<p>মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী সমাবেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর শনিবার সন্ধ্যায় হামলা করা হয়।  হঠাৎ গুলির শব্দে তাকে মঞ্চ থেকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি আঘাত পেয়েছেন বলে মনে হয়েছিল।</p> <p>যদিও ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের পক্ষ থেকে তিনি ভালো আছেন বলে জানানো হয়। এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এক বিবৃতিতে জানায়, পেনসিলভানিয়ার ওই সমাবেশে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারী মেথিউ কুরুকস (২০) নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।</p> <p><strong>প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা কি এটিই প্রথম?</strong></p> <p>ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী সমাবেশে সহিংসতার ঘটনা নতুন নয়। ১৯১২ সালে টেডি রুজভেল্ট বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় তিনি বেঁচে যান। ১৯৬৮ সালে রবার্ট এফ কেনেডি নির্বাচনী সমাবেশে মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হন।</p> <p>বর্তমান সময়ে ডোনাল্ট ট্রাম্পসহ অন্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদেরও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে আসিয়ান সম্মেলনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইএসের একটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয় গোয়েন্দা সংস্থা।</p> <p><strong>নির্বাচনের আগেই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মৃত্যু হলে কী হবে?</strong></p> <p>ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দায়িত্ব গ্রহণের আগে নিহত অথবা অক্ষম বলে প্রমাণিত হলে সে ক্ষেত্রে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে, তা সময়ের ওপর নির্ভর করে। এর সঙ্গে নির্বাচনের পূর্বের ও পরের পরিস্থিতি জড়িত রয়েছে।</p> <p>যদি সাধারণ নির্বাচনের আগে কোনো প্রার্থী মারা যান বা অক্ষম প্রমাণিত হন, তবে নির্বাচকরা নিজ দলের মাধ্যমে বিকল্প প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট দিতে পারবেন। যদি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের আগে প্রার্থী মারা যান বা অক্ষম হন, তবে নির্বাচকরা তাদের দলের অন্য সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত প্রার্থীর স্থলাভিষিক্ত করতে পারবেন। আর যদি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের পর দায়িত্ব গ্রহণের আগেই নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিহত হন বা অক্ষম প্রমাণিত হন, তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন।</p> <p>সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস</p>