<p>নোবেল বিজয়ী হান কাং তার পুরস্কার উদযাপন বা সংবাদ সম্মেলন করবেন না বলে জানিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরায়লে-ফিলিস্তিন সংঘাতসহ বিশ্বের করুণ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন।</p> <p>কোরিয়া টাইমসের কাছে নোবেল বিজয়ী হান কাং বলেন, ‘বিশ্বে যখন যুদ্ধ বৃদ্ধি পায় এবং প্রচুর মানুষ নিহত হয়, তখন নোবেল পুরস্কার উদযাপন করার সময় নয়’। ৫৩ বছর বয়সী হান কাং বৃহস্পতিবার খবর পেয়েছিলেন যে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ান এবং তখনই তিনি তাঁর বাবা হান সিউংয়ের মাধ্যমে জানান যে, এই মুহূর্তে তিনি কোনো উদযাপন চান না।</p> <p>৮৫ বছর বয়সী হান সিউং-ওন আজ শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেন, যেখানে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যে, তার মেয়ে কোনো সংবাদ সম্মেলন করতে চায় না। সেখানে তিনি আরো বলেন যে, তিনি তার মেয়ের জন্য একটি উদযাপনের পরিকল্পনাও করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে সে উদযাপন থেকেও হান কাং বিরত রাখেন। </p> <p>হান কাং কোরিয়া টাইমসকে বলেন, ‘আমরা যখন বিশ্বের এই দুঃখজনক ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষ করছি, ঠিক সেই মুহূর্তে দয়া করে কোনো উদযাপন করবেন না। সুইডিশ একাডেমি আমাকে মজা করার জন্য এই পুরস্কার দেয়নি। তবে, যাতে আমরা আমাদের অবস্থানে আরো স্পষ্ট থাকতে পারি, সেজন্যই উৎসাহিত করেছেন’। তবে, আগামী ডিসেম্বরে তিনি স্টকহোমে পুরস্কার নিতে আসবেন কিনা, সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো দেননি।</p> <p>হান কাং তার ‘সাক্ষী-সাহিত্যের’ জন্য পরিচিত, যেখানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে দুঃখজনক এবং হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে কাজ করেছেন। তার বাবা কোরিয়া টাইমসকে বলেছেন যে, ‘তাঁর মেয়ে কোরিয়ায় লেখক হওয়া থেকে বিশ্বব্যাপী সচেতনতার দিকে ক্রমবর্ধমানভাবে অগ্রসর হয়েছে’। হ্যান কাং বলেন যে, তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়ে বিস্মিত এবং সম্মানিত।</p> <p>নোবেল ফাউন্ডেশনের ওয়বেসাইটে হান কাংয়ের একটি সাক্ষাৎকার রয়েছে যা গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে তিনি বলেছিলেন যে, কোরিয়ার সময় সন্ধ্যায় তিনি খবরটি পেয়েছিলেন এবং তারপর তিনি তার ছেলের সঙ্গে এক কাপ চা খেয়ে পুরস্কারটি উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।</p>