বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নদীকে বাংলাদেশের প্রাণ বলা হয়। বাংলাদেশের উত্থান-পতন, শিল্প-সংস্কৃতি, বিকাশ—সব কিছুই গড়ে উঠেছে নদীকে কেন্দ্র করে। আবহমানকাল থেকেই এ দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা নদীকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নদীকে বাংলাদেশের প্রাণ বলা হয়। বাংলাদেশের উত্থান-পতন, শিল্প-সংস্কৃতি, বিকাশ—সব কিছুই গড়ে উঠেছে নদীকে কেন্দ্র করে। আবহমানকাল থেকেই এ দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা নদীকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়েছে।
আজ নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলো অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। দেশের প্রায় বেশির ভাগ নদী বিলুপ্তির পথে। সম্প্রতি বিবিসির এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৪০০ নদ-নদী হুমকির মুখে আছে। মানুষের মতো নদীও গতিশীল, নদীরও জীবন আছে।
মো. তৌহিদুল ইসলাম তুহিন
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
সম্পর্কিত খবর
নানা সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে মানুষ বিভিন্ন ধরনের পার্টি আয়োজন করে। সেসব পার্টিতে প্লাস্টিকের প্লেট, প্লাস্টিকের গ্লাস, পলিথিন ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হয়। বাড়িঘরের আশপাশে বা পথ চলতেও মানুষ যেখানে-সেখানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ফেলে দেয়। অথচ এই প্লাস্টিক পরিবেশের ক্ষতি করছে।
শুধু হাওর নয়, সরাইল থেকে নাসিরনগরের যে আঞ্চলিক মহাসড়ক আছে, সেটিতেও প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে কালিকচ্ছের বাসাবাড়ির, পোলট্রি ফার্মের ড্রেসিং করা বর্জ্য, পলিথিনে ভরা আবর্জনাগুলো রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, যে কারণে নাসিরনগরগামী মানুষের প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। কারণ এসব ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে পরিবেশ তো নষ্ট হচ্ছেই, এর সঙ্গে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আসুন, সবাই মিলে পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জন করি এবং আমাদের চারপাশ সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাখি।
শাহরিয়ার কাসেম
বুড়িশ্বর, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের এই জন্মভূমি। বাংলার যেদিকে তাকাই, সেদিকেই সবুজ আর সবুজ। এ যেন সৃষ্টিকর্তার নিজের হাতে সাজানো সবুজের ফুলঝুরি। বাংলাদেশের এই সবুজ প্রকৃতির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে এ দেশের নদ-নদীগুলো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত হারিয়ে গেছে আট হাজার খাল-বিল। দখল-দূষণ ও ভাঙনের কারণে জীবিকা হারিয়ে প্রতিবছর বাস্তুচ্যুত ও অভিবাসী হচ্ছে পাঁচ লাখ মানুষ, যারা প্রবেশ করছে ঢাকা ও অন্যান্য শহরে। চরাঞ্চলে বসবাসরত এক কোটি মানুষের জীবন-জীবিকাও হুমকির সম্মুখীন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে এক হাজার ৭৪০টি নদীর অস্তিত্ব ছিল।
নদীভাঙনের ফলে নদী এলাকার লোকজনের দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দারিদ্র্যের শর্ত হলো তাদের সম্পদ ধ্বংস। নদীভাঙনের ফলে তাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায়।
আমাদের সবাইকে নদীভাঙন রোধ করতে হবে, সচেতন হতে হবে, নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে, যাতে নদীর নাব্যতা কমে না যায়; নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পায়। বিবিসির সমীক্ষায় বাংলাদেশের ৪৩৫টি নদী হুমকির মুখে। ৫০ থেকে ৮০টি নদী বিপন্নতার শেষ প্রান্তে। গবেষকদের মতে, এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২০৫০ সালের মধ্যে যদি আমরা নদীদূষণ রোধ এবং নদীর নাব্যতা সংকট দূর করতে না পারি, তবে আমাদের জন্য ভয়ানক কিছু অপেক্ষা করছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর, সুস্থ জীবনের জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
ফাহমিদা জামান
শিক্ষার্থী, সরকারি মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম
ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য দায়িত্ব পাওয়া শিক্ষার্থীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত তারা চালকদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে। কিছু জায়গায় কিছু শিক্ষার্থীকে দেখেছি, তারা চালকদের সঙ্গে অনেক খারাপ আচরণ করে। ছোট মানুষ হয়ে তার বাবার বয়সী চালকদের সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কথা বলা উচিত। অনেক শিক্ষার্থী যা করে না, কেউ কেউ পুলিশের কটি গায়ে দিয়ে নিজেকে অনেক কিছু মনে করে।
কথাগুলো আমি কোনো ক্ষোভ থেকে বলছি না।
সোহরাব হোসেন
দক্ষিণখান, ঢাকা
গ্রীষ্ম আসছে। প্রকৃতির উত্তাপ যেন ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে বাতাসে। বাংলাদেশে এই সময়টাতে তাপমাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ে, আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, এই মৌসুমে লোডশেডিং এক অনিবার্য দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রজ্ঞা দাস
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা