দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি হুমকি সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ব্যাপারে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান সরাসরি আলোচনায় রাজি হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তেহরানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ কূটনৈতিক আলোচনার সম্ভাবনার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সরাসরি আলোচনা করলেই ভালো হবে।
তাহলে বিষয়টি দ্রুত হয় বলেই আমি মনে করি। মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আলোচনার চেয়ে এভাবে অন্য পক্ষকে ভালোভাবে বোঝা সহজ হয়। তারা (ইরান) মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনা চেয়েছিল। আমি মনে করি, সেটার আর প্রয়োজন নেই।’
গত মাসে ট্রাম্প ইরানের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহবান জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিয়মিতভাবে ইরানকে সামরিক হামলার হুমকিও দিয়ে আসছেন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করলেও পরোক্ষ আলোচনার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে তেহরান। অবশ্য ইরান আসলেই অবস্থান পরিবর্তন করেছে কি না, নাকি ট্রাম্প তেহরানের অবস্থান নিয়ে জল্পনাকল্পনা করছেন তা স্পষ্ট নয়।
মার্কিন প্রশাসন ইরানের তেল রপ্তানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার লক্ষ্যে ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে আসছে।
২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প একটি বহুপক্ষীয় চুক্তি বাতিল করেন, যার ফলে ইরান নিজেদের অর্থনীতির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি কমিয়ে আনে। অবশ্য তেহরান দাবি করে আসছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না; যদিও ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ মিত্র ইসরায়েলের কাছে অঘোষিত পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে বলে মনে করা হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাতে ‘শান্তি’ বয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; যদিও তিনি ইরানকে প্রকাশ্য কূটনৈতিক পদক্ষেপের আহবান জানানোর পাশাপাশি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়ে আসছেন।’ সূত্র : আলজাজিরা