<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার ১৪টিতেই এবার স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। ভয়াবহ এই বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ ব্যাপক। এরই মধ্যে বানের পানি নামতে শুরু করায় ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। বানভাসি মানুষের মধ্যে এখনো হাহাকার চলছে। এবারের বন্যায় জেলার শিক্ষাশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা মাধ্যমিক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরের তথ্যমতে, কুমিল্লার বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোতে এক হাজার ১১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চলমান বন্যায়। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসা মিলিয়ে ৪৭৮টি এবং ৬৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে সংস্কার করা ছাড়া পাঠদান শুরু করা যাবে না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসার সংখ্যা ৩২৮। আর এমন প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে প্রায় ৩০০। এরই মধ্যে দুটি দপ্তর থেকেই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে ৭২৪টি। এর মধ্যে ১৪ উপজেলায় ভয়াবহ বন্যায় ২৮৬টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক তিন কোটি ৮৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান বানের পানিতে তলিয়ে রয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, জেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদরাসা রয়েছে ৪১৩টি। এর মধ্যে ১৯২টি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান মাদরাসা। বর্তমানে সংস্কার ছাড়া পাঠদান শুরু করা যাবে না এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১২৩টি। এগুলোতে  ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রফিকুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলার বন্যাকবলিত ১৪টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং উপজেলার প্রতিষ্ঠানগুলো। আমরা এরই মধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পানি নেমে গেলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। চেষ্টা করা হবে শিগগিরই পাঠদান শুরু করার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা দুই হাজার ১০৭। এর মধ্যে বন্যায় ৬৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বানের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ৬৮টি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, লাকসাম উপজেলায় ৬৭টি, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় ১৮টি, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১২টি, বুড়িচংয়ে ৬৭টি, নাঙ্গলকোটে ৮০টি, মনোহরগঞ্জে ১১টি, লালমাই উপয়েজলায় ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া মুরাদনগর, তিতাস ও বরুড়ার ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরুর আগেই সংস্কারকাজ করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর তালিকা এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের সংস্কারকাজ করে পাঠদান উপযোগী করার আবেদন করা হয়েছে। এখনো অনেক বিদ্যালয়ে পানি রয়েছে। পানি নেমে গেলে বাকি কার্যক্রম শুরু হবে।</span></span></span></span></p>