ঢাকা, রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫
৮ চৈত্র ১৪৩১, ২২ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫
৮ চৈত্র ১৪৩১, ২২ রমজান ১৪৪৬

দুই দেশের মাঝখানে বসবাস তাদের, অভিজ্ঞতা কেমন?

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
দুই দেশের মাঝখানে বসবাস তাদের, অভিজ্ঞতা কেমন?
ছবিসূত্র : ডয়চে ভেলে

সাসটাভসির পৌরসভাটির একাংশ বসনিয়ার, আরেক অংশ সার্বিয়ার। ফলে দিনে কয়েকবার সীমান্ত পাড়ি দিতে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান সাসটাভসির বাসিন্দারা।

হায়রো গিবানিৎসা সাসটাভসির বাসিন্দা।

যার একাংশ সার্বিয়ার, আরেক অংশ বসনিয়া ও হ্যারৎসেগোভিনার অংশ। সাসটাভসির একাংশকে বসনিয়ায় সার্বিয়ার এক্সক্লেভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, অন্য অংশকে সেই এক্সক্লেভে বসনিয়ার এনক্লেভ বিবেচনা করা হয়।

হায়রো সাসটাভসি পৌরসভাটির বসনিয়া অংশের বাসিন্দা। এটি সার্বিয়ার শহর প্রিবয়ের সঙ্গে যুক্ত।

বসতিটির প্রধান সড়ক দুই দেশের মধ্য দিয়ে গেছে। ফলে প্রিবয় পৌঁছাতে প্রতিবার তার একদিকে দুটি সীমান্ত চৌকি পার হতে হয়।

আরো পড়ুন
জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়, বিদ্যুৎহীন কিউবার লাখ লাখ মানুষ

জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়, বিদ্যুৎহীন কিউবার লাখ লাখ মানুষ

 

তিনি বলেন, ‘এক সীমান্তে দশ মিনিট, অন্যটিতেও দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। এভাবে দিনে ৪০ মিনিট চলে যায় আমার।

অথচ ওটা ২০ মিনিটের দূরত্ব।’ হায়রো মূলত অবসর জীবনযাপন করছেন। তবে এখনো মাঝে মাঝে কারিগরের কাজ করেন। মাঝে মাঝে তাকে দিনে তিনবার সীমান্ত পাড়ি দিতে হয়।

হায়রো গিবানিৎসা বলেন, ‘চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়, ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে হয়।

স্ত্রীর পেনশনের জন্য পোস্ট অফিসে যেতে হয়। সব কাজই প্রিবয়ে, শুধু ঘুমাই এখানে।’ সাসটাভসির অন্য ৭০০ বাসিন্দার মতো হায়রোরও বসনিয়ার এবং সার্বিয়ার নাগরিকত্ব রয়েছে।

পৌরসভার মাঝখানে একটি রাস্তা রয়েছে, যার এক দিক সার্বিয়ায়, অন্যদিক বসনিয়ায় শেষ হয়েছে। সাসটাভসির মেয়র সৎয়েটো ভিলটিক এক সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে বলেন, ‘দুই দেশের মানুষের মধ্যে সীমান্ত এই সেতুটিও। যুগোস্লাভিয়ার যুগে এটা একটা দেশ ছিল। ফলে এখনকার মতো সমস্যা ছিল না। এখন আমরা সার্বিয়ায়, কিন্তু আমাদের পেছনে সেতুর অন্য অংশ বসনিয়ায়।’

আরো পড়ুন
ফ্রিজের দরজাই ওদের ভরসা, নেই নৌকা

ফ্রিজের দরজাই ওদের ভরসা, নেই নৌকা

 

সীমান্ত সমস্যা কিভাবে সাসটাভসির বাসিন্দাদের ভোগাচ্ছে তা ব্যাখ্যা করেছেন ভিলটিক। এখানকার অধিকাংশ মানুষ পশুপালক এবং আশপাশের বাজারে তারা পণ্য বিক্রি করেন। কিন্তু সীমান্তের কারণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অনেক।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাইলেই যেকোনো কিছু প্রিবয়ের বাজারে নিতে পারি না। সব কিছুর জন্য অনুমতি নিতে হয়। যেমন আমি এক ব্যক্তিকে পনির প্রিবয়ে নেওয়ার অনুমতি দিচ্ছি, যাতে তিনি তা সেখানে বিক্রি করতে পারেন। মানুষ এসবে বিরক্ত এবং আমরা আশা করি, শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে। আমরা কারা এবং কী করতে পারি, তা পুরোপুরি স্বচ্ছ হওয়া উচিত।’

তার আগ অবধি সৎয়েটো ভিলটিককে সার্বিয়ায়ই বসবাস করতে হবে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বসনিয়ার ক্যাফেতে যেতে হবে। হায়রো গিবানিৎসারও প্রতিদিন সীমান্ত পার হতে হবে। যদিও অনেক বছর ধরে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন তাদের, তারপরও এক দিন স্বাধীনভাবে ঘোরাঘুরির আকাঙ্ক্ষা তাদের শেষ হয়ে যায়নি।


 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সৌদি আরবে শান্তি আলোচনা নিয়ে অগ্রগতির আশা মস্কোর

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
সৌদি আরবে শান্তি আলোচনা নিয়ে অগ্রগতির আশা মস্কোর
সৌদি আরবে সোমবার অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়া সোমবার সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনায় ‘কিছুটা অগ্রগতি’ অর্জনের আশা করছে। দেশটির এক আলোচক রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, যার লক্ষ্য হচ্ছে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ থামানোর পথ খোঁজা।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে।

এর বদলে তারা কেবল জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর বিমান হামলা বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এ প্রস্তাব সত্ত্বেও আলোচনা শুরুর আগ পর্যন্ত উভয় পক্ষই বিমান হামলা চালিয়ে গেছে। শুক্রবার রাতে রাশিয়ার একটি হামলায় ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাপোরিঝিয়ায় তিনজনের একটি পরিবার নিহত হয়, যা ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।  

সৌদি আরবে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের আলোচকরা আলাদাভাবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

মার্কিন দূত কিথ কেলোগ এটিকে হোটেল কক্ষের মধ্যে ‘শাটল ডিপ্লোমেসি’ বলে উল্লেখ করেছেন। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক তৎপরতা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।

রাশিয়ার প্রতিনিধি দলনেতা সিনেটর গ্রিগরি কারাসিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল জভেজদাকে বলেন, ‘আমরা অন্তত কিছু অগ্রগতি অর্জন করতে চাই।’ তবে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ করেননি।

তিনি আরো জানান, তার সহআলোচক ও এফএসবি উপদেষ্টা সের্গেই বেসেদা আলোচনা প্রক্রিয়ায় ‘লড়াইপূর্ণ ও গঠনমূলক’ মনোভাব নিয়ে অংশ নেবেন।  

এদিকে এক দিন আগেই একজন জ্যেষ্ঠ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিয়েভ অন্তত জ্বালানি, অবকাঠামো ও সমুদ্রবন্দর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বন্ধ করার বিষয়ে সমঝোতা করতে চায়।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন চ্যানেল জভেজদাকে কারাসিন বলেন, ‘আমরা অন্তত একটি সমস্যার সমাধানের জন্য লড়তে যাচ্ছি।’ রাশিয়ার প্রতিনিধিদল রবিবার সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে এবং মঙ্গলবার ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  

পরিবার নিহত
শান্তি আলোচনা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে রাশিয়ার আলোচক নির্বাচন নিয়ে।

কারণ আলোচকদের কেউই ক্রেমলিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন। কারাসিন একজন কূটনীতিক, যিনি বর্তমানে রাশিয়ার সংসদের উচ্চকক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে বেসেদা দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির সঙ্গে যুক্ত এবং বর্তমানে সংস্থাটির পরিচালককে পরামর্শ দিচ্ছেন। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ইইউপন্থী বিপ্লবের সময় কিয়েভে রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের ঘটনায় বেসেদার ভূমিকা ছিল বলে স্বীকার করে এফএসবি।  

ইউক্রেন রাশিয়ার সদিচ্ছা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং চলমান হামলার জন্য দেশটির সমালোচনা করেছে, যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত মঙ্গলবার সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।

এদিকে ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী শনিবার জানিয়েছে, রাশিয়া রাতভর ১৭৯টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। জাপোরিঝিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার রাতে এক পরিবারের ওপর ড্রোন হামলা চালানো হয়, এতে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীসহ পুরো পরিবার নিহত হয়। গভর্নর ইভান ফেদোরভ টেলিগ্রামে জানান, ‘মেয়েটি ও তার বাবার মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসকরা দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা মায়ের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।’  

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির দপ্তরের প্রধান আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেন, ‘রাশিয়া আবারও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং একটি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করে জাপোরিঝিয়ায় ১৪ বছরের এক শিশুকে হত্যা করেছে।’ রাশিয়া ইরানি ধাঁচের এই বিস্ফোরক ড্রোনগুলো দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে।  

ইউক্রেনও রাশিয়ায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে, এতে দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ-অন-ডন শহরে দুজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি পূর্বাঞ্চলীয় শহর পোক্রোভস্কে অবস্থানরত সেনাদের পরিদর্শন করেছেন। এই শহরটি কয়েক মাস ধরে রুশ বাহিনীর অবরোধের শিকার।

মন্তব্য

কড়াইয়ে গুলি ছেঁকছিলেন এসআই, সেখান থেকেই বিস্ফোরণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কড়াইয়ে গুলি ছেঁকছিলেন এসআই, সেখান থেকেই বিস্ফোরণ
প্রতীকী ছবি : এএফপি

ভারতের কেরালা রাজ্যে গত ১০ মার্চ আচমকাই বিস্ফোরণ হয় কোচি পুলিশের ত্রিপুনিথুরা পুলিশ শিবিরে। বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশের একটি দল। এবার জানা গেল কিভাবে ঘটেছিল সেই বিস্ফোরণ। ভারতীয় গণমাধ্যম শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি বলছে, কোচি সিটি পুলিশের আর্মড রিজার্ভ ক্যাম্পে বাহিনীর গোলাবারুদ শাখার দায়িত্বে যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার গাফিলতিতেই এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ কমিশনার পুত্তা বিমলাদিত্যের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপপরিদর্শক মর্যাদার এক কর্মকর্তা সেদিন গুলি পরীক্ষা করে দেখছিলেন। শিবিরের অস্ত্রাগারে মরচে ধরা বেশ কিছু গুলি চোখে পড়ে তার। সেই গুলিগুলো ঠিক আছে কি না, দেখার জন্য তিনি কড়াইয়ে রেখে ছেঁকা শুরু করেন।

আর তার জেরেই বিস্ফোরণ হয় পুলিশ শিবিরে।

আনন্দবাজার অনুসারে, সেই ঘটনায় পুলিশ শিবিরের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কেউ হতাহত হননি। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে, তা কারো ধারণাতেই ছিল না বলে পুলিশের সূত্রের দাবি।

মন্তব্য

জার্মানির শিল্প খাতে বাড়ছে চীনা প্রভাব, হুমকিতে কর্মসংস্থান-জিডিপি

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
জার্মানির শিল্প খাতে বাড়ছে চীনা প্রভাব, হুমকিতে কর্মসংস্থান-জিডিপি
জার্মান গাড়ি নির্মাতা অডির কারখানায় একজন কর্মী কাজ করছেন। ফাইল ছবি : এএফপি

জার্মানির শিল্প খাতে ক্রমাগত চীনের প্রভাব বাড়ছে। চীন শুধু জার্মানির ফোকসভাগেন, মার্সিডিজের মতো গাড়ির বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই থেমে থাকেনি। রাসায়নিক ও প্রকৌশল খাতেও বাড়ছে চীনের উপস্থিতি। সেন্টার ফর ইউরোপীয় রিফর্মের (সিইআর) একটি প্রতিবেদন বলছে, জার্মানির শিল্প কারখানার কাঠামো বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।

যে কারণে আগামী পাঁচ বছরে শিল্প উৎপাদন কমে গিয়ে ৫৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ও জিডিপির ২০ শতাংশ হুমকির মুখে পড়তে পারে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জার্মানি তার দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনে। যে কারণে রাসায়নিক ও ইস্পাতের মতো শিল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছে। আর সেই অবস্থায় বাড়তি চাপ তৈরি করেছে চীনের ‘মেইড ইন চায়না ২০২৫’ কৌশল, যা চীনের স্বল্প মূল্যের উৎপাদন থেকে উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পে রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করেছে এবং সেটি জার্মানির মূল অর্থনৈতিক খাতের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করছে।

শুরুতে জার্মানি চীনের অর্থনৈতিক উত্থানে প্রভাবিত হয়নি। কারণ তারা প্রযুক্তিগতভাবে নিম্ন প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে বেইজিংয়ের শিল্প নীতি যখন থেকে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ শিল্প, যেমন মোটরগাড়ি, ক্লিন টেকনোলজি ও যন্ত্র প্রকৌশলে সম্প্রসারিত হয়েছে, তখন থেকে দেশটির প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে জার্মানিতে।

চীনের দ্রুত অগ্রগতি সবচেয়ে স্পষ্টতই অটোমোবাইল বা গাড়ির শিল্পে।

জার্মান গাড়ি নির্মাতারা বৈদ্যুতিক যানবাহনের দিকে ধীরগতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাপক ছাঁটাই ও দেশীয় কারখানা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে দেশটিতে।

জার্মানির যন্ত্র প্রকৌশল খাতেও এর প্রভাব পড়েছে। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিল্প যন্ত্রপাতি রপ্তানির বৈশ্বিক বাজার কিছুটা হ্রাস পেলেও চীনে অর্ধেকেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে জার্মানিকে ছাড়িয়ে গেছে।

জার্মান শিল্পগুলোর মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো চীনের ব্যাপক ভর্তুকি। ২০১৯ সালে চীনের শিল্প ভর্তুকির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ২২১ বিলিয়ন ইউরো, যার মধ্যে রাসায়নিক, যন্ত্রপাতি, মোটরগাড়ি ও ধাতু শিল্পগুলো সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে চীনের নির্মাতারা কম খরচে উৎপাদন করতে পারছেন, যা জার্মান নির্মাতাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছে।

জার্মান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানিগুলো চীনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে। কারণ চীন তাদের চেয়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে পণ্য সরবরাহ করতে পারে। চীনে জার্মান চেম্বার অব কমার্সের একটি জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশি জার্মান সংস্থা মনে করছে, চীনের কম্পানিগুলো পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বে বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠবে।

তবে অর্থনীতিবিদরা জার্মানিকে পরামর্শ দিচ্ছেন, সব ক্ষেত্রে আধিপত্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টার পরিবর্তে ওষুধ, জৈবপ্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক শিল্পের মতো যেসব ক্ষেত্রে এখনো জার্মানির শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে সেগুলোতে মনোনিবেশ করা। এ ছাড়া ব্যাবসায়িক নেতা ও নীতিনির্ধারকদের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কেউ কেউ যুক্তি দিচ্ছেন, ঝুঁকির মুখে থাকা শিল্পগুলোকে রক্ষা করার ওপর জার্মানির মনোযোগ উদ্ভাবনকে ধীর করে দিয়েছে।

এদিকে আগামী ১২ বছরে এক ট্রিলিয়ন ইউরোর প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামো ব্যয় পরিকল্পনা জার্মানির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করতে পারে। তবে উদ্বেগ রয়েছে, এই বিনিয়োগের একটি বড় অংশ উচ্চ-প্রবৃদ্ধির শিল্পকে উৎসাহিত করার পরিবর্তে সামরিক প্রকল্পগুলোতে ব্যয় হবে।

মন্তব্য

সম্পূর্ণরূপে চালু হলো হিথ্রো বিমানবন্দর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সম্পূর্ণরূপে চালু হলো হিথ্রো বিমানবন্দর
ছবিসূত্র : এএফপি

বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে এক দিন বন্ধ থাকার পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে এই কথা জানানো হয়েছে।  

গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দরের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পরদিন ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিমানের শিডিউল বিপর্যয়ের পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল।

এতে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ লাখ যাত্রী দুর্ভোগে পড়ে।

বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের কারণে শুক্রবার বেশির ভাগ সময় লন্ডন বিমানবন্দর বন্ধ থাকে। এরপর সন্ধ্যার পর কিছু ফ্লাইট আসা এবং যাওয়া শুরু হয়।

আরো পড়ুন
ক্ষমা চাইলে ইমরান খানের মুক্তি সম্ভব : প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা

ক্ষমা চাইলে ইমরান খানের মুক্তি সম্ভব : প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা

 

মুখপাত্র আজ সকালে বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি হিথ্রো আজ খোলা এবং সম্পূর্ণরূপে চালু আছে।

গতকাল শুক্রবার বিমানবন্দরের বাইরের একটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে বিভ্রাটের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের সহায়তা করার জন্য বিমানবন্দরজুড়ে দলগুলো যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরেডার২৪ জানিয়েছে, বিমানবন্দর বন্ধের ফলে কমপক্ষে ১ হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট প্রভাবিত হবে। শনিবার পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ার পের বিলম্ব এবং বাতিলকরণের সম্ভাবনা ছিল।

প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী হিথ্রো ব্যবহার করেন।

বছরে ৮ কোটি ৩০ লাখ যাত্রী বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে এটিকে একটি করে তোলে। হিথ্রো থেকে বিমানগুলো প্রায় ৮০টি দেশে পরিষেবা প্রদান করে। এই ব্যাঘাতের মাত্রা যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ অবকাঠামোর দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে যে আগুন লেগেছে, তা সন্দেহজনক নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ