<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে যাত্রী নিয়ে পদ্মা দিয়ে খুলনা যাবে ট্রেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল রবিবার ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ঢাকা থেকে খুলনা যাবে পরীক্ষামূলক শেষ ট্রেনটি। এ যাত্রা সফল হলে আসবে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর দিনক্ষণ ঘোষণা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় আংশিক রেললাইন চালু হয়েছে আগেই। গত বছরের ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আংশিক খুলে দেওয়া হয়। তখন ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার যোগ হচ্ছে। এতে ঢাকা থেকে যশোরের ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথে সরাসরি যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা-নড়াইল-যশোর হয়ে নতুন রেলপথে খুলনায় যাবে ট্রেন। ঢাকা থেকে রেলপথে খুলনার দূরত্ব কমবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ। সংকেতের কাজ যেটুকু বাকি, উদ্বোধনের আগেই শেষ হয়ে যাবে। বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালানোর আগে আগামীকাল ২৪ নভেম্বর ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালিয়ে দেখা হবে। এরপর আগামী ১ বা ২ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক ট্রেনের উদ্বোধন হতে পারে। তবে এই তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। একই সঙ্গে ঢাকা থেকে যশোর হয়ে খুলনা পর্যন্ত দুটি নতুন ট্রেনও দেওয়া হতে পারে। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অস্থায়ী ১০০ লোকবল নিয়োগ হতে পারে </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ১৪টি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে এবং বিদ্যমান ছয়টি স্টেশনের উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন স্টেশন চালানোর জন্য এখনো লোকবল নিয়োগ হয়নি। স্টেশনসহ ট্রেন পরিচালনার কাজের জন্য আপাতত আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১০০ লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে লোকবল না থাকায় সব স্টেশনও চালু করতে পারবে না রেল কর্তৃপক্ষ। বাণিজ্যিক ট্রেন চালুর পরে ভাঙ্গা জংশন আংশিক চালু হবে। অর্থাৎ ট্রেন দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো এবং নামানোর কাজটি করা হবে। এর বাইরে চারটি স্টেশন চালু নাও হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীনগর, নগরকান্দা, মহেশপুর ও জামদিয়া। তবে বাণিজ্যিক ট্রেন চালুর আগে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১০০ লোক নিয়োগ দিতে না পারলে আরো অনেক স্টেশনে বন্ধ থাকতে পারে। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বল্প পরিসরে হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইনের উদ্বোধন হলেও বর্তমান সরকার অরাজনৈতিক হওয়ায় এ নিয়ে তেমন পরিকল্পনা নেই সংশ্লিষ্টদের। স্বল্প পরিসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। কমলাপুর থেকেই পদ্মা সেতু হয়ে যশোর দিয়ে খুলনাগামী নতুন একটি ট্রেনের ফিতা কেটে উদ্বোধন করতে পারেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নতুন ট্রেনের নাম </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধনের এই রেলপথ দিয়ে খুলনা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে। দুটি নতুন ট্রেন দিয়েই বাণিজ্যিক ট্রেনের উদ্বোধন করা হবে এই রেলপথের। এর মধ্যে দুটি ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুন্দরবন প্রভাতী</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুন্দরবন গোধূলি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া পদ্মা রেল সেতু দিয়ে নতুন আট জোড়া ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব রুট হচ্ছে ঢাকা-যশোর-খুলনা, ঢাকা-যশোর-বেনাপোল, ঢাকা-ভাঙ্গা-গোপালগঞ্জ এবং ঢাকা-ফরিদপুর-দর্শনা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে পদ্মা সেতু দিয়ে তিনটি আন্ত নগর ট্রেন চলাচল করছে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বেনাপোলগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ও রাজশাহীগামী মধুমতী এক্সপ্রেস এবং খুলনাগামী কমিউটার ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইঞ্জিন ও বগির সংকট থাকায় নতুন ট্রেন দেওয়া কঠিন। ফলে রুট রেশনালাইজেশন করে চাহিদা বিবেচনায় এসব রেলপথে ট্রেন চালানো হতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের জুনে আলাদা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। </span></span></span></span></p>