<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৬৪ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন হাজার ২২১ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)</span></span><span dir="ltr" lang="HI" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">।</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (ঢাকা-১) মামলাগুলো করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল এবং সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনটি মামলায়ই নসরুল হামিদ বিপুকে আসামি করা হয়েছে। আর তাঁর ছেলে জারিফ হামিদ এবং স্ত্রী সীমা হামিদ একটি করে মামলায় আসামি হয়েছেন। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে মোট ৬৪ কোটি ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন হাজার ২২১ কোটি টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তিনি অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৩৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৫৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এ ছাড়া তাঁর নিজ নামে ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে তিন হাজার ১৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৩ টাকা জমা এবং মোট তিন হাজার ১৮০ কোটি ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭২৯ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিপুর ছেলে জারিফ হামিদের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তাঁর বাবা নসরুল হামিদ বিপুর ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২০ কোটি ৮৭ লাখ ৬৬ হাজার ২০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেন এবং তা ভোগদখলে রেখেছেন। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনে সহায়তা করার জন্য মামলায় জারিফের সঙ্গে তাঁর বাবা নসরুল হামিদ বিপুকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া জারিফ নিজ নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ২৭ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩১ টাকা জমা এবং পরবর্তী সময়ে ১৭ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৭ টাকা উত্তোলন করেন।</span></span></span></span></p>