ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা
সেঞ্চুরি করার পথে রিভার্স সুইপ নাঈমের। ছবি : মীর ফরিদ, মিরপুর থেকে

লক্ষ্যটা বড় হওয়ায় ইনিংসের শুরুতেই বড় জুটি এনে দিতে হতো রংপুর রাইডার্সের দুই ওপেনারকে। সেটা পারেননি তৌফিক খান-সৌম্য সরকার। ফলে ম্যাচের ফল যা হওয়ার কথা তা-ই হয়েছে। খুলনা টাইগার্সের কাছে ৪৬ রানে হেরেছে রংপুর।

আরো পড়ুন
নাঈমের সেঞ্চুরিতে খুলনার বিশাল পুঁজি

নাঈমের সেঞ্চুরিতে খুলনার বিশাল পুঁজি

 

বিপিএলে টানা চতুর্থ হার রংপুরের। অথচ টুর্নামেন্টের প্রথম ৮ ম্যাচে টানা জয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছিল তারা। আজ গ্রুপের শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য ২২১ রানের বিশাল লক্ষ্য পায় রংপুর। কিন্তু তাড়া করতে নেমে ৩৬ রানেই ২ উইকেট হারায় তারা।

তবে অপর প্রান্ত আগলে ধরে থাকেন ওপেনার সৌম্য। মাঝে সতীর্থদের সঙ্গে বেশ কটি ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন তিনি।

তবে সতীর্থরা সৌম্যর সঙ্গে বড় জুটি গড়তে না পারায় জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকে। যার ফলে শেষে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পারেন বাংলাদেশি ওপেনার।

এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস। ১৫৪.১৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজান ৫ ছক্কা ও ৬ চারে। খুলনার সেরা বোলার মুশফিক হাসান। গোড়ালির চোট কাটিয়ে প্রায় ৯ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নেমে ২৪ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার।

আরো পড়ুন
শুধু স্বপ্নই পূরণ করেননি, রেকর্ডও গড়েছেন খাজা

শুধু স্বপ্নই পূরণ করেননি, রেকর্ডও গড়েছেন খাজা

 

এ জয়ে শেষ চারে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হয়েছে খুলনার।

১০ পয়েন্টে বর্তমানে ৫ নম্বরে তারা। শেষ ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জিতলেই কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হবে তাদের। খুলনার এই জয়ে বড় অবদান নাঈম শেখের। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেই ২২০ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। বিপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশের দশম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি পাওয়া নাইম ৬২ বলে ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৮ ছক্কা ও ৭ চারে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এদেরসনের অ্যাসিস্ট রেকর্ড—এমবাপ্পে-ফোডেনকেও ছাড়িয়ে গেলেন সিটি গোলরক্ষক

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
এদেরসনের অ্যাসিস্ট রেকর্ড—এমবাপ্পে-ফোডেনকেও ছাড়িয়ে গেলেন সিটি গোলরক্ষক
এদেরসন মোরায়েস।

প্রিমিয়ার লিগে গতকাল ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও দারুণ এক জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৫ গোলের এ জয়ে একটি অ্যাসিস্ট করেছেন সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন। আর তাতেই প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে গোলরক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়লেন তিনি।

প্যালেসের বিপক্ষে সিটির চতুর্থ গোলটি করেন জেমস ম্যাকাথে।

গোলটির পেছনে অনেক বড় অবদান গোলরক্ষক এদেরসনের। একনজরে মাঠের অবস্থা বুঝে তিনি মাঝমাঠে ম্যাকাথেকে খুঁজে নেন। এরপর প্রথম ছোঁয়ায় বল ধরে, দ্বিতীয় ছোঁয়ায় বক্সে ঢুকে এবং গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৪-২ করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।

চলতি মৌসুমে এটি চতুর্থ অ্যাসিস্ট এদেরসনের।

২০১৭ সালে যোগ দেওয়ার পর ইংলিশ ক্লাবটিতে তার অ্যাসিস্ট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল সাতে। এদেরসনের বাকি ৩ অ্যাসিস্ট হয়েছিল ২০১৮, ২০২১ ও ২০২২ সালে।

প্রিমিয়ার লিগের কোনো গোলরক্ষকই এর আগে এক মৌসুমে দুইটির বেশি অ্যাসিস্ট করতে পারেননি। ৩১ বছর বয়সী এদেরসন এখন চারটি অ্যাসিস্ট করেছেন।

প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টে তার পরে আছেন পল রবিনসন (৫) এবং ডেভিড সিমান ও পেপে রেইনা (৪)। পিটার স্মাইকেল, অ্যালিসন বেকার, টিম হাওয়ার্ড, জুসি জাস্কেলাইনেন এবং মার্ক ক্রসলির তিনটি করে অ্যাসিস্ট আছে প্রিমিয়ার লিগে। শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগেও এদেরসনের চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট নেই আর কোনো গোলরক্ষকের।

এই পরিসংখ্যানে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন অনেক তারকা আউটফিল্ড খেলোয়াড়কেও। উদাহরণস্বরূপ, তার সতীর্থ ফিল ফোডেনের অ্যাসিস্ট মাত্র ২টি।

জানুয়ারিতে দলে যোগ দেওয়া ওমর মারমুশ ছয়টি গোল করলেও অ্যাসিস্ট করেছেন মাত্র একটি, একই অবস্থা জ্যাক গ্রিলিশেরও।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আলেহান্দ্রো গার্নাচো, আর্সেনালের মিকেল মেরিনো, ইথান এনওয়ানিরি ও কাই হ্যাভার্টজও অ্যাসিস্টে এদেরসনের চেয়ে পিছিয়ে। 

এমনকি আর্সেনালের তারকা মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ড ও অ্যাস্টন ভিলার মার্কাস রাশফোর্ডের অ্যাসিস্ট সংখ্যাও এদেরসনের সমান। কিলিয়ান এমবাপ্পেও এই মৌসুমে লা লিগায় অ্যাসিস্ট করেছেন মাত্র তিনটি। তার চেয়েও একটি বেশি আছে এদেরসনের। 

মন্তব্য

হুইলচেয়ার ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশসহ ৮ দল

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
হুইলচেয়ার ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশসহ ৮ দল
সংগৃহীত ছবি

প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাওয়া হুইলচেয়ার ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশকে। 

বাংলাদেশ হুইলচেয়ার ক্রিকেট দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও  অধিনায়ক মোহাম্মদ মহসিন এই খবর নিশ্চিত করে এটিকে ‘বাংলাদেশের জন্য একটি গর্ব ও আবেগের মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।

এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে আন্তর্জাতিক হুইলচেয়ার ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পাকিস্তান হুইলচেয়ার ক্রিকেট কাউন্সিল।  টুর্নামেন্টটি চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত।

খেলা অনুষ্ঠিত হবে লাহোর ও ফয়সালাবাদে। এই বিশ্ব আসরে অংশ নেবে মোট আটটি দেশ—বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, কেনিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

প্রতিটি দেশের দল গঠিত হবে ২১ জন নিয়ে—যার মধ্যে থাকবেন ১৫ জন খেলোয়াড়, ৫ জন কর্মকর্তা এবং ১ জন বিচারক।

তবে গুরুত্বপূর্ণ এই আমন্ত্রণ পেলেও আর্থিক সংকটের কারণে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত।

মহসিন বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো স্পনসর বা আর্থিক সহায়তা পাইনি। আমরা আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের সরকার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে অনুরোধ জানাই—এই উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য। এটি একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ।’

তহবিলের সংকট থাকলেও, দলটি ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে।

দেশকে গর্বিত করার স্বপ্ন ও ভালোবাসাই তাদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে বলে জানান মহসিন, এটি শুধুমাত্র একটি টুর্নামেন্ট নয়—এটি বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। আমরা গণমাধ্যম, ক্রিকেটপ্রেমী এবং দেশের প্রতিটি নাগরিককে আহ্বান জানাই—আমাদের পাশে দাঁড়ান, আমাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করুন।

মন্তব্য

ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাত

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাত

২০২৫ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

দুবাই স্পোর্টস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ মানসুর বিন মোহাম্মদ এই যোগ্যতা অর্জনের জন্য অনূর্ধ্ব-১৭ দলটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এক্স পোস্টে মানসুর বিন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলকে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার জন্য অভিনন্দন জানাই। এই সাফল্যের জন্য আমরা দলের কারিগরি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও অভিনন্দন জানাই।

‘প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পৃষ্ঠপোষকতা এবং সমর্থনের জন্য’ তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান সংযুক্ত আরব আমিরাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ হামদান বিন মুবারক আল নাহিয়ানকে। 

শেখ মানসুর আরো বলেন, ‘আমরা অনূর্ধ্ব-১৭ দল এবং আমাদের জাতীয় দলের সাফল্য কামনা করি। আশা করি, তারা যেন আন্তর্জাতিক ও মহাদেশীয় পর্যায়ে সম্মানজনক প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।’

ফিফা গত বছর ঘোষণা দিয়েছিল, ২০২৫ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ প্রতি দুই বছর পরপর না হয়ে এখন থেকে প্রতি বছর আয়োজিত হবে।

যেখানে প্রথম পাঁচটি আসর (২০২৫-২০২৯) আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে কাতার। ২০২৫ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপও প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হবে এবং ২০২৯ সাল পর্যন্ত আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে মরক্কো।

এছাড়াও, সিনিয়র বিশ্বকাপের মতো অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপেও দল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আগে ২৪টি দল খেলত, এখন থেকে ৪৮টি দল অংশ নেবে।

নারী দলের সংখ্যা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২৪ করা হয়েছে।

মন্তব্য

কৃষ্ণাকে রেখেই ভুটান গেলেন আরো ৫ নারী ফুটবলার

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
কৃষ্ণাকে রেখেই ভুটান গেলেন আরো ৫ নারী ফুটবলার
ছবি : রুপনা চাকমার ফেসবুক

সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়ারা ভুটানের নারী লিগ খেলতে গেছেন আরো এক সপ্তাহ আগে। আজ যাওয়ার কথা ছিল আরো ছয় ফুটবলারের। তবে সিনিয়র ফুটবলার কৃষ্ণা রাণী সরকারকে ছাড়াই সকালে থিম্পুর উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মাসুরা পারভীন ও রুপনা চাকমা। 

কৃষ্ণার ভুটান যাওয়ার কথা থাকলেও ওয়ার্ক পারমিট হাতে না পাওয়ায় অপেক্ষা বাড়ল কৃষ্ণা রানীর।

তার ক্লাব এখনও ওয়ার্ক পারমিট ব্যবস্থা করতে না পারায় তিনি কিছুদিন পর যাবেন। 

ভুটানের নারী লিগে সাবিনা, ঋতুপর্ণা, সুমাইয়া ও মনিকা পারো এফসি’র হয়ে খেলবেন। সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার খেলবেন থিম্পু সিটির হয়ে।  ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন ও রুপনা চাকমা।

কৃষ্ণারও এই দলের হয়ে খেলার কথা।

উল্লেখ্য, আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে এই নারী ফুটবল লিগ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। চার মাস ধরে চলবে এই লিগ। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ