সাসটাভসির পৌরসভাটির একাংশ বসনিয়ার, আরেক অংশ সার্বিয়ার। ফলে দিনে কয়েকবার সীমান্ত পাড়ি দিতে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান সাসটাভসির বাসিন্দারা।
হায়রো গিবানিৎসা সাসটাভসির বাসিন্দা।
সাসটাভসির পৌরসভাটির একাংশ বসনিয়ার, আরেক অংশ সার্বিয়ার। ফলে দিনে কয়েকবার সীমান্ত পাড়ি দিতে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান সাসটাভসির বাসিন্দারা।
হায়রো গিবানিৎসা সাসটাভসির বাসিন্দা।
হায়রো সাসটাভসি পৌরসভাটির বসনিয়া অংশের বাসিন্দা। এটি সার্বিয়ার শহর প্রিবয়ের সঙ্গে যুক্ত।
তিনি বলেন, ‘এক সীমান্তে দশ মিনিট, অন্যটিতেও দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। এভাবে দিনে ৪০ মিনিট চলে যায় আমার।
হায়রো গিবানিৎসা বলেন, ‘চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়, ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে হয়।
পৌরসভার মাঝখানে একটি রাস্তা রয়েছে, যার এক দিক সার্বিয়ায়, অন্যদিক বসনিয়ায় শেষ হয়েছে। সাসটাভসির মেয়র সৎয়েটো ভিলটিক এক সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে বলেন, ‘দুই দেশের মানুষের মধ্যে সীমান্ত এই সেতুটিও। যুগোস্লাভিয়ার যুগে এটা একটা দেশ ছিল। ফলে এখনকার মতো সমস্যা ছিল না। এখন আমরা সার্বিয়ায়, কিন্তু আমাদের পেছনে সেতুর অন্য অংশ বসনিয়ায়।’
সীমান্ত সমস্যা কিভাবে সাসটাভসির বাসিন্দাদের ভোগাচ্ছে তা ব্যাখ্যা করেছেন ভিলটিক। এখানকার অধিকাংশ মানুষ পশুপালক এবং আশপাশের বাজারে তারা পণ্য বিক্রি করেন। কিন্তু সীমান্তের কারণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অনেক।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাইলেই যেকোনো কিছু প্রিবয়ের বাজারে নিতে পারি না। সব কিছুর জন্য অনুমতি নিতে হয়। যেমন আমি এক ব্যক্তিকে পনির প্রিবয়ে নেওয়ার অনুমতি দিচ্ছি, যাতে তিনি তা সেখানে বিক্রি করতে পারেন। মানুষ এসবে বিরক্ত এবং আমরা আশা করি, শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে। আমরা কারা এবং কী করতে পারি, তা পুরোপুরি স্বচ্ছ হওয়া উচিত।’
তার আগ অবধি সৎয়েটো ভিলটিককে সার্বিয়ায়ই বসবাস করতে হবে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বসনিয়ার ক্যাফেতে যেতে হবে। হায়রো গিবানিৎসারও প্রতিদিন সীমান্ত পার হতে হবে। যদিও অনেক বছর ধরে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন তাদের, তারপরও এক দিন স্বাধীনভাবে ঘোরাঘুরির আকাঙ্ক্ষা তাদের শেষ হয়ে যায়নি।
সম্পর্কিত খবর
যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ গ্রিন কার্ডধারী ৩৪ বছর বয়সী জার্মান নাগরিক ফ্যাবিয়ান শমিটকে গত ৭ মার্চ ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের লোগান বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্মকর্তারা আটক করেছেন। এরপর তার পরিবার অভিযোগ করে, তাকে অপমানজনক ও সহিংস আচরণের শিকার হতে হয়েছে।
নিউজউইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শমিট কৈশোর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বর্তমানে নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা। লুক্সেমবার্গ সফর শেষে ফেরার সময় তিনি আটক হন।
শমিটের পরিবার আরো জানিয়েছে, তার গ্রিন কার্ড সাম্প্রতিককালে নবায়ন করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি মামলাও নেই, তবু কেন তাকে আটক করা হয়েছে, তা তারা জানেন না। শমিটের সঙ্গী তাকে বিমানবন্দরে নিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু চার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনো খবর না পেয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বর্তমানে পরিবার তার মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শমিটের মা আস্ট্রিড সিনিয়র বলেন, ‘শুধু বলা হয়েছিল, তার গ্রিন কার্ড ফ্ল্যাগ করা হয়েছে।’ তিনি জানান, শমিটকে অপমানজনক ও সহিংস আচরণের শিকার হতে হয়েছে। তার অভিযোগ, ছেলেকে উলঙ্গ করে জোরপূর্বক ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করানো হয় এবং অল্প খাবার-পানীয় দেওয়া হয়। পরে শরীর খারাপ হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
আস্ট্রিড ব্যাখ্যা করেন, ২০২৩ সালে শমিট তার পুরনো গ্রিন কার্ড হারানোর পর আইনিভাবে নতুন কার্ড ইস্যু করিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সময় তার নথিপত্র ফ্ল্যাগ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষার সহকারী কমিশনার হিল্টন বেকহ্যাম নিউজউইককে বলেন, ‘যদি কোনো আইন বা ভিসার শর্ত লঙ্ঘিত হয়, তবে ভ্রমণকারীরা আটক বা বহিষ্কৃত হতে পারেন। তবে ফেডারেল গোপনীয়তা নীতির কারণে আমরা নির্দিষ্ট মামলার তথ্য প্রকাশ করতে পারি না।’
শমিটকে অবৈধ আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি
উত্তর মেসিডোনিয়ায় একটি নৈশক্লাবে হিপহপ কনসার্ট চলাকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫১ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত বলকান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার এ তথ্য জানান।
পূর্বাঞ্চলীয় শহর কোকানিতে পালস নামের ওই নৈশক্লাবে শনিবার রাতের কনসার্টে এক হাজারের বেশি তরুণ দর্শক উপস্থিত ছিল।
তস্কোভস্কি আরো জানান, আহতদের কোকানি শহরের স্থানীয় হাসপাতাল, রাজধানী স্কোপিয়ে ও দক্ষিণে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের শ্তিপ শহরের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের রাজধানী স্কোপিয়ের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।
কনসার্টটি মধ্যরাতে শুরু হয়। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এসডিকে জানায়, আগুন লাগে স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে। সম্ভবত কনসার্টে ব্যবহৃত আতশবাজি থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন তস্কোভস্কি। তিনি বলেন, ‘যখন তথাকথিত স্প্রিংকলার চালু করা হয়, তখন স্ফুলিঙ্গগুলো ক্লাবের ছাদে লেগে যায়, যা সহজেই দাহ্য—এমন উপাদানে তৈরি ছিল।
আগুন লাগার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে বিশেষ ধরনের ইনডোর আতশবাজি ব্যবহৃত হচ্ছিল। বলকান অঞ্চলের সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত অন্যান্য ভিডিওতে দেখা গেছে, ভবনের প্রবেশপথ আগুনে পুড়ে কালো হয়ে গেছে।
এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তেতোভো শহরের কভিড-১৯ রোগীদের জন্য নির্ধারিত একটি ইউনিটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছিল।
সূত্র : এএফপি
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে হুতিদের ওপর মার্কিন বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ৩১ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। এই হামলা বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। খবর আলজাজিরার।
খবরে বলা হয়, ইয়েমেনের হুতিদের বিরুদ্ধে বৃহৎ পরিসরে সামরিক হামলার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাকে সংলাপে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কো রুবিওর যুক্তির জবাবে সের্গেই ল্যাভরভ অবিলম্বে হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি আরো রক্তপাত বন্ধের জন্য সব পক্ষের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
এর আগে শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুতিদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বলেন, তোমাদের সময় শেষ, আজ থেকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি তোমরা এটা না করো তাহলে তোমাদের ওপর নরকের বৃষ্টি নেমে আসবে।
এরপরই হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর হুতিদের ওপর চালানো যুক্তরাষ্ট্রের এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।
রোববার হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি বলেন, মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ১০১ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরো এই হামলাগুলোকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শেষে কাতার থেকে ফিরে আসা একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
টাইমস অব ইসরায়েল ও আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ওই বৈঠকে ইসরায়েলি মন্ত্রী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নেতানিয়াহু ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবের অধীনে আলোচনার প্রস্তুতির নির্দেশ দেন, যার মধ্যে ১১ জন ইসরায়েলি বন্দীর তাৎক্ষণিক মুক্তি এবং মৃত বন্দীদের অর্ধেকের দেহাবশেষ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম কেএএন জানিয়েছে যে, উইটকফ ১০ জন বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি ৬০ দিনের জন্য বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানো এবং আরো ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে শেষ জীবিত ইসরায়েলি-মার্কিন জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি-মার্কিন দ্বৈত নাগরিকত্বধারী আরো চারজন— ইতাই চেন, ওমর নিউট্রা, গাদি হাগাই এবং জুডি ওয়েইনস্টাইনের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই হামাসের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।