<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের সর্বদক্ষিণের উপকূল খুলনার কয়রায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের মেগাপ্রকল্পসহ বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হলেও সেসবের বাস্তবায়নের কাজ চলছে ধীরগতিতে। ফলে ওই অঞ্চলে দুর্যোগের ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কয়রায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুনর্বাসন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রকল্পের আওতায় বেড়িবাঁধ সংস্কার ও টেকসইকরণের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর। তবে এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। এরই মধ্যে নতুন করে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ জানিয়ে এলাকাবাসী বলছে, কাজে আসবে না এই সংস্কার ও টেকসই প্রকল্প। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা ও সাতক্ষীরা-২ বিভাগ। এ দুই বিভাগ থেকে দরপত্রের মাধ্যমে ২৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করার অনুমতি পায়। প্রকল্পের আওতায় কয়রা উপজেলার চারটি নদীতীরবর্তী এলাকায় নির্মিত ১২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার ও টেকসইকরণের কাজ হবে। বর্তমানে ৩২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের সংস্কারকাজ চলমান রয়েছে। চলমান কাজের মধ্যে বাঁধের উচ্চতা ও প্রশস্ততা বৃদ্ধি, ঢাল সংরক্ষণ, নদীশাসন ও চর বনায়ন উল্লেখযোগ্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়ে কয়েকবার হাত বদল হয়ে অনভিজ্ঞ লোকদের দিয়ে কাজটি করা হচ্ছে। সহঠিকাদারের আর্থিক সংকটে শ্রমিকের পাওনা টাকা বাকি থাকায় তাঁরাও কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে কাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকায় আবার ভাঙন দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দাবি, কার্যাদেশ পেতে দেরি এবং কাজ অনুযায়ী বরাদ্দ ছাড় না পাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পটি শেষ করতে পারছেন না তাঁরা। সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি স্থানে মাটি স্তূপ করে রাখা হয়েছে, কিছু স্থানের কিছু অংশে মাটির কাজ করে ফেলে রাখা হয়েছে, কিছু স্থানে বালুর বস্তা তৈরি করে রাখা হয়েছে, আবার কিছু স্থানে বালুভর্তি বস্তা ফেলার জন্য প্রস্তুত রাখা আছে। কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের আংটিহারা গ্রামের হারেজখালী ক্লোজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দুই হাজার ৮৭০ মিটার বাঁধ নির্মাণে মাটির কাজ চলছে। মেসার্স মোজাফফর এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কিনে নিয়ে ইস্রাফিল হোসেন নামের এক ব্যক্তি ওই কাজ করছেন। প্রায় ১২ কোটি টাকা বরাদ্দের এই কাজ তিনি ছয় কোটি টাকায় চুক্তি করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সাব-ঠিকাদারের আর্থিক সংকট থাকায় এ মুহূর্তে সেখানে কাজ বন্ধ আছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। এ বিষয়ে জানতে কাজের মূল ঠিকাদার মোজাফফর হোসেন মন্টু মিয়ার ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল করলেও সাড়া দেননি তিনি। সাব-ঠিকাদার ইস্রাফিল হোসেন কাজ কিনে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও কত টাকায় চুক্তি করেছেন তা এড়িয়ে যান।</span></span></span></span></p> <p> </p>