<p>ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এ জন্য সংবাদমাধ্যমের একাংশকে দোষারোপ করেছেন তিনি।</p> <p>মমতা লিখেছেন, ‘আমি কিছু সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল ও ডিজিটাল মিডিয়াতে একটি নোংরা, বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চিহ্নিত করেছি। গতকাল (বুধবার) আমাদের ছাত্রদের কর্মসূচিতে আমি যে বক্তৃতা করেছিলাম, সে প্রসঙ্গেই রিপোর্টগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।</p> <p>আমি সবচেয়ে জোরালো ও স্পষ্টভাবে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের বা তাঁদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করিনি। আমি তাঁদের আন্দোলনকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি। তাঁদের আন্দোলন ন্যায্য। আমি কখনোই তাঁদের হুমকি দিইনি। কিন্তু কিছু মানুষ আমাকে অভিযুক্ত করছেন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আমি অশান্তি চাই না। কিন্তু কুৎসা, অপপ্রচার এবং চক্রান্ত করে যে আপনাকে রোজ কামড়াচ্ছে, তাঁকে আপনি কামড়াবেন না ঠিকই। কিন্তু ফোঁস তো করতে পারেন।’ মমতা বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সমর্থন ছিল, আছে, থাকবে। তবে আমি বলব, আপনারা তো মানবিক। সুপ্রিম কোর্টও অনুরোধ করেছে সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। অনেক গরিব লোক চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে।</p> <p>গরিবরা কোথায় যাবে? অনেক পরিষেবা আপনারা দেন। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনারা আন্দোলন করেছেন, কিন্তু আমরা কোনো ব্যবস্থা নিইনি। কোনো ব্যবস্থা নেব না। কিন্তু এবার আস্তে আস্তে কাজে যোগদান করুন। আমি কোনো পদক্ষেপ নিতে চাই না।’</p> <p>এদিকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনার জন্য তড়িঘড়ি করে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলেই রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা তাঁর। গতকাল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ। তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই রাজ্যপাল দিল্লি যাচ্ছেন। রাজ্যপালকে অমিত শাহ ডেকে পাঠিয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।</p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা</p>