ইসলামের দৃষ্টিতে চুপ থাকার বিধান

মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
শেয়ার
ইসলামের দৃষ্টিতে চুপ থাকার বিধান

সত্যবাদিতা মনুষ্যত্বের সর্বশ্রেষ্ঠ অলংকার। বলা হয়, আল ইসলামু হাক্কুন ইসলাম সত্য। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ মানুষকে সততার চর্চা ও সত্য বলার নির্দেশ দিচ্ছেন, আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্য কথা বলো।

(সুরা : আহযাব, আয়াত : ৭০)

তবু বাস্তবতা, ন্যায়ের কৌশল হিসেবে ক্ষেত্রভেদে সরব অবস্থানের চেয়ে চুপ থাকা বিশেষ উপকারী।

নিম্নে ক্ষেত্রভেদে চুপ থাকার কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো

মুক্তির উপায়

মৌনতা অনেক সময় প্রতিবাদের ভাষা হয় এবং অনেক জটিল সমস্যা থেকে তা মুক্তির পথ দেখায়। প্রিয় নবী (সা.) বলেন যে চুপ থেকেছে, সে নাজাত পেয়েছে। (তিরমিজি)

নিরাপদ থাকা

অনাসৃষ্টি ও উত্তেজনা পরিহারের জন্য চুপ থাকা অত্যন্ত কার্যকর। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, যে নিরাপদ থাকতে চায়, তার চুপ থাকা আবশ্যক।

(মুসনাদ আনাস বিন মালিক, বায়হাকি)

সহজ ইবাদত

চুপ থাকা একটি ইবাদত। হাদিসেই আছে রোজাদারের চুপ থাকা তাসবিহ তুল্য। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদের এমন ইবাদতের ব্যাপারে বলব না যা সহজ এবং   শরীরের ওপর খুবই হালকা? তা হলো চুপ থাকা এবং সুন্দর চরিত্র। (ইহইয়াউল উলুম)

উত্তম আমল

ভালো মন ও চরিত্রের বৈশিষ্ট্য হলো অহেতুক বাদানুবাদ এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজনে চুপ থাকা।

পারলৌকিক উন্নতির উপায় প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ...তা হলো উত্তম চরিত্র এবং দীর্ঘ চুপ থাকা। দুটিকেই আবশ্যিকভাবে গ্রহণ   করো। কেননা, তুমি আল্লাহর দরবারে ওই দুটির মতো (অর্থাৎ তার চেয়ে বেশি) অন্য কোনো আমল নিয়ে যেতে পারবে না। (কিতাবুস সামত ওয়া আদাবুল লিসান)

মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত

মুক্তির জন্য আমলের বিশাল পুঁজির কোনো বিকল্প নেই। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, চুপ থাকা সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত।

(তারিখে ইস্পাহান)

নিজেই উপদেশ

চুপ থাকার উপদেশ দিয়ে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, আমি তোমাকে সুন্দর চরিত্র গঠন ও চুপ থাকার নসিহত করছি। এ দুটি আমল শরীরের ওপর সবচেয়ে হালকা আর মিজানে খুব ভারী। (কানযুল উম্মাল)

জ্ঞানীদের সৌন্দর্য

কথায় বলে খালি কলসি বাজে বেশি! প্রকৃত জ্ঞানীরা হয়ে থাকেন স্বল্পভাষী। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, চুপ থাকা হলো আলিমের সৌন্দর্য আর জাহেলের পর্দা। (বায়হাকি)

প্রিয় নবী (সা.) আরো বলেন, চুপ থাকা আখলাকসমূহের (চরিত্রের) সরদার। (মুসনাদুল ফিরদাউস)

জাহান্নাম থেকে মুক্তি

হাদিসে আছে, ...প্রিয় নবী (সা.) এক দিন ঘরের বাইরে  তাশরিফ নিলেন (ঘোড়ায় আরোহণ করলেন)। তখন  মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) আরজ করলেন, কোন আমল সবচেয়ে  উত্তম? তিনি (সা.) তাঁর পবিত্র নুরানি মুখ (ঠোঁট) মোবারকের দিকে ইশারা করে বললেন, নেকির কথা ব্যতীত চুপ থাকা। আরজ করা হলো আমরা জবান থেকে যা কিছু বলি, আল্লাহ কি তার জন্য আমাদের পাকড়াও করবেন? তখন প্রিয় নবী (সা.) তাঁর রান মোবারকের ওপর হাত মেরে ইশারা করে বললেন, হে মুআজ! তোমার ওপর তোমার মা কাঁদুক! জবান দ্বারা বলা কথাই মানুষকে জাহান্নামে উল্টো মুখ করে ফেলে দেবে। পরে প্রিয় নবী (সা.) বললেন, যে আল্লাহ ও  আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে তার উচিত ভালো কথা বলা অথবা খারাপ কথা থেকে বিরত থাকা। (অতঃপর  ইরশাদ করেন) ভালো কথা বলো তাহলে ভালো থাকবে আর খারাপ কথা থেকে (বিরত থাকো) চুপ থাকো তাহলে নিরাপদে থাকবে। (মুসতাদরাক হাকেম)

মিজানের পাল্লায় মূল্যবান

সময়মতো সঠিক কথা বলা বিবেক ও ব্যক্তিত্বের দাবি। তবে মেনে নেওয়া ও মানিয়ে নেওয়ার জন্য চুপ থাকা শরীর, মন ও আখিরাতের জন্য উপকারী। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, আমি কি তোমাকে এমন আমল বলে দেব না, যা শরীরের জন্য  হালকা এবং আমলের মিজানে (দাঁড়িপাল্লায়) ভারী? বলা হলো কেন নয়? তিনি (সা.) বললেন, তা (আমল) হলো চুপ থাকা, উত্তম চরিত্র তৈরি করা এবং অনর্থক কাজ ছেড়ে দেওয়া। (তারগিব)

বস্তুত চুপ থাকার নামে বোবা শয়তান হওয়া যাবে না। আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহ.) বলেন, যেখানে কথা বলা দরকার নেই সেখানে চুপ থাকা মানুষের জন্য অনেক বড় অলংকার। আড়ালে-কৌশলে অন্যায়কারীকে সমর্থন, সহায়তা আইনের চোখে অপরাধ না হলেও এখানে বিবেকের দায়মুক্তি নেই। সুরা বাকারার ৪২ নম্বর আয়াতের নির্দেশনা, তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিয়ো না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন কোরো না।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর-১৭৩০

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কোরআন থেকে শিক্ষা

    পর্ব, ৭৪৮
শেয়ার
কোরআন থেকে শিক্ষা

আয়াতের অর্থ : ‘আল্লাহ মুশরিকদের বলবেন, তোমরা যা বলতে তারা তা মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে। সুতরাং তোমরা শাস্তি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং সাহায্যও পাবে না। তোমাদের মধ্যে যে সীমা লঙ্ঘন করবে, আমি তাকে মহাশাস্তি আস্বাদ করাব। তোমার পূর্বে আমি যেসব রাসুল প্রেরণ করেছি, তারা সাবই তো আহার করত এবং হাটবাজারে চলাফেরা করত।

...(সুরা : ফুরকান, আয়াত : ১৯-২০)

আয়াতদ্বয়ে ঈমানের আহ্বানে সাড়া দেওয়া না দেওয়ার পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে।

শিক্ষা ও বিধান

১. পরকালে মিথ্যা উপাস্যরা উপাসকদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। ফলে তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে যাবে।

২. ঈমান ও ইসলামের আহ্বান মানুষের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ।

যারা সাড়া দেয় তারা মুক্তি পায় এবং যারা প্রত্যাখ্যান করে তারা ধ্বংস হয়।

৩. হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুল! আমি আপনাকে এবং আপনার দ্বারা অন্যকে পরীক্ষা করব।’

৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তাঁকে নবী ও বাদশাহ এবং রাসুল ও বান্দা হওয়ার ইচ্ছাধিকার দেওয়া হয়। তিনি রাসুল ও বান্দা হওয়াকে বেছে নেন।

৫. আল্লাহ নবী-রাসুলকে অঢেল সম্পদ ও প্রবল ক্ষমতার অধিকারী করেননি, যাতে মানুষ বলতে না পারে যে সম্পদের লোভ ও ক্ষমতার প্রভাবে মানুষ তাঁর অনুসরণ করেছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৮/১৯৩)

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মনীষীদের কথা

শেয়ার
মনীষীদের কথা

আমলের মাধ্যমে ইলম (দ্বিনি জ্ঞান) সজীব হয় যদি তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়, নতুবা তা মানুষের জন্য বোঝা হবে।

আলী ইবনে আবি তালিব (রা.)

 

মন্তব্য

প্রশ্ন-উত্তর

    সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা
শেয়ার
প্রশ্ন-উত্তর

নামাজে নারীদের পা দেখা গেলে কি নামাজ ভাঙবে?

প্রশ্ন : অনেক সময় নামাজ পড়ার সময় নারীদের পা খুলে যায়। কিছু অংশ দেখা যায়। আমার প্রশ্ন হলো, নামাজ পড়া অবস্থায় নারীদের পা কি সতর? সতর হলে কতটুকু দেখা গেলে নামাজ ভেঙে যাবে?

মুহসিন, ময়মনসিংহ

উত্তর : বিশুদ্ধ ও আমলযোগ্য মত অনুসারে নামাজে নারীদের পা সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই পা খোলা থাকলেও নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

(আল হিদায়া : ১/৭৬, আদ্দুররুল মুখতার : ১/৬৬)

 

মন্তব্য

মুসলমানের পরিচয় ও উৎসবের স্বাতন্ত্র্য

ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
শেয়ার
মুসলমানের পরিচয় ও উৎসবের স্বাতন্ত্র্য

মানুষের জীবনে নিজেকে প্রকাশ করার মতো বিভিন্ন পরিচয় থাকে; যেমনভাষার পরিচয়ে আমরা বাঙালি। ভূখণ্ডের পরিচয়ে আমরা বাংলাদেশি। এ ছাড়া পেশার ভিত্তিতে আমাদের বহুমুখী পরিচয় রয়েছে; যেমনশিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপক, হিসাবরক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার ইত্যাদি। মানুষ সাধারণত পেশাভিত্তিক পরিচয়ে নিজেদের প্রকাশ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

এসব পরিচয় সাময়িক ও ক্ষণস্থায়ী। আমাদের আরেকটি মূল পরিচয় রয়েছে, সেটি হলো ধর্মের পরিচয়। অর্থাৎ আমরা মুসলমান। ইসলাম আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত দ্বিন।
এই পরিচয়টি মানুষের জন্য চিরস্থায়ী। এই পরিচয়ের সঙ্গে অন্যান্য পরিচয় সাংঘর্ষিক হলে সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে অথবা সংশোধন করতে হবে। যেমনমুসলমান ও মাদক কারবারি পরিচয় একত্রে হওয়া সাংঘর্ষিক। কারণ ইসলামে ব্যবসা হালাল হলেও মাদকের কারবার হারাম ও নিষিদ্ধ।
মাদক কারবারের মাধ্যমে মুসলমান পরিচয় মিথ্যায়      রূপান্তরিত হয়। ভাষার পরিচয়ে আমরা বাঙালি। ভাষা আল্লাহর দান। সব ভাষাই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। ভাষার ভিত্তিতে কেউ শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট হতে পারে না।
কাজেই আমাদের বাংলাভাষী হওয়া বা বাঙালি হওয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে কিংবা যেকোনো উৎসব পালনে এমন কোনো কাজ কাম্য হতে পারে না, যা মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় অথবা ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়। মুসলমান পরিচয় কলুষিত হওয়ার কয়েকটি বিষয় নিম্নরূপ

প্রাণীর চিত্র বা প্রতিকৃতি ধারণ করা : কোনো প্রাণীর চিত্রাঙ্কন ইসলামে অনুমোদিত নয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে তাদের, যারা প্রাণীর চিত্র অঙ্কনকারী।

(বুখারি, হাদিস : ৫৬০৬)

আবার চিত্রাঙ্কনের মতো ইট, পাথর, মাটি বা অন্য কিছুর মাধ্যমে প্রাণীর প্রতিকৃতি নির্মাণও ইসলামে বৈধ নয়। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, এই প্রতিকৃতি নির্মাতাদের কিয়ামতের দিন আজাবে নিক্ষেপ করা হবে এবং তাদের সম্বোধন করে বলা হবে, যা তোমরা সৃষ্টি করেছিলে তাতে প্রাণসঞ্চার করো।

(বুখারি, হাদিস : ৫৯৫১)

তবে সৌন্দর্যবর্ধন, স্মৃতিচারণা বা জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে স্তম্ভ, ফলক, মিনার বা অন্য কিছুর প্রতিকৃতি ইসলামী শিল্পকলায় প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণের বিকল্প হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ, ফুল-পাতা, নদ-নদী, প্রাকৃতিক দৃশ্য, জড় পদার্থ, মসজিদ ইত্যাদির চিত্রাঙ্কন ইসলামী শিল্পকলায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পোশাক, পর্দা, মাদুর, কার্পেট ইত্যাদিতে এ ধরনের চিত্রের ব্যবহার হতে পারে।

বিজাতীয় সংস্কৃতি গ্রহণ : প্রত্যেকে যার যার বিশ্বাস অনুযায়ী উৎসব পালন করবেএটাই স্বাভাবিক। যেকোনো উৎসব পালন ও আচার-অনুষ্ঠানে বিজাতীয় সংস্কৃতি মুসলমানদের জন্য পরিত্যাজ্য বিষয়। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভুক্ত বিবেচিত হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪০৩৩)

অশ্লীলতা পরিত্যাজ্য : বর্ষবরণ উদযাপন করতে নানা রকম অশ্লীলতা, নগ্নতা, মদপান, তরুণ-তরুণীর যৌন উন্মাদনাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সংবাদ পাওয়া যায়, যেগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ। ইসলামে কোনো ধরনের অনৈতিক ও অনর্থক কর্মকাণ্ডের সুযোগ নেই। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসৎকর্ম ও সীমালঙ্ঘন; তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করো। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)

আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে কল্যাণ কামনা : মুসলমানরা বিশ্বাস করে, কল্যাণ-অকল্যাণ বা মঙ্গল-অমঙ্গলের মালিক মহান আল্লাহ। তাই মহান আল্লাহর কাছে নতুন বছরসহ যেকোনো উৎসবে ইহকালীন ও পরকালীন সুখ, শান্তি, সফলতা ও কল্যাণ কামনা করবে। আল্লাহই বান্দার সুখ, শান্তি, সফলতা ও কল্যাণ প্রদানকারী; অন্য কেউ নয়। কোরআনে এসেছে, আমি কি তাঁর (আল্লাহর) পরিবর্তে অন্যদের উপাস্যরূপে গ্রহণ করব?  করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান, তাহলে তাদের সুপারিশ আমার কোনোই কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না। এমন করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব। (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ২৩-২৪)

পরিশেষে বলা যায়, জীবনের সব ক্ষেত্রে মুসলমান পরিচয় ধারণ করাই ঈমানের মূল দাবি। এই পরিচয় কলুষিত হওয়ার মতো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। মুসলমান পরিচয়ের সঙ্গে অন্য পরিচয় সাংঘর্ষিক হলে সেটি বাদ দিতে হবে অথবা সংশোধন করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ