বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবী নেতাদের সম্মানে ইফতার

দেশের সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত দ্রুত নির্বাচন দরকার : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশের সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত দ্রুত নির্বাচন দরকার : ফখরুল
পেশাজীবী নেতাদের সম্মানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রাজধানীর লেডিস ক্লাবে। ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এখন একটা অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রান্ত করছি। শুধু অলীক ধারণা, বিভিন্ন ইউটিউবিয়ান চিন্তা থেকে চিন্তা-ভাবনা করলেই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আবেগ দিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে সমস্যা সমাধান করা যাবে না। এখন সমস্যা সমাধানের জন্য অত্যন্ত দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান দরকার।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা লেডিস ক্লাবে ইফতার মাহফিলে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবী নেতাদের সম্মানে এই আয়োজন করে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বাস্তববাদী ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরিবর্তনকে সামনে নিয়ে, একটা নতুন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। নতুন একটা গণতান্ত্রিক পার্লামেন্ট ও সরকার গঠিত হবে, সেই প্রত্যাশা নিয়ে জনগণ অপেক্ষা করছে।

এই সময়ে আমরা যারা রাজনীতি করছি, বিভিন্ন পেশাতে, সরকার অথবা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, সবাই এমনভাবে কথা বলব, কাজ করব, তা যেন গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সুযোগ করে দেয়।

তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) বারবার বলছেন, আমরা যেন আমাদের পথকে ভুলে না যাই। এমন কোনো ব্যবস্থা না নেই, যা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশেষ করে উনি গত পরশু যে বক্তব্য দিয়েছেনবাংলাদেশে উগ্রবাদের যে সূচনা হচ্ছে, পথ দেখা যাচ্ছে, এই ধরনের কোনো উগ্রবাদ আমাদের গণতান্ত্রিক পথকে সম্পূর্ণ বিঘ্নিত করবে।

আমরা যেন সেই পথে কোনোমতেই এগিয়ে না যাই।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ এস এম ফায়েজ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম এ আজিজ ও সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকতউল্লা বুলু, আবদুস সালাম পিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ এম আবদুল হালিম প্রমুখ।

জঘন্যতম অপরাধ : ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় অসংখ্য মানুষ হতাহতের ঘটনায় নিন্দা, প্রতিবাদ ও শোক জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসেও ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর ওপর নিষ্ঠুর বর্বরতা চলছে। গাজা উপত্যকাকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির পরও নতুন করে এই হামলা বেআইনি ও মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ। এই আগ্রাসন ফিলিস্তিন জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার একটি সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সমাবেশ

শেয়ার
সমাবেশ
আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল শাহবাগে জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

ডিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ডিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯৩

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত দুই দিনে মহানগরীর ৫০টি থানায় চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম জোরদার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় বিভিন্ন অপরাধে ১১৬টি মামলা করা হয়েছে। ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনে মহানগরজুড়ে দুই পালায় মোট এক হাজার ৩৩৪টি টহল টিম কাজ করে। এর মধ্যে ৬৮০টি রাতের ও ৬৫৪টি দিনের টহল টিম ছিল।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি ওবিই ডিনারেস জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সম্পাদিত জিটুজি চুক্তির আওতায় তৃতীয় চালান হিসেবে এই চাল এসেছে। গতকাল শনিবার ঢাকায় সরকারি তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়। তথ্যবিবরণীতে আরো বলা হয়েছে, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।

এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি ভিত্তিতে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে দুটি চালানে ৩০ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চাল এর আগে দেশে পৌঁছেছে।

মন্তব্য
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে, নির্বাচন পেছানো যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার বিচার হতে হবে, নির্বাচন পেছানো যাবে না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যে সরকারই আসুক শেখ হাসিনার বিচার করতেই হবে। কিন্তু এ জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানো যাবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর আসাদগেটে ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড মিলনায়তনে ঢাকার সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ডক্টর ইউনূস সাহেব আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন সম্মানিত ব্যক্তি।

তাঁকে অসম্মান করাটা ঠিক হবে না। তাঁকে সুযোগ করে দেওয়া হোক, অতি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে উনি চলে যান। এখন কেউ যদি বলে, হাসিনার বিচার যত দিন পর্যন্ত না হবে, নির্বাচন তত দিন হবে না! এখন হাসিনার বিচার কি আমরা চাই না? সে কি আমাদের নির্যাতন করেনি? হাসিনার বিচার অবশ্যই হতে হবে, যে সরকারই আসুক না কেন। এখন তাঁর বিচার যদি নির্বাচনের সঙ্গে ট্যাগ করা হয়..., তার বিচার হতে সাত বছর লাগবে।
তাহলে কি আমরা এই সাত বছর বসে বসে তামাক খাব? বললেই তো হবে না। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মতো কথা বললে তো হবে না। 

তিনি বলেন, দেখেন ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত গাছের পাতা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছিল। যেই সকাল বেলা খবর হলো শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব নিহত হয়েছেন, আওয়ামী লীগ কোথায় হাওয়া হয়ে গেল, কেউ খুঁজে পেল না।

আবার যদি এরও পেছনে যাই আমি, ৭০-এর নির্বাচনে জনগণের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে তাদের নির্বাচিত করল। তার পরে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আলোচনা-সমালোচনা অনেক কিছু করেছে। ৭ মার্চের ভাষণ যদি শোনেন গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে। কিন্তু ওই ভাষণে সমঝোতার কথা ছিল। ভাষণের শেষে গিয়ে বললেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
জয় বাংলা জয় পাকিস্তান। তো এইটা তো স্বাধীনতার ঘোষণা হলো না। তখন বলছিলেন আসুন বসুন, আলোচনা করুন পার্লামেন্টে আসুন, এটা কি স্বাধীনতার ঘোষণা? তার পর ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানিরা যখন হামলা করল, তখনো আওয়ামী লীগ নেই। নেই তো নেই। এই সাত কোটি মানুষ কী করবে? কোথায় যাবে? কার কাছে যাবে? কার কাছে আশ্রয় নেবে? এমপি-নেতা সব ভেগে গিয়েছিলেন। কেউ ছিলেন না। এই হলো আওয়ামী লীগ।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ