<p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারি বিতরণব্যবস্থা সচল রাখতে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতী সিদ্ধ চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ চাল আনতে ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএইএল অ্যাগ্রি কমোডিটিজ লিমিটেড এ চাল সরবরাহ করবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় চাল, সার ও এলএনজিসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">। যদিও চলতি অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কেনার বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সরকারের আমদানির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতী সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএইএল অ্যাগ্রি কমোডিটিজ লিমিটেডকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমদানি করা এই চাল আনতে প্রতি মেট্রিক টন ৪৭১.৬০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালে ব্যয় হবে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ৫৬.৫৯২ টাকা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানিসহ ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সিঙ্গাপুরভিত্তিক কম্পানি ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড এই কার্গো দুটি সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৩৬৬ কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার ৬৮০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪.৫৫ মার্কিন ডলার হিসাবে এই এলএনজি সরবরাহ করা হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশের কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটিসহ মোট সাতটি প্রস্তাবের বিপরীতে দুই লাখ ৩০ হাজার মে.টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানি করার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৯০০ কোটি ৮৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মে.টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশটির সঙ্গে সার আমদানি চুক্তি অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বা ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রতি টন ২৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এমওপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা সাত লাখ টন।  সভায় জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে সপ্তম লটে ৪০ হাজার মে.টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার আমদানি করা হবে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>