<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একজন বললেন : আমার নাম সিয়াম জুলহাস। আমি একজন বিক্রয়কর্মী। কাজের সূত্রে আমাকে বিভিন্ন মসজিদে নামাজ পড়তে হয়। কখনো কখনো মসজিদে ঘোষণা করা হয়, নামাজের পর জানাজা হবে। আপনারা অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু কাজের প্রচণ্ড চাপ থাকায় আমার পক্ষে বেশির ভাগ সময়ই জানাজায় অংশ নেওয়া সম্ভব হয় না। আমার প্রশ্ন, মসজিদে জানাজার ঘোষণা হওয়ার পর তাতে অংশ না নিয়ে কি বের হওয়া যাবে?</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, জানাজা পড়া ফরজে কেফায়া। যদি একদল মুসলিম জানাজা আদায় করে তাহলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায়। আর যদি কেউ আদায় না করে, তাহলে যারা অবগত ছিল সবাই ফরজ পরিত্যাগের জন্য গুনাহগার হবে। তাই কেউ যদি একান্তই অপারগ হন, তার জন্য জানাজায় অংশ না নেওয়ার অবকাশ আছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে মনে রাখতে হবে, জানাজা মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের অধিকার। জানাজায় অংশ নেওয়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। বুজুর্গ আলেমরা বলেন, জানাজায় অংশগ্রহণ মুসলমানের আধ্যাত্মিক উন্নতিতে অবদান রাখে। কেননা তা মৃত্যু ও পরকালের স্মরণ জাগ্রত করে। তাই যথাসম্ভব তাতে অংশগ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যে ব্যক্তি জানাজায় উপস্থিত হলো এবং জানাজা আদায় করল, সে এক কিরাত সওয়াব পাবে। আর যে দাফন পর্যন্ত উপস্থিত থাকল, সে দুই কিরাত সওয়াব পাবে। জিজ্ঞাসা করা হলো, দুই কিরাত কী? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, দুটি বড় পাহাড়ের সমান।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১৯৯৫;      আন-নাহরুল ফায়িক : ১/৩৮৯)</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আল্লাহ সব বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।</span></span></span></span></p>