<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় উচ্চ আদালত ও বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ছয় আসামিকেই খালাস দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেন। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ। তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান আপিল না করলেও হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করায় তাঁরাও খালাস পেয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রায়ে বলা হয়েছে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সব আপিল মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত ও বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করা হলো। ফলে আপিলকারীদের বিরুদ্ধে আনা মামলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় তাঁরা সম্পূর্ণভাবে খালাস পেয়েছেন। তা ছাড়া হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত যাঁরা আপিল করেননি, এই রায় তাঁদের</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলা সম্পর্কে রায়ে বলা হয়েছে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আপিলের বিষয়বস্তু থেকে এটা প্রমাণ হয়, এই মামলায় আইনের ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রয়োগ ঘটেছে। সেই বিবেচনায় এটি একটি বিদ্বেষপূর্ণ মামলা। ফলে আপিল বিভাগের এই রায় আপিলকারীসহ অন্যদের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি তাঁদের নিরপরাধ ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত করবে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অযাচিত কর্মকাণ্ডেরও অবসান ঘটবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এ রায়ের ফলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আর কোনো দণ্ডাদেশ থাকছে না বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যদিও এ মামলায় রাষ্ট্রপতি আগেই খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সেখানে তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানও রয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনাথ শিশুদের জন্য অনুদান হিসেবে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ আরো চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ হাইকোর্টে আপিল করেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর আপিল খারিজ করে রায় দেন। এ রায়ে বিচারিক আদালতের সাজা বহাল রাখার পাশাপাশি দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে সাজা বাড়িয়ে খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মামলাটি করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া যাতে অংশ নিতে না পারেন। তত্কালীন সরকার আদালতকে ব্যবহার করে নির্বাচনের আগে সাজা দিয়েছিলেন। অনুমাননির্ভর সাক্ষ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এই রায় দেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, এই দুটি মামলাসহ বিগত সরকারের আমলে হওয়া সব মামলা খালেদা জিয়া আইনিভাবে মোকাবেলা করবেন। এই আইনি মোকাবেলার অংশ হিসেবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। গত বছর ১১ নভেম্বর সেই আবেদন শুনানির পর সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের সাজার রায় স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। গত ৭ জানুয়ারি আপিলে শুনানি শুরু হয়।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>