<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোজ্য তেলের বাজারে যাঁরা আছেন তাঁদের সিন্ডিকেট না বলি, তাঁরা ব্যবসায়ী। তাঁরা যথেষ্ট শক্তিশালী। খুব বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি বা যাঁরা সরাসরি আমদানি করেন, সরবরাহ দেন; আবার যাঁরা পরিবেশক হিসেবে শুধু সরবরাহ দেন না, শুধু ডিও লেটার দেন। সরবরাহের ক্ষেত্রে এই জটিল জিনিস তো ভাঙা কঠিন। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দাম বাড়ালেও বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। তাহলে কি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নিশ্চিতভাবে ব্যবসায়ীরা শক্তিশালী।  ক্রয়সংক্রান্ত বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোটামুটি যেগুলো আসছে, আমরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিচ্ছি। অনেকগুলো ক্রয়সংক্রান্ত বিষয় অনুমোদন দিলাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">  তিনি বলেন, সয়াবিন হয়তো কিছুটা সহনীয় হতে পারে। আর মসুর ডাল দিচ্ছি, কারণ মসুর ডালের প্রয়োজন আছে। অতএব, রোজা পর্যন্ত যত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আছে চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এগুলো আমরা নিশ্চিত করছি। চেষ্টা করছি বাজারটা যাতে আর একটু সহনীয় হয়। তবে সময় লাগবে। কারণ এগুলো বেশির ভাগ বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। আমাদের আনলোড করতে দেরি হয় না, কিন্তু সরবরাহের ক্ষেত্রে আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে বাইরের ওপর। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারের ব্যাপারটার সঙ্গে আমাদের একটু গ্যাপ আছে। কারণ আমরা দাম যেটা ধরি, যে দামে বিক্রি করার কথা সেটাই। এখানে বাজারে অনেক রকম ব্যাপার আছে। যেমন যখন আট টাকা দাম যেদিন বাড়ে, তার পরের দিন বাজারে অনেক সরবরাহ ছিল। যখনই দাম বাড়ানো হয়েছে, ব্যবসায়ীদের একটা প্রত্যাশা আছে আট টাকা বাড়িয়েছি, আবারও বাড়বে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে উপদেষ্টা বলেন, মনিটরিং হচ্ছে না, তা নয়। সবাই মিলে ঠিকঠাক করে, এমনটা বাইরের দেশে হয় না। কিন্তু এখানে সবাই মিলে তাদের স্বার্থে দাম ঠিক করে বিক্রি করে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারত থেকে চাল কিনবে সরকার : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টিসিবির জন্য কিনবে ২৮৫ কোটি টাকার তেল-ডাল</span></span></strong><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টিসিবির</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> জন্য দেশীয় উৎস থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল এবং এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এতে ব্যয় হবে প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা (২৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা)। এর মধ্যে ১৮৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সয়াবিন তেল কেনা হবে। ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা দিয়ে কেনা হবে মসুর ডাল।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৩২৬ কোটি টাকায় আসবে সুইজারল্যান্ডের ২ কার্গো এলএনজি : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে সুইজারল্যান্ড থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৩২৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ২৮০ টাকা। </span></span></span></span></span></p>