<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহকে অপসারণ করা হয়েছে। গত বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে অপসারণ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফজলুল্লাহ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা, অর্থপাচার, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণের দাবিতে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করলেও তিনি বহাল ছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টানা ১৫ বছর চার মাস ওয়াসার গুরুত্বপূর্ণ পদে (প্রথমে চেয়ারম্যান, পরে এমডি) থাকাকালে ওয়াসার পানিতে ময়লা, লবণাক্ততা, সিস্টেম লস কমাতে না পারা, নিজের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবসহ নানা কারণে বিভিন্ন সময় তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়েছে। তবে ক্ষমতার দাপটে তিনি বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে আলাদা এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি পদে স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশাকে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফজলুল্লাহর গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম ওয়াসায় পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ১০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে আটটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। দুটি বড় প্রকল্পের কাজ এখনো চলছে। শেষ হওয়া আট প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে আট হাজার কোটি টাকার বেশি।</span></span></span></span></p>