দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগের বিচারের প্রথম শুনানিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সিউলের একটি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। দেশটির ইতিহাসের প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হলেন ইউন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করে একটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ইউনকে গত ৩ ডিসেম্বর অভিযুক্ত করেন সরকারি কৌঁসুলিরা।
সিউল ডিটেনশন সেন্টার থেকে বিচার মন্ত্রণালয়ের গাড়িবহরে করে ইউনকে আদালতে আনা হয়।
আদালতের বাইরে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশের বেশ কিছু গাড়ি মোতায়েন ছিল।
মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলিরা। তবে ইউনের আইনজীবীরা বলেছেন, রেকর্ড পর্যালোচনার জন্য তাঁদের আরো সময় প্রয়োজন।
ইউনের এক আইনজীবী আদালতকে বলেন, দেশকে অচল করার কোনো উদ্দেশ্য ইউনের ছিল না।
আইনসভায় বিরোধী দলের একনায়কতন্ত্র সম্পর্কে জনগণকে অবগত করাই ছিল তাঁর সামরিক আইন ঘোষণার উদ্দেশ্য।
দোষী সাব্যস্ত হলে সামরিক আইনের ডিক্রির জন্য ইউনের বেশ কয়েক বছর কারাদণ্ড হতে পারে। এই ঘটনায় এরই মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে অভিশংসিত করা হয়েছে এবং জড়িত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া আদালতে ইউনের কারামুক্তি আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবীরা।
তাঁদের ভাষ্য, বিষয়টি অবৈধভাবে তদন্ত করা হয়েছে। কারামুক্ত হয়ে ইউন প্রমাণ নষ্ট করবেন বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।
ইউনকে আটক রাখার বিষয়ে আদালত কবে নাগাদ রায় দেবেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে ইউনের ফৌজদারি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন এক বিচারক।
ফৌজদারি মামলার শুনানির পর ইউন গতকাল বিকেলে তাঁর অভিশংসনের শুনানির জন্য সাংবিধানিক আদালতে হাজিরা দেন।
ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুন হিউং-বে বলেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি হবে। ওই দিন ইউন ও আদালত চূড়ান্ত মতামত দেবেন। সূত্র : রয়টার্স