<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে রচিত হয়েছিল নতুন এক ইতিহাস। দক্ষিণ এশিয়ায় মেয়েদের ফুটবলের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। বাংলাদেশ জানিয়ে দিয়েছিল মেয়েরা পারেন। প্রমাণিত হয়েছিল বাংলাদেশ মেয়েরা ফুটবলে উন্নতি করেছেন এবং করছেন। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে ২০২৪ সালের সাফ নারী ফুটবলেও। ৩০ অক্টোবর বুধবার কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণার লক্ষ্যভেদে ২-১ গোলে স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখেন বাংলাদেশের মেয়েরা। মেতে ওঠেন উৎসবে। মুকুট ধরে রাখার অভিযান সফলভাবে শেষ করে বাংলাদেশ। ৫২তম মিনিটে মনিকা চাকমা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান আমিশা কারিকা। ৮১তম মিনিটে ঋতুপর্ণার করা গোলটি আগলে রেখে জয়ের আনন্দে মাতে বাংলাদেশ। দুই বছর আগে গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে এ মাঠেই নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম এই ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর এবারের কোচ বাটলারের হাত ধরে সেই মুকুট অক্ষত থাকল।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২২ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল মেয়েদের স্বপ্নটি বড় করে দিয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় ট্রফি জয়ে আরো ভালো করার অঙ্গীকারই যেন তুলে ধরেছিল। আন্তর্জাতিক খেলায় এমন একটি জয়ের জন্য দেশের ফুটবলভক্ত ও অনুরাগীরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছে। সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছিল ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। ৩০ অক্টোবর বুধবার আমরা দেখতে পেলাম, স্বপ্ন থেকে একটুও সরেননি বাংলাদেশের মেয়েরা। এবারের আসরে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা তহুরা খাতুন। করেছেন পাঁচটি গোল। ভারত ও ভুটানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে তিনি হয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়। ঋতুপর্ণা চাকমা হয়েছেন  টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে সাফল্য ধরে রাখলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আন্তর্জাতিক খেলায় এমন একটি জয়ের জন্য দেশের ফুটবলভক্ত ও অনুরাগীরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানতে হবে, মেয়েরা অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছেন। ফিটনেস ঠিক রাখা, স্কিলের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব এক দিনে সম্ভব হয়নি। এভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে যাওয়া, সুন্দর-উপভোগ্য-দাপুটে ফুটবল খেলা সম্ভব হয়েছে দলের মধ্যে বোঝাপড়ায় কোনো ঘাটতি ছিল না বলেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শতভাগ উজাড় করে খেললে জয় সম্ভব</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই বিশ্বাস নিয়েই নেপালের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আর দেশকে সত্যিকার অর্থে কিছু দিতে চাইলে তা যে সম্ভব, বুধবারের উচ্ছ্বাসই তার প্রমাণ। গোলের খেলা ফুটবল। বাংলাদেশের মেয়েরা মাঠে সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছেন বলেই বিজয়ীর হাসি হেসে মাঠ থেকে ফিরেছেন। এই জয় দেশের ফুটবলেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ। মাঠে তাঁদের নিজেদের দর্শক। আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌরভ ছড়িয়ে জয়ের আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই জয় অনেক বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। ফুটবলের প্রতি সাধারণ মানুষের আকর্ষণ ও ভালোবাসা বাড়বে এই জয়ের মধ্য দিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা, ফুটবলে মেয়েদের অংশগ্রহণ নিয়ে যে সামাজিক বাধা ছিল, সেটিও অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে।</span></span></span></span></p>