ফেব্রুয়ারিতে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩ শতাংশ

  • চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ২৬৮০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি
  • শুধু ফেব্রুয়ারিতে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩২৪ কোটি ডলারের
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ফেব্রুয়ারিতে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩ শতাংশ

দেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। গত মাসে ৩৯৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২.৭৭ শতাংশ বেশি। যদিও চলতি অর্থবছরের সাত মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে।

পণ্য রপ্তানির এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে তিন হাজার ২৯৪ কোটি ডলারের পণ্য।

গত অর্থবছরের একই সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৯৮০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১০.৫৩ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, হিমায়িত খাদ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়লেও হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে দুই হাজার ৬৮০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৪ শতাংশ বেশি। শুধু ফেব্রুয়ারিতে ৩২৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।

এই রপ্তানি গত বছরের ফেব্রুয়ারি তুলনায় ১.৬৬ শতাংশ বেশি। ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ সময় দেশের শীর্ষ রপ্তানি আয়ের খাত তৈরি পোশাক থেকে আয় এসেছে ৩২৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.৬৬ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩১৯ কোটি ডলার। নিটপণ্য রপ্তানি থেকে এ সময় ১৫৯ কোটি ২৭ লাখ ডলার আয় এসেছে।
এ সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.৭৭ শতাংশ। ওভেন পোশাক রপ্তানি এ সময় কিছুটা কমেছে। এ খাত থেকে আয় এসেছে ১৫৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। এর আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় কম হয়েছে ০.৪৪ শতাংশ। এর আগের বছর এই খাতের আয় ছিল ১৫৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার। 

কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭ শতাংশ। ছয় কোটি ৮৬ লাখ ডলার আয় এসেছে। এর আগের বছর ছিল ছয় কোটি ৪১ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪.৩৭ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে আট কোটি ৮৪ লাখ ডলার। এর আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল সাত কোটি ৯২ লাখ ডলার। হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ ২৬.৬৬ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে তিন কোটি ২৬ লাখ ডলার। এর আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল দুই কোটি ৫৭ লাখ ডলার। প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি ৭.৯৫ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে দুই কোটি ১৮ লাখ ডলার। আগের বছর ছিল দুই কোটি ডলার। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ১৮ লাখ ডলার।

এ সময় রপ্তানি আয় কমেছে পাট ও পাটজাত পণ্য ১১.৩৯ শতাংশ। আয় হয়েছে ছয় কোটি ৩৫ লাখ ডলার। এর আগের বছর এই আয় ছিল সাত কোটি ১৪ লাখ ডলার। হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি কমেছে ১.৫৬ শতাংশ। হোম টেক্সটাইলে কম হয়েছে ০.২৩ শতাংশ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বৈশ্বিক পণ্যবাজার (ডলারে)

শেয়ার

মুদ্রাবাজার

শেয়ার

করপোরেট খবর

শেয়ার
করপোরেট খবর

ওয়ালটন : দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন এনেছে নতুন মডেলের ১৩টি হাইব্রিড সোলার আইপিএস সলিউশন। ওয়ালটনের নতুন মডেলের হাইব্রিড সোলার আইপিএস সলিউশন সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচ কমাবে। ওয়ালটনের কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, আইপিএস সলিউশন মডেলগুলো বর্তমানে ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।


https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/03.March/28-03-2025/2/kalerkantho-ib-5a.jpg

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক : ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২৯২তম সভা হয়েছে গত মঙ্গলবার।

এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল কুদ্দুছ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সাইফুল আলম ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাগিব আহসানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ডিএসইতে সূচকের উত্থানেও কমেছে লেনদেন

বাণিজ্য ডেস্ক
বাণিজ্য ডেস্ক
শেয়ার
ডিএসইতে সূচকের উত্থানেও কমেছে লেনদেন

ঈদের ছুটির আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৫২১৯ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াসূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১১৬৯ ও ১৯১৭ পয়েন্টে রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। গতকাল ডিএসইতে ৩১৫ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১১৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৮৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ