<p>দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত সড়ক ও রেলপথ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করবে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী। আজ বুধবার থেকে সকল সড়ক ও রেলপথ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে তারা জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, দেশটি সীমান্তের পাশের এলাকাগুলোকে আরো শক্তিশালী করবে।</p> <p>এই ঘোষণার কারণে দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী সীমানারেখার কাছাকাছি সামরিক কার্যকলাপের আরো বৃদ্ধি পেল, যা চলতি বছর পর্যন্ত  বিরল ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী গত জুলাইয়ে বলেছিল, দুর্ঘটনা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যেই ল্যান্ডমাইন এবং প্রতিবন্ধক স্থাপন এবং বর্জ্যভূমি তৈরি করেছে।</p> <p>কোরিয়ান পিপলস আর্মির জেনারেল স্টাফ কেসিএনএকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত যুদ্ধ মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই ঘোষণা এসেছে। এই মহড়াকে তারা ‘প্রাথমিক শত্রু রাষ্ট্র ও অপরিবর্তনীয় প্রধান শত্রু’ হিসেবে অভিহিত করেছে।পাশাপাশি এই অঞ্চলে মার্কিন কৌশলগত পারমাণবিক সম্পদের ঘন ঘন পরিদর্শনের অভিযোগও তোলেন। </p> <p>এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘের কমান্ডকে (ইউএনসি) বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে, তবে বিস্তারিত বলেনি। তবে তারা আরো জানিয়েছে,  উত্তর কোরিয়ার ঘোষণার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ইউএনসির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউএনসি একটি বহুজাতিক সামরিক বাহিনী এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে ডিমিলিটারাইজড জোনের বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করে। </p> <p>মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউএনসি একটি বহুজাতিক সামরিক বাহিনী এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড) বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করে। ‘ডিমিলিটারাইজড জোন’ হলো,  এমন একটি এলাকা যেখানে রাষ্ট্র, সামরিক শক্তি বা প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চুক্তি বা সামরিক স্থাপনা, কার্যকলাপ বা কর্মীরা নিষিদ্ধ। </p> <p>সূত্র : রয়টার্স<br />  </p>