<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর অঞ্চলে এবার রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে খাবার আলুর পাশাপাশি বীজ আলুর দাম। সেই সঙ্গে জমির ভাড়া, শ্রমিকের মজুরি, চাষাবাদ এবং হিমাগারের ভাড়াও বেড়েছে। দাম বাড়ায় বেশ ধকল সামলাতে হবে কৃষককে। বর্তমান দাম অনুযায়ী আলুর মৌসুমে দাম পড়ে গেলে সর্বনাশ হবে কৃষকের। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছর এই অঞ্চলে এক লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ৫০ কেজি অনুযায়ী এতে ১০ কোটি কেজি আলুর প্রয়োজন ছিল। এতে উৎপাদন খরচ ছিল বেসরকারি পর্যায়ে সর্বনিম্ন ৩২০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৩২০ কোটি টাকা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার এক লাখ এক হাজার ৫৭৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৫০ কেজির হিসাবে এবার প্রায় ১০ কোটি ১৫ লাখ সাত হাজার ৬০০ কেজি আলুর প্রয়োজন। সে অনুযায়ী সর্বনিম্ন প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে এবার খরচ হবে ৪২৬ কোটি ৬১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। শুধু আলু বীজে সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা দরে কৃষকের বাড়তি খরচ হবে ১০৬ কোটি ৬১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রতি কেজি বীজ আলু (সর্বোচ্চ ভালোমানের) গড়ে ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ গত বছর একই আলু বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বছর ডিলার পর্যায়ে হল্যান্ড বীজ আলুর দাম ছিল ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। সেই আলু এবার কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আলু চাষিরা মাঠে কোমর বেঁধে নেমেছেন। বিশেষ করে চরাঞ্চল এখন আলুর দখলে, পরিবার পরিজন নিয়ে আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্ষেতমজুর ও চাষিরা। বাজারে আলুর দাম বেশি হলেও সেদিকে তোয়াক্কা নেই তাঁদের। আশা, বেশি দরে আলু কিনে বেশি দরে তা বিক্রি করা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুরের নগর মীরগঞ্জ এলাকার আলু চাষি সেকেন্দার আলী জানান, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বছর ৫০ কেজির আলুর বস্তা কিনেছি ১৬ হাজার টাকা দরে। এবার ২০ হাজারেও মিলছে না। বেশি দরে আলু কিনলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গঙ্গাচড়া উপজেলার মহীপুরের আলু চাষি হোসাইনুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বছর চার বিঘা জমিতে আলু আবাদ করেছি। এবার আলু বীজের দাম বেশি। এ ছাড়া কিষানও পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে খরচ বেশি হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারাগঞ্জ উপজেলার এনএন হিমাগারের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, সার্বিক খরচ বৃদ্ধির কারণে হিমাগারের ভাড়াও বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণের ভাড়া দুই টাকা বাড়িয়ে আট টাকা করার পরিকল্পনা করেছে হিমাগার মালিক সমিতি। তবে ইতিহাস বলছে, এক বছর আলুর দাম বেশি হলে পরের বছর ভাটা পড়ে। ঠিক এমনটা ঘটে গেলে সর্বনাশ হবে আলুতে স্বপ্ন দেখা চাষিদের।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর জেলা জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, কৃষি অঞ্চলের মানুষ তো কৃষিতেই স্বপ্ন দেখবে। তাই এই স্বপ্ন ভঙ্গ না করে কৃষকদের ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকারের প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি আলু রপ্তানির ব্যবস্থা করতে হবে।</span></span></span></span></p>