<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আট বছর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারার মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলাটি বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গতকাল বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ রিফাত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদালতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার ও মো. রাসেল আহমেদ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইনজীবী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার বিষয়বস্তুর সঙ্গে আসামিদের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। এখন পর্যন্ত বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। শুধু রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই মামলা করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে মামলাটি বাতিল করেছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১২ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (পরে ওই ভোট হয়নি) প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী অভিযোগ তুলেছিলেন, বিএনপির প্রার্থী করার বিনিময়ে তাঁর কাছে অর্থ চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ছেলের ওই ভূমিকার কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">্য তানভীর সিদ্দিকী। এর পর থেকে তানভীর ও ইরাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে দলটির নেতারা জানান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৬ সালে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর নামে খোলা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেখ হাসিনাকে হত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">্যার হুমকি দেওয়া হয়। তার আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">্যঙ্গাত্মক ছবিও আসে ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। এরপর বিভিন্ন স্থানে ইরাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। সেই সব ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন। সেদিন আদালত সুজনের বক্তব্য শুনে অভিযোগ আমলে নিয়ে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে বোয়ালখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলায় বাদী সুজনের অভিযোগ ছিল, ইরাদ সিদ্দিকী একা এই বক্তব্য দিতে পারেন না। নিশ্চয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তেই তিনি এ বক্তব্য ফেসবুকে দিয়েছেন। দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে অবশ্যই জানেন। তাঁদের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) অনুমতি নিয়েই ফেসবুকে হত্যার এই ষড়যন্ত্র প্রচার করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরে মামলার তদন্তকাজ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাথমিক শুনানির পর ২০১৭ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট মামলাটির তদন্তকাজ স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে রুল দিয়ে আদালত জানতে চান, কেন মামলাটি বাতিল করা হবে না। গতকাল এই রুল যথাযথ ঘোষণা করে মামলাটি বাতিল করলেন উচ্চ আদালত। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>