বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের দল ঘোষণা-পরবর্তী প্রশ্ন উঠেছিল— রাজিন সালেহ কেন দলে? নির্বাচকদের তরফ থেকে ব্যাখ্যা ছিল, ‘রাজিন দুর্দান্ত ফিল্ডার।’ দ্বাদশ খেলোয়াড় রাজিন সিলিতে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে সেটি প্রমাণও করেছিলেন। যদিও আদতে তিনি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, শোয়েব আখতারের বাউন্সারের সামনেও যাঁর ব্যাটিং দৃঢ়তার অনুরাগী দেখা গেছে পাকিস্তানের পেশোয়ার-মুলতানেও। তবে রাজিন তো আর বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান নন।
সেই ক্ষিপ্রতা কবে ফিরবে?
সাইদুজ্জামান

আন্তর্জাতিক, এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে কোচিং পেশায় ঢোকার পরও কেউ যদি বলেন, ‘আপনার মতো তো আর কাউকে এখনো দেখা যায়নি’—শুনে গর্ব হওয়াটা স্বাভাবিক। গতকাল সিলেট থেকে টেলিফোন ফুঁড়ে আসা রাজিনের হাসির মৃদু শব্দেও গৌরব মিশে। কিন্তু পাল্টা প্রশ্নেই আক্ষেপে ঢাকা পড়ে রাজিনের কণ্ঠ, ‘আসলেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্যঃসমাপ্ত চট্টগ্রাম টেস্ট এর সর্বশেষ নমুনা। স্লিপ কিংবা সিলিতে ফিল্ডারের পাশ দিয়ে ঠিক কয়টি ক্যাচ গলিয়ে গেছে, সেসবের খতিয়ান বাংলাদেশি বোলার ছাড়া আর কারো পক্ষে রাখা কঠিনই। সংখ্যাটা এত বেশি যে সাধারণ কারো অত সময় নেই ওসব গুনে রাখার।
অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ‘লিড’ নেওয়ার রোমাঞ্চে রাজিনের অবদান ব্যাটসম্যানের ব্যাটের সামনে দাঁড়িয়ে নেওয়া দুটি ক্যাচ, এর একটি আবার ১৮ রান করা শচীন টেন্ডুলকারের। পায়ে-গায়ে বল লেগেছে কত, আবার অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় বল থামিয়ে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন সবার। অথচ চট্টগ্রাম টেস্টে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ইয়াসির আলী আর স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর খুঁটির মতো অবিচল থাকায় দক্ষ ক্লোজ ইন ফিল্ডারের শরীরী ভাষাই চোখে পড়েনি।
অবশ্য ইয়াসির আলীকে দোষ দেওয়াও যায় না।
প্রশ্ন শুনে নীরব রাজিন সালেহ সেই প্রবীণদের মতো, যাঁরা বর্তমান প্রজন্মকে উচ্ছন্নে যেতে দেখে নীরবে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, ‘দেখেন, আমি সিলিতে ফিল্ডিং করতে পছন্দ করতাম। তখন তো অত কোচিং-টোচিংয়ের ব্যাপার ছিল না। একা একা আলাদাভাবে অনুশীলন করতাম। রোলারের ওপর থ্রো ডাউন করিয়ে ক্যাচ নিতাম। কারো নির্দেশে করতাম না। এটা আমার আলাদা রুটিন ছিল, স্রেফ ভালোলাগা থেকে। আসলে এই পজিশনে ফিল্ডিং করতে আপনার রিফ্লেক্স ভালো হতে হবে। সমান জরুরি আগ্রহ। ওখানে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করায় অনেক ঝুঁকি আছে। কিন্তু ভালো লাগত বলেই ঝুঁকি নিয়ে ভাবিনি। ১৬ বছরের ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ার সিলিতে ফিল্ডিং করেই কাটিয়ে দিয়েছি।’
রাজিনের যুগের চেয়েও শারীরিক সামর্থ্য আর ক্ষিপ্রতা বাড়ানোর নানা রকম ড্রিল এসেছে, এসেছেন বিদেশি ফিল্ডিং কোচ, ট্রেনার—কত কী। তবু টেস্ট এলেই ক্লোজ ইন ক্যাচিং নিয়ে যেন চোর-পুলিশ খেলা চলে দলে। মনে হয় ব্যাটসম্যানকে ঘিরে থাকা ফিল্ডারদের বিনা অপরাধে কয়েদ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে কোনো দিন না আবার দল নির্বাচনে ব্যাটসম্যান-বোলারের মতো দক্ষ স্লিপ কিংবা সিলির ফিল্ডার কোটাও রাখতে হয় বাংলাদেশকে! শুনে অভিষেক টেস্টের রোমাঞ্চ মুছে যায় রাজিনের, ‘এই ফরম্যাটে আপনার ভালো ক্লোজ ইন ফিল্ডার লাগবেই। কাউকে জোর করিয়ে এটা করানো যাবে না, তার আগ্রহ থাকতে হবে।’
বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে উইকেটকিপার ছাড়া ক্লোজ ইন ফিল্ডারদের আলাদা ড্রিল করতে দেখা যায় না খুব একটা। তবু খেলা চলাকালে খুব ঘটা করে দেখানো হয় টিভিতে। বছরজুড়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ানো ছাত্র পরীক্ষার আগের রাতে যা করে আর কি!

‘শিয়েরারের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভাঙতে প্রিমিয়ার লিগে ফিরবে কেইন’
ক্রীড়া ডেস্ক

এত দিনে রেকর্ড নিজের করে নিতে পারতেন হ্যারি কেইন। ২০২৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি দেওয়ায় রেকর্ডটা ভাঙা হয়নি ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকারের। তবে একজনের বিশ্বাস, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলের মালিক অ্যালেন শিয়েরারের রেকর্ড ভেঙে দেবেন কেইন।
সেই বিশ্বাসকারী হচ্ছেন টটেনহামের সাবেক কোচ টিম শেরউড।
কেইনের আসা একমাত্র শিয়েরার পছন্দ করবে না বলে মনে করেন শেরউড। তিনি বলেছেন, ‘৩৫-৩৬ বছর বয়স পর্যন্ত কেইন খেলবে, এটা নিশ্চিত। তাই সে অনেক সময় পাবে। আমি শুধু ভাবতে পারি তার ফেরাটা যিনি চান না তিনি হচ্ছেন শিয়েরার।
এখন পর্যন্ত ২৬০ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন শিয়েরার। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কিংবদন্তির পরেই ২১৩ গোল নিয়ে দুইয়ে আছেন কেইন। ৪৭ গোলের ব্যবধান অবশ্য এত দিনে মিলিয়েই যেতে পারত। কেননা বায়ার্নের হয়ে দুই মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৭৭ গোল করেছেন ৩১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। সে যা-ই হোক দুজনের বাইরে আর একজনেরই প্রিমিয়ার লিগে দুই শ গোলের কীর্তি আছে, তিনি হচ্ছেন ওয়েইন রুনি।
মজার ছলে অবশ্য একবার শিয়েরার জানিয়েছেনও, যেকোনো মূল্যে নিজের রেকর্ড রক্ষা করতে চান তিনি। ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার বলেছিলেন, ‘কেইন যদি বায়ার্নে যায়, তাহলে তার গাড়ি চালক হব। প্রিমিয়ার লিগে ২৬০ গোলের রেকর্ডটি রক্ষা করতে যেকোনো কিছু করব। অবশ্য এই মুহূর্তে ২১৩ গোল করেছে কেইন।’

১২ নম্বরে ১৩ রান করে বিশ্বরেকর্ড পাকিস্তানি স্পিনারের
ক্রীড়া ডেস্ক

হ্যামিল্টনে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজ হারানোর ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন সুফিয়ান মুকিম। ১২ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তানের চায়নাম্যান স্পিনার।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১২ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ রান করেছেন মুকিম। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ইনিংসটি খেলেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী স্পিনার।
২০১৯ সালের আগে ১১ জনের খেলায় একজন ব্যাটার ১২ নম্বরে ব্যাটিং করবেন এটা কল্পনাতীত ছিল।
সব মিলিয়ে ক্রিকেট এমন ঘটনা ১০ টি রয়েছে। যার মধ্যে ৭ জন ব্যাটারই ১২ নম্বরে নেমে রানের খাতা খুলতে পারেননি। মুকিম-জহির বাদে আর যিনি এই পজিশনে রান করতে পেরেছেন তিনি হলেন ফজলহক ফারুকি। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অপরাজিত ১ রান করা আফগানিস্তানের বাঁহাতি পেসার আবার ১২ নম্বরে রান পাওয়া প্রথম ব্যাটারও।
আজ ওয়ানডে সিরিজ বাঁচাতে নিউজিল্যান্ডের ২৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কিউই পেসার উইলিয়াম ও’রুকির বলে মাথায় আঘাত পান হারিস রউফ।

রিয়ালকে ফাইনালে তুলেই আদালতে কেন ছুটলেন আনচেলত্তি
ক্রীড়া ডেস্ক

রোমাঞ্চকর ড্রয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে কোপা দেল রের ফাইনালে তুলেই আদালতে ছুটতে হয়েছে কার্লো আনচেলত্তিকে। কর ফাঁকির জালিয়াতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হওয়ায় মাদ্রিদের প্রাদেশিক কোর্টে সাক্ষ্য দিতে ইতালিয়ান কোচকে হাজির হতে হয়েছে।
স্পেনের আদালতকে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আনচেলত্তি জানিয়েছেন, জালিয়াতির কথা কখনোই চিন্তা করেননি তিনি। ইতালিয়ান কোচ বলেছেন, ‘আমার জন্য সব কিছু ঠিক ছিল।
আনচেলত্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রিয়ালের কোচ থাকার সময় বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ কোটি টাকার বেশি কর ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। মূল বেতন থেকে দিলেও ইমেজ স্বত্বর কর দেননি রিয়াল কোচ। এ জন্য ৬৫ বছর বয়সী কোচের শাস্তি ৪ বছর ৯ মাস চেয়েছেন প্রসিকিউটররা। সঙ্গে আদালতের কাছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১ কোটি টাকার বেশি জরিমানার আবেদনও করেন তারা।
শুধু আনচেলত্তি নন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক জনপ্রিয় খেলোয়াড় ও কোচদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা হয়েছে। ২০১৭ সালে বার্সেলোনার সাবেক ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটির বেশি জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান। সে সময় ২১ মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল আর্জেন্টিনার অধিনায়কের। রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও ২০১৯ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪৬ কোটি টাকার বেশি জরিমানা দিতে হয়। এ ছাড়া রিয়ালের সাবেক ম্যানেজার জোসে মরিনহোকেও বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ কোটি টাকার বেশি জরিমানা দিতে হয়।
গতকাল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কোপা দেল রের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল সোসিয়েদাদের সঙ্গে ৪-৪ গোলে ড্র করে রিয়াল। প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয় পাওয়ায়, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে ফাইনালে ওঠেছে লস ব্ল্যাংকোসরা।

টি-টোয়েন্টি বোলিং রাজত্বের নতুন রাজা কিউই পেসার
ক্রীড়া ডেস্ক

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগুনে বোলিং করেন জ্যাকব ডাফি। তার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স ও টিম সেইফার্টের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারায় নিউজিল্যান্ড।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়েও অবশ্য সতীর্থ সেইফার্টের কাছে সিরিজ সেরার পুরস্কার হারিয়েছেন ডাফি। তবে এবার আইসিসির কাছ থেকে বড় সুখবরই পেয়েছেন তিনি।
দুর্দান্ত বোলিংয়ের পুরস্কার পাওয়া ডাফির বর্তমানে রেটিং ৭২৩। শীর্ষে উঠতে এগিয়েছেন চার ধাপ।
২০১৮ সালের পর আবারো নিউজিল্যান্ডের কোনো বোলার যেকোনো সংস্করণে শীর্ষে উঠল। ডাফির আগে যিনি শীর্ষে ছিলেন সেই ইশ সোধিও অবশ্য টি-টোয়েন্টিতেই ছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত সিরিজে ডাফির মতো তিনিও সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়েছেন। যার পুরস্কার হিসেবে এক ধাপ এগিয়ে ৩৬ নম্বরে আছেন কিইউ লেগস্পিনার।
সুখবর পেয়েছেন সিরিজ সেরা সেইফার্টও।
সেইফার্টের দুই সতীর্থ ফিন অ্যালেন ও জিমি নিশামেরও উন্নতি হয়েছে। এক ধাপ এগিয়ে ১৫ নম্বরে জায়গা পাওয়া অ্যালেনের বিপরীতে ১৪ ধাপ উন্নতি হওয়া নিশাম আছেন ৩০ নম্বরে। অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১৮ নম্বরে কোনো রদবদল নেই। ২৫২ রেটিং নিয়ে শীর্ষে আছেন ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া।