে থাকালেই মনে হয় যেন শত শত পাখি আকাশজুড়ে উড়ছে। ফুলপুর খেলার মাঠে ঘুড়ি প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন ফুলপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পরিতোষ সূত্রধর, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শিহাব উদ্দিন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিষ কর্মকার, ক্রীড়া সংগঠক নজরুল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক নিশিত সরকার মিঠু, ফাতেমা আক্তার, শুভসংঘের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক কবি বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন। বিচারকরা ১০টি সংগঠনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

বিজয়ীরা হলেন এ বি এম আরিফুল ইসলাম, বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, উপজেলা ছাত্রদল, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, ফুলপুর হেল্পজোন। ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ীদের আগামীকাল মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় পুরস্কার দেওয়া হবে। 

বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি জিয়াউর রহমান পান্না বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের ঘুড়ি সবাই প্রশংসা করছেন। এ সংগঠন মানবিক কাজের পাশাপাশি গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ফিরে পেতে কাজ করে সব সময়।’

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ সব সংগঠনের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।

ফুলপুর উপজেলার মানুষের আন্তরিকতায় এ নববর্ষ উপলক্ষে অন্য রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারলাম। দুই দিন ধরে চলবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি।’

মন্তব্য

কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে বর্ষবরণ উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
শেয়ার
কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে বর্ষবরণ উদযাপন
ছবি: কালের কণ্ঠ

‘মুছে যাক গ্লানি, মুছে যাক জরা, অগ্নিস্নানে সূচি হোক ধরা’ কবি গুরুর এই কথাকে সামনে রেখে এবং সকল অশুভকে পেছনে ফেলে সকল শুভকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া শাখার আয়োজনে বাংলা নববর্ষ (১৪৩২) উদযাপিত হয়েছে। আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষ উপলক্ষে পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়। 

আজ সকালে বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ও কুষ্টিয়া জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিকুল হক তারিকের সভাপতিত্বে বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. সরোয়ার মোর্শেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সচেতন নাগরিক কমিটি কুষ্টিয়ার সাবেক সভাপতি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল আলম টুকু ও সাবেক ব্যাংকার শাজাহান আলী।

 

বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শুভসংঘের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পারিশা ইসলাম প্রিয়তা। এ সময় শুভসংঘের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিল প্রামানিক, যুগ্ম সম্পাদক উর্মী ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মসজিদসহ শুভসংঘের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. সরোয়ার মোর্শেদ বলেন, বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে যেমন আমি আনন্দিত, তেমনি একটু বিস্মিতও বটে।

তিনি বলেন, আমরা বাঙালি এবং বাংলাদেশি। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। কিন্তু আমাদের সন্তানরা আজকের এক সপ্তাহ পরে আর বলতে পারবে না সেদিন বাংলা কোন মাসের কয় তারিখ। এটা আমাদের কষ্টের কারণ।
আমরা সেই ঔপনিবেশিক আমলেই আটকে আছি। তিনি ইংরেজি মাসের পরিবর্তে বাংলা মাস হিসেবে সরকারি কর্মীদের বেতন প্রবর্তনের দাবি জানান।

মন্তব্য

পাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা প্রতিনিধি
শেয়ার
পাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

পাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টায় পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বসুন্ধরা শুভসংঘ পাবনা জেলা কমিটির বন্ধুরা বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু করে পাবনা শহীদ চত্বর ঘুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে এসো আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ করেন। 

বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পাবনা জেলা রোভার স্কাউট সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজু, কালের কণ্ঠ পাবনা জেলা প্রতিনিধি প্রবীর সাহা, বসুন্ধরা শুভসংঘের পাবনা জেলা কমিটির উপদেষ্টা মাহবুবুল আলম ফারুক, বসুন্ধরা শুভসংঘের পাবনা সদর উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা ও সাবেক বন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের পাবনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শান্ত, পাবনা সদর উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের দপ্তর সম্পাদক মীর মোহাম্মদ আবু জাফর, বসুন্ধরা শুভসংঘের পাবনা সদর উপজেলা কমিটির সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন, সাজিদ হোসেন প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ