<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মোট ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নামে, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা, ছোট বোনের ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং ছোট বোনের মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোড থেকে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সুনির্দিষ্ট, তথ্যভিত্তিক এবং কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ। তাই অভিযোগটি কমিশনের বিশেষ তদন্ত শাখা থেকে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে কমিশন। এরও আগে গত ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা এবং বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বেপজাসহ আটটি প্রকল্প থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকাসহ মোট প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাট ও পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করা হয়। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দুর্নীতির থেকে শুরু করে নতুন নতুন মেগাপ্রকল্পে দুর্নীতি এবং পুরাতন মামলাগুলোর নতুন করে তদন্ত শুরু করা হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : পরিকল্পিত শহর গড়তে পূর্বাচলকে বেছে নেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আবেদনকারীদের মধ্যে লটারি করে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে সবার জন্যই একই পদ্ধতি নয়। সরকারি সিদ্ধান্তে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে প্লট বরাদ্দ দিতে আইনে একটি ধারা যোগ করা হয়। এই ধারা ব্যবহার করেই নানা সময়ে ইচ্ছামতো প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যও। প্রত্যেকের নামে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট (মোট ৬০ কাঠা) বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাজউকের তৃতীয় মডিফিকেশন ম্যাপে সামাজিক অবকাঠামোর জন্য জায়গাটি বরাদ্দ ছিল। ২০১২ সালে চতুর্থ মডিফিকেশনে সেখানে প্লট তৈরি করা হয়। বালু নদের পারে পূর্বাচল প্রকল্পের ডিপ্লোমেটিক জোনের ২৭ নম্বর সেক্টরে ২০৩ নম্বর রোডের একটি প্লট শেখ হাসিনাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। পাশেই শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির প্লট। পরের প্লটটি নেন শেখ রেহানা। পরের দুটি প্লট শেখ হাসিনার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের। সর্বশেষ প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয় শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের নামে। কাঠাপ্রতি তিন লাখ টাকা হিসাবে প্রতিটি প্লটের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩০ লাখ টাকা। ৬০ কাঠার মোট মূল্য এক কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট প্লটগুলোর বরাদ্দপত্র ইস্যু করে রাজউক। বরাদ্দ দেওয়ার পরপরই প্রাচীর দিয়ে পুরো ৬০ কাঠা প্লটের চারপাশ ঘিরে ফেলা হয়। এর নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন আনসার সদস্যরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>