ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

করোনার জাল সনদ বিক্রি, মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি আটক

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
করোনার জাল সনদ বিক্রি, মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় করোনার জাল সনদ বিক্রির দায়ে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান আলোর দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ১৯৮৮ এর ২২ (ডি), দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ এবং ইমিগ্রেশন আইনের ৬ (১) (সি) এর অধীনে তদন্ত চলছে।

কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান দাতুক মাজলান লাজিম সাংবাদিকদের জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশি অভিবাসীদের কাছে ৫০ রিঙ্গিতের বিনিময়ে করোনাভাইরাসের নেগেটিভ রিপোর্ট (জাল সনদ) বিক্রি করে আসছে এই সিন্ডিকেট গ্রুপ।

তিনি বলেন, এ গ্রুপের সদস্যরা ১২ হাজার টাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে ও স্থানীয় দুইজন নাগরিককে চাকরি দিয়ে কাউন্টারে রেখে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। অভিযানে একটি জাল কভিড -১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষার রিপোর্ট, লেটারহেড এবং এক হাজার ৩৩১ মালয় রিঙ্গিত (২৬ হাজার ৫০০ টাকা) উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া দুটি ল্যাপটপ, তিনটি প্রিন্টার, দুটি ল্যামিনেটর মেশিন এবং কোভিড -১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষার ফলাফলের দুটি শিট উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ প্রধান বলেন, কভিড-১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষার ফলাফলের রিপোর্ট নকল করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গ্রিক উপকূলে ২ নারীর মরদেহ ও জীবিত ৩৯ অভিবাসী উদ্ধার

ইনফোমাইগ্রেন্টস
ইনফোমাইগ্রেন্টস
শেয়ার
গ্রিক উপকূলে ২ নারীর মরদেহ ও জীবিত ৩৯ অভিবাসী উদ্ধার
গ্রিসের ফার্মাকোনিসি দ্বীপে উদ্ধার অভিযান। ছবি : হেলেনিক কোস্ট গার্ড

এজিয়ান সাগরের গ্রিক দ্বীপ ফার্মাকোনিসির উপকূল থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষী হেলেনিক কোস্ট গার্ড। তারা জানিয়েছে, এ সময় আরো ৩৯ জন অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ঠিক কিভাবে ওই দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

কোস্ট গার্ডের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তুরস্কের উপকূল থেকে প্রায় ৯.৭ কিলোমিটার দূরের ফার্মাকোনিসি দ্বীপে সংশ্লিষ্ট অভিবাসীরা সোমবার সকালে পৌঁছেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অভিবাসীদের মধ্যে এখনো কেউ নিখোঁজ রয়েছে কি না, তা জানতে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা অভিবাসীদের এবং দুই নারীর মরদেহ পার্শ্ববর্তী লেরোস দ্বীপে স্থানান্তর করা হয়েছে।

অন্যদিকে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, সম্ভবত অভিবাসীরা নৌকাযোগে তুরস্কের উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল।

তবে তাদের বহনকারী নৌযানটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে ইউরোপমুখী অভিবাসীদের কাছে তুরস্ক উপকূল থেকে গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত সমুদ্রপথগুলো প্রধানতম অভিবাসন রুটে পরিণত হয়েছে। আর ফার্মাকোনিসি দ্বীপটি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একেবারে প্রান্তে অবস্থিত। 

২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির উপকূলরক্ষীরা আড়াই লাখের বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে গ্রিস কর্তৃপক্ষ।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই বিপজ্জনক যাত্রায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে। চলতি এপ্রিলে লেসবস দ্বীপ উপকূলে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে দুই শিশু ও দুই নারীও ছিলেন।

২০২৪ সালের পুরো সময়জুড়ে ৬০ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রিসে গেছে। সংখ্যাটি তার আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর গ্রিসে যাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৪১৭ জন সমুদ্রপথে ও সাত হাজার ৭০২ জন স্থলপথে গেছে।

২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪১ হাজার ৫৬১ জন ও সাত হাজার ১৬০ জন।

২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত গ্রিসে সমুদ্রপথে আট হাজার ও স্থলপথে ৭৫৫ জন অভিবাসীর প্রবেশ নথিভুক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

চীনে বোয়িংয়ের বিমান কেনা স্থগিত : ব্লুমবার্গ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনে বোয়িংয়ের বিমান কেনা স্থগিত : ব্লুমবার্গ
প্রতীকী ছবি : এএফপি

চীনা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার দেশটির বিমান সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন বোয়িং কম্পানির কাছে কোনো নতুন বিমান অর্ডার না দেয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বেইজিং, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক চীনা আমদানির ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাব। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আরো বাড়ল।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বেইজিং অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানিগুলোর কাছ থেকে যেকোনো ধরনের বিমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম কেনা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, উচ্চ শুল্কের কারণে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বোয়িংয়ের বিমান ভাড়া নেওয়া চীনা এয়ারলাইনসগুলোকে সরকার আর্থিকভাবে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

এ ছাড়া বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের যন্ত্রাংশ ও বিমানের দাম এখন চীনের জন্য প্রায় দ্বিগুণ হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা জায়ান্ট বোয়িং পড়েছে বিপদের মুখে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো শান্তির আভাস না থাকায় বোয়িংয়ের সবচেয়ে বড় বাজার চীন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ব্লুমবার্গের মতে, আগামী ২০ বছরে বৈশ্বিক বিমান চাহিদার ২০ শতাংশ আসবে চীন থেকে। এমনকি ২০১৮ সালে বোয়িংয়ের মোট বিক্রির প্রায় ২৫ শতাংশই ছিল চীনে।

এই পরিস্থিতি এমন সময় দেখা দিল, যখন চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাত্র দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিল, তারা যেন চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক ‘সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার’ করে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ করেই কিছু প্রযুক্তিপণ্যকে চলমান শুল্ক যুদ্ধ থেকে ছাড় দিয়েছেন—যা অ্যাপলের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের জন্য বড় স্বস্তির ইঙ্গিত।

কারণ তাদের বেশির ভাগ পণ্যই চীনে তৈরি ও সংযোজন করা হয়। তবে শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের এমন অনিশ্চিত অবস্থান বিশ্বকে অস্থির করে রেখেছে।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

মন্তব্য

দুবাইয়ে তৈরি ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ ককটেল-মকটেলের আদ্যোপান্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুবাইয়ে তৈরি ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ ককটেল-মকটেলের আদ্যোপান্ত
ক্রেতা ডায়ানা ও বারটেন্ডার সালভাতোরে। ছবি : খালিজ টাইমস

একটি বিশেষ ধরনের স্ফটিকের (ক্রিস্টাল) গ্লাসে পরিবেশিত, বিশেষভাবে তৈরি উপাদানে প্রস্তুত এবং একজন ‘সেলিব্রিটি’ বারটেন্ডারের পরিবেশিত ককটেল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ককটেল হিসেবে রেকর্ড গড়েছে, যা তৈরি হয়েছে দুবাইয়ে। এই ককটেলটি ৩৭ হাজার ৫০০ ইউরো বা প্রায় এক লাখ ৫৬ হাজার দিরহামে বিক্রি হয়েছে দুবাইয়ের নাহাতে নামের একটি ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁয়। হাড্ডাহাড্ডি নিলাম পর্বের শেষে দুবাইয়ের মডেল ও উদ্যোক্তা ডায়ানা আহাদপুর এটি কেনেন।

নাহাতে রেস্তোরাঁর বেভারেজ ও মার্কেটিং ডিরেক্টর আন্দ্রেই বোলশাকভ জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল ককটেল তৈরির লক্ষ্যেই দুবাইতে অবস্থিত পারিবারিকভাবে পরিচালিত এই রেস্তোরাঁ সব ধরনের উদ্যোগ নেয়।

একমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই পানীয়টি সর্বোচ্চ দামের ক্রেতার কাছে নিলামে বিক্রি করা হয়। শুরুতে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬০ হাজার দিরহাম। তবে উচ্চ চাহিদার কারণে সেটি দ্রুত দ্বিগুণ হয়ে শেষ পর্যন্ত দেড় লাখ দিরহামেরও বেশি দামে বিক্রি হয়।

বোলশাকভ বলেন, ‘যে নারী এটি কিনেছেন, তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে এই বিশেষ পানীয়টি তার হাতেই উঠবে।

’ নিলামে জেতার পর তিনি পানীয়টি উপভোগ করেন এবং কিছু অংশ বন্ধুদের সঙ্গেও ভাগ করে নেন। ‘এটি সবার জন্যই ছিল একটি স্মরণীয় আয়োজন।’

এই ককটেলটি শুধু উপাদানেই নয়, পরিবেশনের দিক থেকেও ছিল অনন্য। এটি পরিবেশিত হয় ১৯৩৭ সালে তৈরি বিশেষ গ্লাসে, যা এত দিন একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত ছিল।

বোলশাকভ জানান, ‘এ রকম ক্রিস্টাল দিয়ে কেবল দুটি গ্লাস তৈরি হয়েছিল, যা একদম বিশেষ কৌশলে তৈরি। এগুলো কখনো ব্যবহার করা হয়নি। আমি নিজে প্যারিস থেকে সংগ্রহ করে দুবাইয়ে এনেছি।’

নিলাম শেষে ককটেলটির ক্রেতাকে ওই ক্রিস্টাল গ্লাস দুটি স্মারক হিসেবে উপহার দেওয়া হয়।

রেস্তোরাঁর অংশীদার প্যাট্রন টেকিলা শুধু এই আয়োজনের জন্য একটি বিশেষ সংস্করণের মিশ্রণ তৈরি করেন।

বোলশাকভ জানান, ‘মাস্টার ডিস্টিলার মাত্র ৫০০ মিলিলিটার তৈরি করেছিলেনন, যা আমাদের কর্মীরা মেক্সিকো থেকে ইভেন্টের এক সপ্তাহ আগে নিয়ে আসেন।’

এ ছাড়া এতে ব্যবহার করা হয় কিনা লিলেট নামের একটি বিশেষ ফলের ওয়াইন, যেটি জেমস বন্ড ০০৭-এর মূল ককটেল রেসিপিতে ব্যবহৃত হতো। এটি এখন আর তৈরি হয় না এবং সারা বিশ্বে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি বোতল অবশিষ্ট আছে। তারা যে বোতলটি সংগ্রহ করেছেন, তা বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের।

একই সঙ্গে এই ‘সুপার এক্সক্লুসিভ’ পানীয়ের সমাপ্তি টানা হয় বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকের তৈরি অ্যাঙ্গোস্তুরা বিটারস দিয়ে।

এই পানীয় তৈরি করেন বিশ্বের অন্যতম খ্যাতিমান বারটেন্ডার সালভাতোরে ‘দ্য মায়েস্ত্রো’ কালাব্রেস। বোলশাকভ বলেন, ‘তিনি ইন্ডাস্ট্রির একজন কিংবদন্তি এবং বহু সেলিব্রিটির জন্য পানীয় তৈরি করেছেন। আমরা চেয়েছিলাম এমন একটি পানীয় তৈরি করতে, যা কেবল দামের জন্য নয়, অভিজ্ঞতার দিক থেকেও বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল হয়।’

সবচেয়ে দামি মকটেলও এখন দুবাইয়ে
এর পাশাপাশি দুবাইয়ের বিলাসবহুল ডাইনিং দুনিয়ায় যোগ হয়েছে আরো একটি চমকপ্রদ উপাদান—বিশ্বের সবচেয়ে দামি মকটেল, যার দাম ১২ হাজার ৯৯ দিরহাম।

আল জাদ্দাফের বার্সেলো হোটেলের জিমিডিক্স রেস্তোরাঁ ও লাউঞ্জে উন্মোচিত হওয়া এই ঝলমলে পানীয়টি পরিবেশন করা হয় খাঁটি রূপার তৈরি গবলেট নামের পাত্রে, যা অতিথিদের জন্য একটি স্মারক হিসেবেও রয়ে যায়।

এই আড়ম্বরপূর্ণ পানীয়টিতে মেশানো হয়েছে টাটকা ক্র্যানবেরি, পুদিনা, ডালিমের রস, সামুদ্রিক লবণ ও ২৪ ক্যারেট ইইউ সনদপ্রাপ্ত ভোজ্য সোনার পানি ও ধুলা। এটি পরিবেশিত হয় দুটি স্টার্টারের সঙ্গে—সবজি বা আমিষ, অতিথির পছন্দ অনুযায়ী—যেগুলোও ভোজ্য সোনার পাত ও ধুলায় মোড়ানো থাকে।

এই ধারণার নেপথ্যে ছিলেন ভারতীয় প্রবাসী সুচেতা শর্মা, যিনি বোহো ক্যাফে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। জিমিডিক্সের বার ম্যানেজার ফ্রেডরিকের সহায়তায় এটি বাস্তবে রূপ নেয়। এই গ্রুপ সাধারণ পানীয়কে বিলাসবহুল অভিজ্ঞতায় রূপ দেওয়ার জন্য পরিচিত। শর্মা বলেন, ‘এটি কোনো মার্কেটিং গিমিক নয়। এটা একটিকে স্মৃতি করে রাখার ব্যাপার।’

উন্মোচন অনুষ্ঠানে লাকি ড্রতে জিতে প্রথম এই পানীয়ের স্বাদ নেন চীনা প্রবাসী ইয়াও লেই। তিনি বলেন, ‘অলৌকিক মনে হচ্ছে। হয়তো আবার কখনো অর্ডার করব না, তবে গ্লাসটি অবশ্যই রেখে দেব।’

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, তারা এই মকটেলটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির জন্য জমা দেবেন।

উল্লেখ্য, দুবাইয়ের এমিরেটস ফিন্যানশিয়াল টাওয়ারসে গত অক্টোবরেই চালু হওয়া বোহো ক্যাফে এর আগেও শিরোনাম হয়েছিল তাদের পাঁচ হাজার দিরহামের সোনার কারাক চায়ের জন্য, যা রূপার কাপ-সসারে পরিবেশিত হয়। গত নভেম্বরেও এক ইউরোপীয় পর্যটক ছয় হাজার ৬০০ দিরহামের বিল করেন একটি সোনার কফি, চারটি সোনার ক্রোয়েসেন্ট ও দুই স্কুপ সোনার আইসক্রিম খেয়ে।

সূত্র : খালিজ টাইমস

মন্তব্য

ইরাকে তীব্র ধূলিঝড়ে অসুস্থ হাজারও মানুষ, ২ বিমানবন্দর বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইরাকে তীব্র ধূলিঝড়ে অসুস্থ হাজারও মানুষ, ২ বিমানবন্দর বন্ধ
ছবিসূত্র : এএফপি

ইরাকে ব্যাপক ধূলিঝড় হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ধূলিঝড়ের পর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন এক হাজারেরও বেশি লোক। মুথান্না প্রদেশের একজন কর্মকর্তা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৭০০ জনের শ্বাসকষ্টের ঘটনা ঘটেছে।

অনলাইনে শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে,  এলাকাগুলো ঘন কমলা রঙের কুয়াশায় ঢাকা।

স্থানীয় মিডিয়া বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিমান চলাচল বন্ধের খবর দিচ্ছে। ইরাকে ধূলিঝড় সাধারণ হলেও কিছু বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যা আরো তীব্র হয়ে উঠছে।

আরো পড়ুন
সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

 

এএফপি অনুসারে, পথচারীরা ধুলা থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য মুখোশ পরছে। শ্বাসকষ্টজনিত লোকদের সহায়তা করার জন্য প্যারামেডিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।

দক্ষিণ ইরাকের মুথান্না প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে কমপক্ষে ৭০০ জন শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে স্থানীয় একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নাজাফ প্রদেশে ২৫০ জনেরও বেশি লোককে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং শিশুসহ কমপক্ষে ৩২২ জন রোগীকে দিওয়ানিয়াহ প্রদেশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধী কার এবং বসরা প্রদেশে ৫৩০ জন শ্বাসকষ্টের সমস্যা রিপোর্ট করেছেন। ধূলিঝড় ইরাকের দক্ষিণ প্রদেশগুলোকে কমলা মেঘে ঢেকে ফেলেছিল।

ফলে দৃশ্যমানতা এক কিলোমিটারেরও কম (০.৬২ মাইল) হয়ে যায়।

কর্তৃপক্ষকে নাজাফ এবং বসরা প্রদেশের বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া পরিষেবা অনুসারে, মঙ্গলবার সকালের মধ্যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২২ সালেও একটি তীব্র ধূলিঝড়ে একজনের মৃত্যু হয় এবং ৫ হাজারের বেশি লোকের শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছিল। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মতে, ইরাক ভবিষ্যতে বেশি বশি ধূলিঝড়ের মুখোমুখি হবে।

 

সূত্র : বিবিসি

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ