<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ার সরকারকে সহায়তা করতে দেশটিতে কয়েক শ ইরানপন্থী ইরাকি মিলিশিয়া প্রবেশ করেছে। সিরিয়ায় বিদ্রোহী আর সরকারি বাহিনীর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবারও তুমুল লড়াই চলেছে।  বিদ্রোহীরা মধ্য সিরিয়ায় হামা শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের রুখতে সিরীয় ও রুশ বিমান বাহিনী বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইরাকের দুই সূত্র জানায়,  বদর ও নুজাবা গোষ্ঠীর অন্তত ৩০০ যোদ্ধা সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, ইরানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইরাকি হাসদ আল শাবি যোদ্ধারা আল বুকামাল ক্রসিংয়ের কাছে একটি সামরিক রুট দিয়ে সিরিয়ায় ঢুকেছে। সূত্র বলেছে, উত্তরাঞ্চলের ফ্রন্টলাইনে সিরীয় যোদ্ধাদের সহায়তা করতে এই ইরাকি বাহিনীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। এই বাহিনীর মধ্যে ইরাকের কাতাইব হিজবুল্লাহ এবং ফাতেমিয়ুন গোষ্ঠীর মিলিশিয়ারাও রয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের অন্যতম প্রধান মিত্র ইরান। বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘাতে আসাদ সরকারের পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার করেছে ইরান। ২০১১ সালে সিরিয়া গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরানপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো দেশটিতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে মিলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করেছে এবং সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এসব গোষ্ঠীগুলো তাদের ঘাঁটি ধরে রেখেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস গতকাল জানায়, সিরিয়ার বিদ্রোহীরা হামা শহরের দিকে আরো এগিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় তাদের সঙ্গে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর তুমুল লড়াই হচ্ছে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সপ্তাহ থেকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের আক্রমণ  শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) এবং এর কয়েকটি সহযোগী দল এই আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এরই মধ্যে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোসহ বেশ কিছু জায়গা দখল করে নিয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের সেনাদের বিরুদ্ধে এটি বিদ্রোহীদের বড় হামলা। ২০১৬ সালে আলেপ্পো থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দিয়েছিল সিরীয় বাহিনী। এবার আক্রমণ চালিয়ে শহরটিতে আবার প্রবেশ করেছে তারা।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবজারভেটরি  জানায়,  হামার উত্তরে গ্রামাঞ্চলে সংঘাত শুরু হয়েছে। রাশিয়া ও সিরিয়ার বিমান বাহিনী সেখানে বিমান হামলা চালাচ্ছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানাও জানিয়েছে, হামা প্রদেশ ও উত্তর-পশ্চিমে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি ইদলিবে রুশ ও সিরীয় বাহিনীর বিমান হামলা চালাচ্ছে। সিরিয়ার আসাদ সরকারের অন্যতম প্রধান মিত্র রাশিয়া। ২০১৫ সাল থেকে আসাদ সরকারের সমর্থনে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে রাশিয়া। ওই সময় থেকে তারা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিমান হামলা শুরু করে। সম্প্রতি সিরিয়ায় নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে আসাদ সরকারকেই সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়ায় সিরিয়ায় সংঘাতে ৭২ বেসামরিকসহ সাড়ে চার শর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, চলমান সংঘাতে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।  সিরিয়া সংঘাত নিয়ে  উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে লড়াইয়ের অবসান চেয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সিরিয়ায় সংঘাত ঘিরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, সাধারণ মানুষ ও বেসামরিক বিষয়বস্তুকে রক্ষায় সব পক্ষকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। সহিংসতা থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপদ পথের সুযোগ করে দিতে হবে। সূত্র : এএফপি, দ্য এরাব উইকলি, আল-এরাবিয়া নিউজ</span></span></span></span></span></p>