আবহাওয়া

কুয়াশায় শীত কিছুটা বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কুয়াশায় শীত কিছুটা বেড়েছে
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও ভাসমান মানুষ শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা। গতকাল রংপুর রেলস্টেশন চত্বরে। ছবি : আদর রহমান

দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকছে চলতি জানুয়ারি মাসে। ব্যতিক্রম ছিল না গতকাল বুধবারও। অঞ্চলভেদে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র। তবে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও উত্তরের মৃদু বাতাস ও কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো পাওয়া কমায় কোনো কোনো অঞ্চলে শীতের অনুভূতি কিছুটা বেড়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত দেশে তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এ সময় কুয়াশার ঘনত্বও কিছুটা বেশি থাকতে পারে। তবে শনিবার থেকে আবার তাপমাত্রা ও কুয়াশা কমতে পারে। তখন সারা দেশেই শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, কুয়াশা কিছুটা বেড়েছে আজ (গতকাল)। কুয়াশার কারণে সূর্যের

আলোর প্রাপ্যতা কিছুটা কমে যাওয়ায় দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে শীতের অনুভূতিও কিছুটা বেড়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা আছে। ফলে এ সময় শীতের অনুভূতিতে তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, আগামী শনিবার থেকে আবার তাপমাত্রা কমতে পারে, যা অব্যাহত থাকতে পারে সোমবার পর্যন্ত। ফলে শীত বাড়তে পারে তখন। তবে তীব্র শীত পড়ার আশঙ্কা কম। দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল, বিশেষ করে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বা চুয়াডাঙ্গার মতো দু-একটি অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে নামতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দক্ষিণে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে আগামীকাল শুক্রবারও। রাতের তাপমাত্রা ২-১ ডিগ্রি কমতে পারে সারা দেশেই। শনিবার থেকে আবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।  

আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তুলনামূলক কুয়াশা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্তও থাকতে পারে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। তবে শনিবার থেকে আবার কমতে পারে কুয়াশা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাজধানীতে অপহরণের দুই দিন পর হা-মীম গ্রুপের কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাজধানীতে অপহরণের দুই দিন পর হা-মীম গ্রুপের কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার

 রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সেখানকার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত কর্মকর্তার নাম আহসান উল্লাহ হাসান। মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশ বলছে, আহসান উল্লাহকে হত্যার পর রাস্তার পাশে কাশবনে ফেলে রাখা হয়েছিল। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ পারিবারিক সূত্র বলছে, আহসান উল্লাহ হাসান হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাসা তুরাগ থানা এলাকার চণ্ডালভোগে।

বাসা থেকে তিনি নিজস্ব গাড়িতে আশুলিয়ায় অফিসে যাতায়াত করতেন। প্রতিদিনের মতো গত রবিবার সকালে কম্পানির কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক সাইফুল ইসলাম। সাইফুল আট মাস ধরে

এই গাড়ি চালান।

অফিসের কাজ শেষে বিকেলে তিনি গাড়িতে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। ৪টায় তাঁর স্ত্রী লুত্ফুন নাহার তাঁকে ফোন করলে অন্য প্রান্ত থেকে কল কেটে দেওয়া হয়। ইফতারের আগে লুত্ফুন নাহার আবার ফোন করেও স্বামীকে পাননি। এরপর খোঁজ নেওয়ার জন্য চালক সাইফুলকে ফোন করেন। সাইফুল তাঁকে জানান, আহসান উল্লাহকে নিয়ে মিরপুরে অবস্থান করছেন।
তাঁর কাছে ফোন দিতে বললে চালক বলেন, ‘স্যার মিটিং করছেন।রাত ৮টায়ও বাসায় না ফেরায় আবার আহসান উল্লাহকে ফোন করেন লুত্ফুন নাহার। তখন ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সাইফুলকে ফোন করলে তিনি জানান, আহসান উল্লাহ উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে একজনের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। তাঁকে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেছেন। রাতে তিনি বাসায় গাড়ি রেখে চলে যান। এক পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে আহসান উল্লাহর সন্ধান শুরু করে স্বজনরা। এরপর কোথাও না পেয়ে সোমবার ভোরে তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।

 

মন্তব্য
হান্নান মাসউদের ওপর হামলা

জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি এনসিপির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি এনসিপির

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার এনসিপি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় দলটির পক্ষ থেকে এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালীর হাতিয়ায় পথসভা চলাকালে আব্দুল হান্নান মাসউদের ওপর যে হামলা হয়, সেই হামলায় মাসউদসহ প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি মনে করে, এই ধরনের হামলার ঘটনা পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ এবং রাজনৈতিক অধিকারচর্চার ওপর কর্তৃত্ববাদী হস্তক্ষেপ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে ঠিক একই কায়দায় স্লোগান দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হতো। বিএনপির নেতাকর্মীরাও দীর্ঘদিন ধরে পতিত ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ কর্তৃক ঠিক একইভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। ফলে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আমরা এই ধরনের সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি চাই না।

হাতিয়ায় সংবাদ সম্মেলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, আব্দুল হান্নান মাসউদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাতিয়া শহরের ধানসিঁড়ি রিসোর্টে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সোমবার ইফতারের পর উপজেলার জাহাজমারা বাজারে পথসভায় হান্নান মাসউদ বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী দা, রামদা, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মিছিল নিয়ে আসে। তাদের প্রায় সবাই বিএনপির বর্তমান কমিটির নেতাকর্মী, তিন-চারজন বহিষ্কৃত সদস্যও ছিল।

বহিষ্কৃত নেতাকর্মী বলে বিএনপি এই ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না।’

হামলায় বিএনপির লজ্জিত হওয়া উচিত : সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের ওপরে হামলার ঘটনায় বিএনপির লজ্জিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, ‘গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী আমলে দল হিসেবে বিএনপি সবচেয়ে বেশি অন্যায় ও জুলুমের শিকার হয়েছে। অতঃপর হান্নান মাসুদের মতো কিছু অকুতোভয়, আপসহীন, সাহসী তরুণদের হাত ধরে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বিএনপিসহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সেই স্বৈরাচারী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে।

এই কৃতজ্ঞতাবোধটুকু বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের সব সময় থাকা উচিত। এই মুহূর্তে বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এ জন্য তাদের দায়িত্ব, দায়বদ্ধতা এবং কর্মযজ্ঞ সবচেয়ে বড় হবে—এটাই স্বাভাবিক।’

মন্তব্য

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সেনাবাহিনী নিয়ে ভুয়া খবরের প্রতিবাদ আইএসপিআরের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সেনাবাহিনী নিয়ে ভুয়া খবরের প্রতিবাদ আইএসপিআরের

ভারতের কিছু গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক প্রতিবাদলিপিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, দি ইকোনমিক টাইমস ও দি ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত একের পর এক ভিত্তিহীন ও মনগড়া প্রতিবেদন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ওই সব প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর ভেতরে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা এবং শৃঙ্খলা  (চেইন অব কমান্ড) ভেঙে পড়ার কথা বলা হয়েছে।

এসব প্রতিবেদন পুরোপুরি মিথ্যা এবং সেগুলো বাংলাদেশ ও এর সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করার জন্য পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ বলে প্রতীয়মাণ হয়।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে  সেনাপ্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ ও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। আমাদের চেইন অব কমান্ড শক্তিশালী রয়েছে এবং জ্যেষ্ঠ জেনারেলরাসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সদস্য সংবিধান, চেইন অব কমান্ড ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আনুগত্যে অবিচল রয়েছে। সেনাবাহিনীর মধ্যে অনৈক্য বা আনুগত্যহীনতার যেকোনো অভিযোগ পুরোপুরি বানোয়াট ও বিদ্বেষপূর্ণ।

আইএসপিআর বলেছে, এটা বিশেষভাবে উদ্বেগের যে দি ইকোনমিক টাইমস বারবার এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সর্বশেষ এই প্রতিবেদনের মাত্র এক মাস আগেও ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি এই গণমাধ্যমে একই ধরনের মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। পেশাগত এ আচরণের কারণে এসব সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্য ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। এ ছাড়া বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল ও কয়েকটি অখ্যাত টেলিভিশন চ্যানেল এসব মিথ্যা প্রচার করেছে, যাতে অপপ্রচার আরো তীব্র হয়েছে।

মনে হচ্ছে, তারা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি মেনে চলার পরিবর্তে মিথ্য তথ্য ছড়ানো এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।

প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়েছে, আমরা এসব সংবাদমাধ্যম, বিশেষ করে ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি ভালো সাংবাদিকতার চর্চা করার এবং যাচাই না করে ও চটকদার সংবাদ প্রকাশ না করার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করা হচ্ছে যে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করার আগে তারা আইএসপিআরের কাছ থেকে মন্তব্য ও ব্যাখ্যা চাইবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে সঠিক ও আনুষ্ঠানিক তথ্য সরবরাহ করার জন্য আইএসপিআর সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।

আইএসপিআর বলেছে, দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবিচল রয়েছে।

আমরা ইন্ডিয়া টুডেসহ সব সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় যুক্ত হওয়ার এবং ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকারক, যা এই দুই মহান দেশের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিভাজন ও অবিশ্বাস তৈরি করে তা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

 

মন্তব্য

সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ লক্ষ্য

    জনতার দলের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ লক্ষ্য
রাজধানীর বনানীতে গতকাল কেক কেটে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করে জনতার দল। ছবি : কালের কণ্ঠ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রয়োজনীয় প্রার্থী দেবে নতুন রাজনৈতিক দল জনতার দল। দলটির প্রার্থী হতে অবশ্যই তাঁকে সৎ, দক্ষ, সাহসী ও দেশপ্রেমিক হতে হবে। দেশের বিরাজমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ১৫ দিনের কৌশলও দিয়েছে দলটি। দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করবে জনতার দল।

গতকাল মঙ্গলবার রাজনৈতিক এ দলটির প্রধান কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর বনানীর ৮ নম্বর রোডে জনতার দলের প্রধান কার্যালয় হিসেবে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করল দলটি। এদিন দলের সদস্যসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ আজম খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনতার দলের প্রধান সমন্বয়ক এবং মুখপাত্র ডেল এইচ খান ও অন্যরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল বলেন, ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেশে পেশাজীবীদের সুস্থ সুন্দর দল হিসেবে কাজ করবে জনতার দল। আমরা ঈদের পরই দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করব। আমাদের লক্ষ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। প্রতিটি নির্বাচনে গড়পড়তা কোনো প্রার্থী থাকবে না।

সৎ, দক্ষ, সাহসী ও দেশপ্রেমিক মানুষ হবে আমাদের দলের প্রার্থী। আমরা রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলব, দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের দলের রেজিস্ট্রেশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সব শর্ত মেনেই আমরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করব। আমাদের সঙ্গে সারা দেশের মানুষের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জনতার দলের সদস্যসচিব আজম খান বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর দেশে একটা ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দেশের সব ধরনের পেশাজীবী আমাদের জনতার দলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে ইতিবাচক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা হোকএই দৃঢ় আশা নিয়ে আমি এই দলের দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আনতে চাই। আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী কাজ করবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসসহ নানা বিষয়ে আমরা পরিবর্তন আনব। ঈদের পর সাধারণ মানুষের যোগদান কার্যক্রম শুরু হবে।

দেশের চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দল থেকে এরই মধ্যে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব। কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না। সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। সশস্ত্রবাহিনীকে সঠিকভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সেটি করা গেলে ১৫ দিনের মধ্যেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

জনতার দলের প্রধান সমন্বয়ক এবং মুখপাত্র ডেল এইচ খান দলটি গঠনের প্রেক্ষাপট ও এই দলে কারা আছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, আমাদের স্লোগান হচ্ছে ইনসাফ জিন্দাবাদ। আমাদের দলের মূলনীতি সাম্য, ন্যায্যতা ও প্রগতি।

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জনতার দলের যাত্রা শুরু হয়েছে। গত ২০ মার্চ রাজধানীর খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটি যাত্রা শুরু করে।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ