<p>মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় শান রাজ্যে জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। কারেনি প্রতিরোধ বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত পিনলাউং এবং পেকনের মধ্যবর্তী এলাকায় গ্রামগুলো ফিরে পেতে জান্তা ও তাদের মিত্র পা’ও ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (পিএনও) কয়েক দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার দি ইরাবতী জানিয়েছে।</p> <p>ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিনলাউং শহর থেকে হাজারখানেক জান্তা সেনা এবং পিএনও মিলিশিয়া পার্বত্য অঞ্চলটির অন্তত পাঁচটি এলাকায় অগ্রসর হওয়ার পর সেখানে প্রায় এক মাস ধরে তীব্র লড়াই চলছে বলে স্থানীয় এক গ্রামের বাসিন্দা জানিয়েছেন। জান্তা সরকার আকাশপথে হামলা শুরুর পর সংঘর্ষের তীব্রতা আরো বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘তিন দিন ধরে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সংঘাতের তীব্রতাও বেড়েছে।’<br /> পেকন টাউনশিপ পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) একজন সদস্য ইরাবতীকে বলেছেন, ‘জান্তা সরকার ড্রোন হামলাও বাড়িয়েছে। বড় মাত্রায় হামলা শুরুর পর দুই পক্ষই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটছে।’</p> <p>মিত্র বাহিনীর একজন কর্মকর্তার মতে, চলমান যুদ্ধে ১৪ জন প্রতিরোধ যোদ্ধা আহত হয়েছেন। বনমাউক গ্রামের একজন বাস্তুচ্যুত গ্রামবাসী জানান, সংঘর্ষের ফলে পিনলাউং-পেকন এলাকার প্রায় ১৬টি গ্রামের বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা চলমান লড়াইয়ের মধ্যে আটকা পড়েছে।</p> <p>জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ৪ সেপ্টেম্বর শান রাজ্যের সিহসেং এবং কারেনি (কায়া) রাজ্যের লোইকাও পরিদর্শনের পর শান-কারেনি সীমান্তে নতুন করে তীব্র হামলা শুরু হয়। </p> <p>সূত্র : দি ইরাবতী</p>