<p>পাশাপাশি তিন নেটের একটাতে টনি ডি জর্জি, মাঝেরটাতে এইডেন মারক্রাম ও আরেকটায় কাইল ভেরেইনে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার ভেরেইনে মূলত পাঁচ-ছয় নম্বরে ব্যাট করেন। সিপনারদের সামলানোই তাঁর মূল কাজ। গতকাল মিরপুরে অনুশীলনে সেটাই করে গেলেন তিনি।</p> <p>কিন্তু প্রসঙ্গ যখন বাংলাদেশ সফর, তখন সাতপাঁচ ভাবার আর সময় কোথায়! প্রোটিয়া টেস্ট দলের দুই ওপেনার জর্জি-মারক্রামকেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্পিনের বিপক্ষে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে দেখা গেল।</p> <p>উপমহাদেশের বাইরের দলগুলো বাংলাদেশ সফরে এলে যে স্পিনের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, এই তথ্য জানতে ক্রিকেট বোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ৯ বছর পর টেস্ট সিরিজ খেলতে আবার বাংলাদেশে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা দলেরও এই সত্য ভালো জানা আছে। তেম্বা বাভুমা, কেশভ মহারাজরা সর্বশেষ যখন বাংলাদেশ এসেছিলেন, তখন বৃষ্টির কারণে দুটি ম্যাচই ড্র হয়।</p> <p>সব মিলিয়ে ২৮ উইকেটের ১৫টি নিয়েছিলেন স্পিনাররা। ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, ভার্নন ফিলান্ডারদের মতো টেস্টের জন্য বিশেষজ্ঞ পেসাররা থাকলেও স্বাগতিকদের ১৮টি উইকেটের ১০টিই নিয়েছিলেন স্পিনাররা।</p> <p>গতকাল নেট অনুশীলনে যখন স্পিনারদের বিপক্ষে ভুগছিলেন জর্জি-ভেরেইনেরা, তখন বাঁহাতি স্পিনার সেনুরান মুতুসামি ও অফ স্পিনার ডেন পিটকে নিয়ে কেশভ মহারাজ হয়তো স্বস্তির ঢেঁকুরই তুলছিলেন। তোলারই কথা।</p> <p>২০২২ সালে ডারবানে সাইমন হারমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পেসারদের জন্য সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। মিরপুরের উইকেট থেকে বাড়তি সহায়তা পাবেন মহারাজ। সেই বিশ্বাস থেকেই বাংলাদেশে ভালো করার টোটকা পাচ্ছেন তিনি, ‘আমি উপহামহাদেশের কন্ডিশনে ভালো করতে মুখিয়ে আছি। এ জন্য আমার প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা রাখছি।’</p> <p>সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে সিরিজ জিতে এলেও উপমহাদেশের পরিসংখ্যান দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে নেই। গত ১০ বছরে ১৮টি টেস্ট খেললেও জয়ের দেখা পায়নি প্রোটিয়ারা। এবার বাংলাদেশের মাটিতে স্বাগতিক ব্যাটারদের স্পিনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এই বৃত্ত ভাঙতে চায় সফরকারীরা। নিজ দেশের সংবাদমাধ্যমকে মহারাজ এমনটাই বলেছেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খুব ভালো দল। তবে আমরাও দেশের বাইরে, বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশনে জিততে না পারার ধারা ভাঙতে চাই।’</p> <p>দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনের চ্যালেঞ্জের জবাবে স্বাগতিকরাও নিশ্চিতভাবে স্পিনের জাল বিছাবে। সর্বশেষ ভারত সফরে না থাকলেও এই সিরিজের জন্য আবার পাকিস্তানি স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদকে উড়িয়ে এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। গতকাল তাঁর অধীনেই অনুশীলন করেন তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজরা।</p>