<p>ইরানে হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। মেটার মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের ওপর দীর্ঘদিন ধরে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল ইরানে। সে দেশে গুগল প্লে স্টোরও ব্যবহার করা যেত না। গত মঙ্গলবার ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ইরনা এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের নেতৃত্বে এসংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, এখন থেকে দেশে হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে ব্যবহার করা যাবে।</p> <p>মাসুদ পেজেশকিয়ান চলতি বছরের জুলাইয়ে ইরানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। তিনি দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেটের ওপর বিদ্যমান বিধি-নিষেধ দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন।</p> <p>ইরানের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী সাত্তার হাশেমি জানিয়েছেন, ইন্টারনেটের ওপর যে একাধিক নিষেধাজ্ঞা ছিল তা একে একে তুলে নেওয়া হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে খুলে দেওয়া এর প্রথম পদক্ষেপ। ফেসবুক, এক্স, ইউটিউবের ওপর অবশ্য এখনো নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা দূর করার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপটি নেওয়া হলো। তবে এই সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর হবে, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।</p> <p>২০০৯ সালে ইরানে ফেসবুক, তৎকালীন টুইটার (বর্তমান এক্স) ও ইউটিউব ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকে ইরানে এগুলো নিষিদ্ধ রয়েছে। ২০১৮ সালে আদালতের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল টেলিগ্রামও। এই প্ল্যাটফরমগুলোর ওপর থেকে এখনো নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়নি। তবে ভিপিএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইরানে কোনো আপত্তি নেই। ফলে ভিপিএন ব্যবহার করে সহজেই এই প্ল্যাটফরমগুলো ব্যবহার করে ইরানের বহু মানুষ।</p> <p>২০২২ সালে ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তখন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয় ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ। সূত্র : আলজাজিরা</p> <p> </p>