ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

করোনা ঠেকাতে কুকুর-বিড়াল হত্যা করছে ভিয়েতনাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
করোনা ঠেকাতে কুকুর-বিড়াল হত্যা করছে ভিয়েতনাম

করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে ভিয়েতনামে। যেসব শহরে সংক্রমণ বাড়ছে অনেকেই সেখান থেকে কম সংক্রমণের এলাকায় চলে যাচ্ছেন। লং অ্যান প্রদেশ থেকে এক দম্পতি মোটরবাইকে করে শহর ছাড়েন। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল তাদের পোষা ১৫টি কুকুর, তিন আত্মীয় এবং ওই আত্মীয়দের তিনটি কুকুর ও একটি বিড়াল।

তারা লং অ্যান থেকে চা মাউ প্রদেশের খান হাং এলাকায় যাচ্ছিলেন। লং অ্যানে সম্প্রতি নতুন সংক্রমণ অনেক বেড়ে গেলেও খান হাংয়ের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। সে কারণেই তারা পোষা প্রাণীদের সঙ্গে নিয়েই দীর্ঘপথে যাত্রা করেন।

ওই শহরে পৌঁছানোর পর তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে তারা তা ক্ষুণাক্ষরেও টের পাননি।

তাদের সঙ্গে থাকা তিন আত্মীয় এবং ওই দম্পতির দেহে করোনা শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ ওই প্রাণীগুলোকে মেরে ফেলে। এসব প্রাণী থেকে হয়তো করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই এ কাজ করা হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ফাম মিন হাং নামে ৪৯ বছর বয়সী ওই রাজমিস্ত্রি বলেন, এই ঘটনার পর আমি এবং আমার স্ত্রী খুব কেঁদেছি।

আমরা ঘুমাতে পারছি না। তিনি বলেন, আমার এটা বিশ্বাস হচ্ছে না যে সত্যিই এমন কিছু ঘটেছে। আমরা আমাদের বাচ্চাদের (কুকুরগুলো) বাঁচাতে কোনো কিছুই করতে পারলাম না।  একদিকে তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর অন্যদিকে হাসপাতালে শুয়ে থেকেই তাদের আদরের প্রাণীগুলোর মৃত্যুর খবর শুনতে হলো।
এটা সত্যিই খুব হৃদয়বিদারক ঘটনা। 

১৫টি কুকুর এবং একটি বিড়ালকে হত্যার এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে একটি পিটিশনের পক্ষে দেড় লাখের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছে। করোনা মহামারির পর থেকে ভিয়েতনাম বেশ ভালো ভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিল। কিন্তু গত কয়েক মাসে দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে। কয়েক মাসের লকডাউনের কারণে অনেক অভিবাসী শ্রমিক বিপাকে পড়েছেন। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বড় শহর ছেড়েছেন কমপক্ষে ১০ লাখ অভিবাসী শ্রমিক। ফাম মিন হাং এবং তার স্ত্রী নুয়েন থি চি এমও এসব কারণেই শহর ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু তারা তাদের পোষা কুকুরগুলোকে ফেলে আসতে পারেননি। কষ্ট হলেও সবগুলো কুকুরকে মোটরবাইকে করেই তারা শহর ছাড়েন।

গত ৮ অক্টোবর তারা তাদের কুকুরগুলোকে নিয়ে রওনা দেন। সে সময় তাদের আরও তিন আত্মীয়ও তাদের সঙ্গে ছিলেন। তারাও তাদের কুকুর আর বিড়ালকে নিয়ে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২৮০ কিলোমিটার (১৭৩ মাইল) পাড়ি দিয়েছেন। তারা এই ভ্রমণের সময়টা ভিডিও করে অনলাইনে পোস্ট করেন। পোষা প্রাণীদের সঙ্গে নিয়ে এত দূরের পথে যাত্রা করার ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তাদের প্রশংসা করেছেন, এছাড়া অন্যরাও তাদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য শুভেচ্ছা জানান। ফাম মিন এবং তার স্ত্রী মূলত ১৫টি কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। চা মাউ প্রদেশে প্রবেশের পর এক স্বেচ্ছাসেবীকে তারা দু’টি কুকুর দিয়ে দেন। আর একটি পথিমধ্যেই মারা যায়।

খান হাং এলাকায় প্রবেশের পর ওই দম্পতি এবং তাদের তিন আত্মীয়র করোনা ধরা পড়ে। ওই শহরে ভ্রমণ করতে আসা প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। তারই অংশ হিসেবে তাদেরও পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা করার আগে তারা বুঝতে পারেননি যে তারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সে সময় প্রাণীগুলোকে একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো কিছু না জানিয়েই বিড়াল-কুকুরগুলোকে হত্যা করে।

ওই প্রাণীগুলোকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো পরিস্কার নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রাণীগুলোকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তা ত্রান তান কং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অবিলম্বে প্রাণীগুলোকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত একটি প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ছিল।

সূত্র: বিবিসি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সুদান যুদ্ধের ২ বছর, এখনো অন্ধকারে শান্তির পথ

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
সুদান যুদ্ধের ২ বছর, এখনো অন্ধকারে শান্তির পথ
১৩ এপ্রিল যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে পালিয়ে যাওয়া মানুষ একটি খোলা মাঠে রান্নার জন্য জড়ো হয়েছে। ছবি : এএফপি

দুই বছর পেরিয়ে গেল সুদানে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হওয়ার। কিন্তু এখনো কোনো শান্তিচুক্তি বা বিরতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এই সময়ে প্রাণ গেছে হাজার হাজার মানুষের, বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখের বেশি, আর বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে এই যুদ্ধ।

২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দেশটির সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হয় এই সংঘর্ষ।

সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান, অন্যদিকে আরএসএফের নেতৃত্বে তার এক সময়ের ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলো।

সংঘাতের শুরুতেই রাজধানী খার্তুম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে মৃতদেহ, লাখো মানুষ শহর ছেড়ে পালায়, আর যারা রয়ে যায় তাদের নামতে হয় প্রতিদিন টিকে থাকার লড়াইয়ে।

৫২ বছর বয়সী আব্দেল রাফি হুসেইন, যিনি আরএসএফের নিয়ন্ত্রণাধীন খার্তুমেই ছিলেন, বলেন, ‘আমি শরীরের অর্ধেক ওজন হারিয়ে ফেলেছি।

’ 

সেনাবাহিনী সম্প্রতি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিলেও রাফি জানান, ‘আমরা এখন নিরাপদে আছি, কিন্তু এখনো পানি ও বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে, হাসপাতালগুলোর অধিকাংশই অচল।’

খার্তুম পুনর্দখল সেনাবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হলেও যুদ্ধ থেমে নেই। আরএসএফ এখন পশ্চিমাঞ্চলের দুর্ভিক্ষপীড়িত দারফুর এলাকায় আরো গভীরে প্রবেশ করছে এবং আল-ফাশের দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি দারফুর অঞ্চলে এখনো সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ প্রাদেশিক রাজধানী।

‘বিপর্যয় ডেকে আনছে অব্যাহত যুদ্ধ’
লন্ডনে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের একটি বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, ‘দুঃখজনক বাস্তবতা থেকে উত্তরণের একটি পথ নির্ধারণের লক্ষ্যেই আমাদের এই সম্মেলন।’ তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যুদ্ধে কোনো পক্ষই এই বৈঠকে উপস্থিত হয়নি।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘সুদানি জনগণ একই সঙ্গে যুদ্ধ, নির্যাতন, অনাহার ও অসম্মানের শিকার। বিশ্ব নীরব থাকলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সাবেক মার্কিন বিশেষ দূত টম পেরিয়েলোর দেওয়া তথ্য মতে, যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ। তবে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। যুদ্ধরত উভয় পক্ষকেই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা, বাড়িঘরে গোলাবর্ষণ ও ত্রাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

ক্ষুধা, অনাহার ও শিশু হত্যা
জাতিসংঘের হিসেবে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে প্রায় দুই হাজার ৭৭৬ শিশুর মৃত্যু বা পঙ্গুত্ব ঘটেছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ২০ গুণ। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল জানান, এই যুদ্ধ লাখ লাখ শিশুর জীবন একেবারে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে।

দারফুরের জমজম শরণার্থীশিবিরে ১০ লাখ মানুষের বসবাস। সেখানে গত সপ্তাহে আরএসএফের হামলায় কমপক্ষে ৪০০ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ২০২৩ সাল থেকেই অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষে রয়েছে।

আরএসএফ এখন দারফুরে আধিপত্য নিশ্চিত করতে এল-ফাশের দখলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অঞ্চল দখল হলে দারফুরে তাদের নিয়ন্ত্রণ আরো পাকাপোক্ত হবে।

বাহ্যিক সহায়তা ও অস্ত্র প্রবাহ
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেছেন, ‘এই সংঘাতে বাইরের সহায়তা ও অস্ত্রের প্রবাহ বন্ধ করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যাদের এই পক্ষগুলোর ওপর প্রভাব রয়েছে, তাদের উচিত এই প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যবহার করা, এই বিপর্যয় টিকিয়ে রাখার জন্য নয়।’

সুদানের সেনা সমর্থিত সরকার ইতিমধ্যে অভিযোগ তুলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত আরএসএফকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। যদিও উভয় পক্ষই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মন্তব্য

ইউরোপীয় শহরগুলোতে ঝুঁকি বাড়ছে তীব্র গরম ও বন্যার

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
ইউরোপীয় শহরগুলোতে ঝুঁকি বাড়ছে তীব্র গরম ও বন্যার
স্পেনের সেভিলে তীব্র তাপপ্রবাহের সময় মানুষ ঝর্ণার পানিতে শীতল হচ্ছে। ফাইল ছবি : এএফপি

২০২৪ সালে ইউরোপে রেকর্ড মাত্রায় গরম পড়েছিল, যা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক প্রতিবেদনে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউরোপে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে তাপমাত্রা বাড়ছে।

ইইউর কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, এ ধরনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মহাদেশটির লাখ লাখ মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইউরোপে চরম আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ছে।

যেমন গত অক্টোবর ও নভেম্বরে স্পেনের ভ্যালেনসিয়ায় বন্যায় ২২০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। তার ঠিক এক মাস আগে বোরিস ঝড়ে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের আটটি দেশের বিভিন্ন শহরে বন্যা হয়। এতে চার লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, একদিকে পূর্ব ইউরোপে তীব্র তাপদাহ এবং দক্ষিণ ইউরোপে শীতকালে দীর্ঘস্থায়ী খরা ছিল।

এ ছাড়া বলা হচ্ছে, শহরগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে শুষ্ক ও শক্ত মাটি বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অথচ এগুলো দ্রুত বৃষ্টির পানি শোষণ করতে পারে না। প্যারিস, মিলান ও গ্লাসগোর মতো শহরগুলো সবুজ এলাকা ও পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখার সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে খাপ খাইয়ে নিতে নানা উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান সেলেস্ট সাওলো বলেন, ‘অভিযোজন অপরিহার্য। অতি অল্প তাপমাত্রা বৃদ্ধিও আমাদের জীবন, অর্থনীতি ও পৃথিবীর জন্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।’

এত সব ঝুঁকির মধ্যেও একটি ইতিবাচক দিক হলো, ২০২৪ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইউরোপের ৪৫ শতাংশ শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সৌর, বায়ু ও বায়োমাসের মতো শক্তি উৎসগুলোর ওপর নির্ভরতা বাড়ায় ভবিষ্যতে জলবায়ু ঝুঁকি কমবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপের অর্ধেকেরও বেশি শহর চরম আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

মন্তব্য

শুল্ক বিরতির ৯০ দিনের মধ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা শুরু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শুল্ক বিরতির ৯০ দিনের মধ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা শুরু
সংগৃহীত ছবি

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। আলোচনার প্রাথমিক পর্ব ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এএনআইয়ের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, শুল্ক বিরতির ৯০ দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ব্যক্তিগত বৈঠকের কথা রয়েছে।

যা মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখানে ভারতীয় বাণিজ্য প্রতিনিধিদলও থাকবে।

আরো পড়ুন
নেহা কক্করের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না তার বোন, কী বললেন গায়িকা?

নেহা কক্করের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না তার বোন, কী বললেন গায়িকা?

 

এদিকে বাণিজ্যসচিব সুনীল বার্তওয়াল বলেছেন, বর্তমান শুল্কের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য উদ্বেগ এবং সুযোগ উভয়ই রয়েছে। ইতিমধ্যে ভারত একটি উপায় খুঁজে নিয়েছে।

সেটা হচ্ছে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মুক্ত বাণিজ্যের দিকে এগোতে চাচ্ছে। এ বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। উভয় দেশ বর্তমানে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে কাজ করছে, যা এর মধ্যেই চূড়ান্ত হতে পারে।

মার্চ মাসে নয়াদিল্লিতে দুই দেশ বহু ক্ষেত্রীয় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির (BTA) প্রথম পর্যায়ে আলোচনা শেষ করেছে।

বিটিএর সফল সমাপ্তির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই বৈঠকের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং অব্যাহত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

মন্তব্য

মার্চে ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি ছয় বছরে সর্বনিম্ন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মার্চে ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি ছয় বছরে সর্বনিম্ন
সংগৃহীত ছবি

মার্চ মাসে ভারতে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। দেশটিতে ৬ বছরে মধ্যে সর্বনিম্ন খুচরা মূল্যস্ফীতি হয়েছে গত মাসে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৩.৩৪ শতাংশে নেমেছে, যা প্রায় ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর মধ্যে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ২.৬৯ শতাংশ।

কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, শাক-সবজি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্যপণ্যের দাম কমে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৩.৬১ শতাংশ। গত বছরের মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি ৪.৮৫ শতাংশ ছিল।

পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সর্বনিম্ন খুচরা মূল্যস্ফীতি ছিল ৩.২৮ শতাংশ।

তারপর মার্চ মাসেই মূল্যস্ফীতির হার ৩.৩৪ শতাংশে নেমেছে।

পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের বাজারে মার্চ মাসে নারকেল তেলের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫৬.৮১ শতাংশ, নারকেলে ৪২.০৫ শতাংশ, সোনায় ৩৪.০৯ শতাংশ, রুপায় ৩১.৫৭ শতাংশ এবং আঙুরে ২৫.৫৫ শতাংশ।

অন্যদিকে আদায় -৩৮.১১ শতাংশ, টমেটোতে -৩৪.৯৬ শতাংশ, ফুলকপিতে -২৫.৯৯ শতাংশ, জিরায় -২৫.৮৬ শতাংশ ও রসুনে -২৫.২২ শতাংশ।

পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গ্রামীণ মূল্যস্ফীতি মার্চ মাসে ৩.২৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ফেব্রুয়ারিতে ৩.৭৯ শতাংশ ছিল।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ