<p>ময়মনসিংহ এখন বিভাগীয় নগরী। রয়েছে একাধিক পাড়া-মহল্লা। রয়েছে বিপুলসংখ্যক স্কুল-কলেজসহ বিবিধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিকে অনেক কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে মহল্লাভিত্তিক। আবার অনেক গ্যাং গড়ে উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক। এখানেই শেষ নয়। কিশোর গ্যাংয়ের কুপ্রভাব ছড়িয়েছে গ্রামাঞ্চলেও। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন এদের নিয়ে। একমাত্র খুনের ঘটনা ঘটলেই এদের অপকর্ম প্রকাশ্যে আসে। নইলে এদের নানা অপকীর্তি প্রশাসন আর সমাজের আড়ালেই থেকে যায়। শুধু নীরবে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন অসহায় ভুক্তভোগীরা।</p> <p>কোনো কোনো গ্যাংয়ের রয়েছে বড় ভাই। নিজেদের জাহির করতে মাদক সেবন করে ফুর্তির নাম করে প্রচণ্ড গতিতে সড়কে বিকট শব্দে মোটরসাইকেলে হর্ন বাজিয়ে চলাচল করে। নারীদের উত্ত্যক্ত করা ওদের রেওয়াজে পরিণত করেছে। শহরের অনেক সড়কের মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ে এদের বেপরোয়া অবস্থান। অনেক সময় ভাড়াটে হিসেবেও এরা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বিভাগীয় নগরীর নতুন বাজার-বাউন্ডারি রোড-নাহা রোড, মাসকান্দা, ব্রিজ মোড়, শম্ভুগঞ্জ, আকুয়া, কেওয়াটখালী, বাকৃবি এলাকা, কৃষ্টপুর, পুরোহিতপাড়া, কলেজ রোড, সানকীপাড়া, বাঘমারাসহ পুরো নগরীতে শতাধিক ‘কিশোর গ্যাং’ সক্রিয় রয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে রয়েছেন এলাকাভিত্তিক ‘বড় ভাই’। নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের নিজেদের কবজায় নিয়ে এসব বড় ভাই মাদক বিপণনের কাজ করাচ্ছেন। মারামারির ঘটনাও ঘটছে প্রকাশ্যেই।</p> <p>সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহের জেলা সম্পাদক ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের প্রায়ই নগরীতে বেপরোয়াভাবে বিশেষ করে মোটরসাইকেলে চালাফেরা করতে দেখা যায়। অনেক সময় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এদের প্রশ্রয় দেন। এই চক্রটির কারণে ময়মনসিংহ নগরী অনেকের কাছে এখন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।</p> <p> </p>