<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে জমজমাট হয়ে উঠেছে আতর, জায়নামাজ-টুপি, তসবিহ ও সুরমার বাজার। পোশাকের পাশাপাশি এসব পণ্যও কিনছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্ট প্রকাশ করে জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ। আর এই বিক্রি শুরু হয়েছে ২০ রোজার পর থেকে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গুলিস্তানের বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে গতকাল গিয়ে দেখা যায়, ৪০-৪৫টি দোকান রয়েছে। মুসল্লিরা এক দোকান থেকে অন্য দোকান ঘুরে পছন্দের পণ্য কিনছেন। দোকানগুলোতে ইসলামী বই, আতর, জায়নামাজ-টুপি, তসবিহ ও সুরমা বিক্রি করা হচ্ছে। গেটের ডান পাশে টুপির দোকান রয়েছে মো. মহসিনের। টুপি বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত তিনি। দেশি-বিদেশি টুপি বিক্রি হয় তাঁর দোকানে। তিনি জানান, বাংলাদেশি টুপি বিক্রি করেন ৮০ থেকে ৫০০ টাকায়। একইভাবে তুর্কি টুপি বিক্রি করেন ৫০ থেকে ১০০০ টাকায়, পাকিস্তানি টুপি ২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। ইন্দোনেশিয়ান টুপি প্রতিটি ৩০০ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি টুপিরই চাহিদা বেশি।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রোজার আগে ৪০ দিনের তাবলিগ জামাতে বের হয়েছেন কক্সবাজারের মো. মহিউদ্দিন। কোরআনে হাফেজ, ভবিষ্যতে ইসলামিক বক্তা বা মাওলানা হওয়ার ইচ্ছে। বাইতুল মোকাররম মসজিদ থেকে এখন বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করবেন। ৩০০ টাকা দিয়ে আতর কেনার পর এই প্রতিবেদককে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঈদ উপলক্ষে আতর কিনলাম, দুবাইয়ের। আতর নবীজির (সা.) সুন্নত। তিনি এটা পছন্দ করতেন। সব নবীই এই আতর ব্যবহার করেছেন। একটা সুন্নত যদি ধরে রাখা যায়, তাহলে একজন শহীদের সওয়াব পাওয়া যায়। এ জন্য কিনলাম, এক্সাস আল আরাবিয়ার। এটা আগেও কিনেছিলাম। এটাই ভালো লেগেছে। দোকানদার আতরের এক বোতলের দাম চেয়েছিলেন ৩৫০ টাকা, আমরা কিনলাম ৩০০ টাকা দিয়ে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাশেই খুশবু আতর হাউস নামের আরেকটি দোকান। এই দোকানের বিক্রেতা মো. বায়জিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, আতর, তসবিহ বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে পোশাক যে রকম বিক্রি হচ্ছে, তার চেয়ে কম। রোজার শুরুতে একেবারেই কম বিক্রি হয়েছে। তবে তিন-চার দিন ধরে বিক্রি দিগুণ হয়ে গেছে। অন্য সময়ে প্রতিদিন বিক্রি হতো ৫ হাজার টাকা। এখন বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৯-১০ হাজার টাকা। এই বিক্রি চাঁদ রাত পর্যন্ত চলবে। তিনি জানান, প্রতিটি তসবিহর দাম ১০-৩ হাজার টাকা, আতর বড় বোতল থেকে খুলে ছোট শিশিতে বিক্রি করেন। শিশির আকার অনুযায়ী দাম পড়ে ৩০-৫০০ টাকার মধ্যে। ঈদের ৩০০-৫০০ টাকার সীমার আতরই বেশি বিক্রি হচ্ছে। আর চোখের সুরমা বিক্রি হচ্ছে ১০-৪০০ টাকার মধ্যে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওদিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের বাইরের সড়কে জায়নামাজ বিক্রি করেন মো. উজ্জ্বল। বাংলাদেশি, তুর্কি ও চীনের তৈরি জায়নামাজ বিক্রি করেন তিনি। ঈদের আগে বিক্রিতে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, যতটুকু আশা করেছিলাম সে রকমই বিক্রি হচ্ছে। ২৬ রোজা পর্যন্ত বিক্রি ভালো ছিল না। এখন ভালো হচ্ছে। সবাই বাড়ি চলে যাচ্ছে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে আশা করি, সামনে চাঁদরাত পর্যন্ত বিক্রি অনেক হবে। আমরা চাঁদরাত পর্যন্ত বিক্রি করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি জানান, তুর্কি জায়নামাজ বিক্রি করেন ৩২০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকার মধ্যে। আর চীনের তৈরি জায়নামাজ বিক্রি করেন ৫০০-৬০০ টাকার মধ্যে। তবে এক হাজার ২০০ টাকার জায়নামাজ খুবই কম বিক্রি হয়।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুরান ঢাকা থেকে পোশাক কিনতে এসেছেন হেলাল আহমেদ। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শার্ট-প্যান্ট ও শাড়ি কিনেছি। এখন জায়নামাজ কিনলাম। যাতে জ্যাম ঠেলে আবার না আসা লাগে। জায়নামাজের দাম নিল ৫৫০ টাকা। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়তে যাব। হাতে যদি জায়নামাজ না থাকে তাহলে ঈদের আনন্দ কম মনে হয়। তাই কিনলাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>