মুসলমানদের একে অপরকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, বদনাম ও উপহাস করা, খারাপ নামে আখ্যায়িত করা, খারাপ ধারণা পোষণ করা, অন্যের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করা ইত্যাদি গুনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকতে বলা হয়েছে। এগুলো সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টি করে।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. দ্বিনের পথে অগ্রগামীরাই সিদ্ধান্ত নেবে।
(আয়াত : ১)
২. বড়দের সামনে উচ্চকণ্ঠ হয়ো না। (আয়াত : ২)
৩. সাহাবায়ে কিরাম (রা.) ক্ষমাপ্রাপ্ত। (আয়াত : ৩)
৪. প্রচারের আগে সংবাদ যাচাই করো। (আয়াত : ৬)
৫. মানুষের বিবাদ মিটিয়ে দাও। (আয়াত : ৯)
৬. কাউকে নিয়ে উপহাস কোরো না। (আয়াত : ১১)
৭. কাউকে মন্দ নামে ডেকো না। (আয়াত : ১১)
৮. খারাপ ধারণা ও গিবত থেকে বেঁচে থেকো।
(আয়াত : ১২)
৯. আল্লাহভীতি সম্মানের মাপকাঠি। (আয়াত : ১৩)
১০. মৌখিক দাবি ঈমান গ্রহণযোগ্য হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। (আয়াত : ১৪)
সুরা কাফ
আলোচ্য সুরায় কাফিরদের ঈমানবিমুখতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। তাদের কথা খণ্ডন করা হয়েছে, যারা পুনরুত্থানে বিশ্বাস করে না। পরে সৃষ্টিজগতের বিভিন্ন বস্তুর কথা তুলে ধরে আল্লাহর কুদরতের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। অতীতের পাপীদের কিছু উদাহরণ আনা হয়েছে। যারা আল্লাহর আজাবকে ভয় করে, তাদের কোরআনের মাধ্যমে সতর্ক করার নির্দেশ দিয়ে সুরাটি শেষ করা হয়েছে।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. সত্য স্পষ্ট হওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান কোরো না। (আয়াত : ৫)
২. আল্লাহ মানুষের সন্নিকটে উপস্থিত। (আয়াত : ১৬)
৩. মানুষের সব কথাই লিপিবদ্ধ হয়। (আয়াত : ১৮)
৪. মৃত্যু অবধারিত। (আয়াত : ১৯)
৫. অতৃপ্তি জাহান্নামের বৈশিষ্ট্য। (আয়াত : ৩০)
৬. আল্লাহমুখী মানুষের জন্য জান্নাত। (আয়াত : ৩২)
৭. আল্লাহকে ভয় করো। (আয়াত : ৩৩-৩৪)
সুরা জারিয়াত
আলোচ্য সুরায় আল্লাহর ওয়াদা সত্য হওয়ার কিছু নজির তুলে ধরা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন নবীর ঘটনা বর্ণনা করে দেখানো হয়েছে যে যুগে যুগে আল্লাহর আজাবের ওয়াদা সত্য হয়েছে। কিয়ামতের বর্ণনার মাধ্যমে সুরাটি শুরু হয়েছে। সুরার শেষের দিকে বলা হয়েছে, মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর পরিচয় লাভের জন্য, তাঁর ইবাদতের জন্য।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. মিথ্যাচারীরা আল্লাহর দরবারে অভিশপ্ত।
(আয়াত : ১০-১১)
২. তাহাজ্জুদ আল্লাহর প্রিয় আমল। (আয়াত : ১৭-১৮)
৩. ধনীর সম্পদে গরিবের অধিকার রয়েছে।
(আয়াত : ১৯)
৪. ‘সালাম’ দ্বারা পরস্পরকে অভিনন্দিত করো।
(আয়াত : ২৫)
৫. আল্লাহ বন্ধ্যা নারীকেও সন্তান দিতে পারেন।
(আয়াত : ২৯-৩০)
৬. অভিশপ্ত জাতিদের দেখে শিক্ষা নাও। (আয়াত : ৩৭)
৭. ক্ষমতার দম্ভে সত্যবিমুখ হয়ো না। (আয়াত : ৩৯)
৮. দ্বিন প্রচারকরা সমালোচনা উপেক্ষা করবে।
(আয়াত : ৫৪-৫৫)
সুরা তুর
আলোচ্য সুরায় বিভিন্ন বিষয়ের কসম খেয়ে সেই ওয়াদার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি মহানবী (সা.)-এর প্রতি দ্বীন প্রচারের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কাফিরদের অপপ্রচারে কান দিতে নিষেধ করা হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর প্রতি ধৈর্যের উপদেশ দিয়ে সুরাটি শেষ হয়েছে।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. অর্থহীন কথা ও কাজ পরিহার করো।
(আয়াত : ১১-১২)
২. জাহান্নামিদের অপমানের সঙ্গে হাজির করা হবে। (আয়াত : ১৩-১৪)
৩. কোরআন সব সংশয়ের ঊর্ধ্বে। (আয়াত : ৩৩-৩৪)
গ্রন্থনা : মুফতি আতাউর রহমান