৪৮৩৬ ইটভাটা চলছে ঘুষে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ-ধ্বংস জীববৈচিত্র্য

  • ঢাকা : ৭৩৩, চট্টগ্রাম : ৮০১ খুলনা : ৯৮১, রাজশাহী : ৮২৪ রংপুর : ৭৭৮, বরিশাল : ২০৪ ময়মনসিংহ : ৪৯২, সিলেট : ২৩
নিজামুল হক
নিজামুল হক
শেয়ার
৪৮৩৬ ইটভাটা চলছে ঘুষে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ-ধ্বংস জীববৈচিত্র্য

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায়ই গড়ে উঠেছে ২০টি অবৈধ ইটভাটা। ফসলি জমি নষ্ট করে এসব ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে। ইটভাটায় পোড়ানো কাঠের কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। অনুমোদনহীন এসব ইটভাটা বন্ধে গত বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।

শুধু নোয়াখালীর সুবর্ণচর নয়, একইভাবে দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ ইটভাটা।

আরো পড়ুন

সেবা নয়, অর্থ ও সম্পদ করাই নেশা ছিল বরগুনার শম্ভুর

সেবা নয়, অর্থ ও সম্পদ করাই নেশা ছিল বরগুনার শম্ভুর

 

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের হাউসপুর গ্রামে স্কুলের সীমানাপ্রাচীর লাগোয়া দুটি ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে। আবার কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হচ্ছে দুটি অবৈধ ইটভাটা। এর মধ্যে একটি থানাহাট ইউনিয়নের ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লাগোয়া।

 

আইন অনুযায়ী, কৃষিজমিতে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইনে বলা আছে, আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে, বনাঞ্চলের দুই কিলোমিটার এবং ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়কের অন্তত আধা কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। আইন অমান্য করলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড, অন্যূন ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।  কিন্তু  আইন অমান্য করেই সারা দেশে খেয়ালখুশিমতো চলছে ইটভাটা বাণিজ্য।

এ কারণে বেশির ভাগের কোনো ধরনের দণ্ডের মুখোমুখি হতে হয় না। আবার কেউ যদি দণ্ডিত হন, পরে কৌশলে আবারও নতুন করে একই স্থানে গড়ে তোলেন ইটভাটা।

আরো পড়ুন

সেবা নয়, অর্থ ও সম্পদ করাই নেশা ছিল বরগুনার শম্ভুর

সেবা নয়, অর্থ ও সম্পদ করাই নেশা ছিল বরগুনার শম্ভুর

 

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র কিংবা জেলা প্রশাসকদের অনুমোদন ছাড়াই সারা দেশে গড়ে উঠেছে প্রায় পাঁচ হাজার অবৈধ ইটভাটা। ইটভাটার পাশের ঘরবাড়িতে বসবাসকারীদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এসব অবৈধ ইটভাটা পরিচালিত হলেও বন্ধ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উল্টো প্রশাসনকে ঘুষ দিয়েই ইটভাটার মালিকরা এসব ভাটা পরিচালনা করছেন।

 

সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে সারা দেশের অবৈধ ইটভাটার তথ্য চেয়েছে মন্ত্রণালয়। সেখানকার সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়ছে, সারা দেশে চার হাজার ৮৩৬টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭৩৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮০১টি, খুলনা বিভাগে ৯৮১টি, রাজশাহী বিভাগে ৮২৪টি, রংপুর বিভাগে ৭৭৮টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৯২টি, বরিশাল বিভাগে ২০৪টি এবং সিলেট বিভাগে ২৩টি।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।

আইনের তোয়াক্কা না করে কিভাবে এত দিন এসব ইটভাটা গড়ে তোলার পর পরিচালিত হচ্ছিল সে প্রশ্ন সবার। বিষয়টি নিয়ে অন্তত ১০ জন ইটভাটা মালিকের সঙ্গে কথা হয় কালের কণ্ঠের। প্রত্যেকে নিজের নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ইটভাটা পরিচালনা করা হচ্ছে।

তাঁরা আরো জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে বছরে তাঁদের প্রত্যেককে ৪ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষের পেছনে খরচ করতে হয়। যাঁর ইটভাটা যত বড় তাঁর ঘুষের অঙ্কও তত বড়। এর বাইরে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্পন্সর করতে হয়। এসব অনুষ্ঠানের আগে অবৈধ ইটভাটা মালিকদের কাছে টাকা চাওয়া হয়।

তাঁরা আরো জানান, মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালিত হলেও আগে থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়। মূলত উপজেলা ও জেলা অফিসে একটি সিন্ডিকেট আছে। তাদের মাধ্যমেই বিষয়টি ম্যানেজ করা হয়। কখনো উপজেলা অফিসের কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজনকে কম দামে ইট দেওয়া হয়, আবার কখনো বিনা মূল্যে। প্রতিটি জেলায় ইটভাটা মালিকদের সমিতি আছে। এসব সমিতির মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করা হয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বিবিএমওএ) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সভায় উপদেষ্টা জানান, ইটভাটাজনিত বায়ুদূষণ রোধে নতুন করে আর ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। যেসব ইটভাটা পরিবেশ নষ্ট করছে সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। পার্বত্য এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো স্থানান্তরের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই বিভাগে অনেক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। খবর পেলেই আমরা অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। অনেক ক্ষেত্রে ইটভাটা ভেঙে দেওয়ার পর আবারও ইট পোড়ানো শুরু করে। জনবলসংকটে আমরা প্রতিনিয়ত তদারকি করতে পারছি না।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মাদ আব্দুল মোতালিব কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। অবৈধ ইটভাটার ব্যাপারে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

অধিদপ্তরের  পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) মো. জিয়াউল হক কালের কণ্ঠকে  বলেন,  ‘সারা দেশ থেকে অবৈধ ইটভাটার তালিকা সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনায় এসব ইটভাটা উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে সব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে।’

আরো পড়ুন

‘ফ্যাক্ট চেকিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ’

‘ফ্যাক্ট চেকিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ’

 

তাহলে কি এত দিন উপজেলা-জেলা প্রশাসনকে ঘুষ দিয়ে ইটভাটা চলছিল—এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক কিছুই ওপেন সিক্রেট।’

বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যাঁদের অবৈধ ইটভাটা রয়েছে তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। আমাদের অবস্থান তাঁদের বিরুদ্ধে। কিভাবে তাঁরা অবৈধভাবে ইট তৈরি করছেন সেই প্রশ্ন আমাদেরও। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই হয়তো তাঁরা এটা করছেন।’

আরো পড়ুন

নারীদের ভোট বেশি পেলেন হ্যারিস, পছিয়ে ট্রাম্প

নারীদের ভোট বেশি পেলেন হ্যারিস, পছিয়ে ট্রাম্প

 

তিনি আরো বলেন, ‘সিলেট বিভাগে অনেক ইটভাটা রয়েছে, যার দূরত্ব স্কুল থেকে মাত্র ৩০০ মিটার। এগুলো কিভাবে অনুমোদন পেল—এই প্রশ্ন আমাদের।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এবারের শোভাযাত্রা আরো বর্ণাঢ্য, কালারফুল ও ইনক্লুসিভ হবে : ফারুকী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এবারের শোভাযাত্রা আরো বর্ণাঢ্য, কালারফুল ও ইনক্লুসিভ হবে : ফারুকী
ফাইল ছবি

আসন্ন পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা আরো বর্ণাঢ্য, কালারফুল ও ইনক্লুসিভ হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “আজ যে নববর্ষের শোভাযাত্রা আমরা দেখি, এটার শুরু যশোরের চারুপীঠে। শিল্পী শামীম ভাইয়ের হাতে। তখন এটার নাম ছিল ‘বর্ষবরণ শোভাযাত্রা’।

তারপর শামীম ভাই ঢাকায় পড়তে আসেন, সাথে শোভাযাত্রাকেও নিয়ে আসেন। এরপর এটার নাম দেওয়া হয় ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। তারপর ওয়াহিদুল হক ভাই এটার নাম দেন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’!”

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগ নেতা মুজিব গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগ নেতা মুজিব গ্রেপ্তার

 

উপদেষ্টা বলেন, ‘যে শোভাযাত্রা যশোরের এক শিল্পীর মনের মধ্যে প্রথম জন্ম নিয়েছিল, কালে কালে সেটা অনেক মানুষের হয়েছে। এবার এটা আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে সারা বাংলাদেশের হচ্ছে।

চাকমা, মারমা, গারো, সাঁওতালসহ সব জাতিগোষ্ঠী তাদের নতুন বছর উদযাপন করে কাছাকাছি দিনে। কারো উৎসবের নাম বিজু, কারো সাংগ্রাই, কারো ওয়াংগালা, কারো ফাগুয়া। এবার আমরা সবাই মিলছি উৎসবের মোহনায়, যার যার স্বকীয়তায়।’ 

তিনি বলেন, ইন্টারেস্টিংলি, কিছুক্ষণ আগে শামীম ভাই জানালেন, ‘তিনি যখন প্রথম মেনিফেস্টো লেখেন, তখন বহু জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের কথাই শুধু লিখেছিলেন তা না, বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের মানুষের অংশগ্রহণের কথাও লিখেছিলেন।

আমি তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবারের শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের সাথে। ইনশাআল্লাহ এবারের শোভাযাত্রা আরো বর্ণাঢ্য, আরো কালারফুল, আরো ইনক্লুসিভ হবে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রোহিঙ্গা শিবিরে পানির তীব্র সংকট : এমএসএফ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রোহিঙ্গা শিবিরে পানির তীব্র সংকট : এমএসএফ
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারে টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন রোহিঙ্গারা জনপ্রতি ১০ লিটার করে পানি পাচ্ছেন। এই পরিমাণ পানি জীবনধারণের প্রয়োজনের অর্ধেক। সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল বলেছে, পানি সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল বা মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) টেকনাফে চলমান এই সংকটের কথা বলেছে। পাশাপাশি এমএসএফ জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আরো পড়ুন
সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান

সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান

 

এসএমএফ বলেছে, উদ্বেগজনক হারে সংরক্ষণব্যবস্থা কমে আসায় পানির সংকট আরো কঠিন হয়েছে। টেকনাফ মূলত মজুদকৃত পানির ওপর নির্ভরশীল।

কিন্তু এই বছর আশঙ্কাজনক হারে মজুদকৃত পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশে এমএসএফ-এর মিশন প্রধান আন্তোনিও কারাডোনা বলেন, ‘পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। টেকনাফে প্রতিদিন জনপ্রতি ১০ লিটার পানি পাওয়া যায়, যা একজন মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ক্যাম্পজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নানা রোগের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব থেকেই এই সংকটের তীব্রতা স্পষ্ট।

নূর আলম নামের একজন রোহিঙ্গা তার কষ্টের কথা এমএসএফকে শুনিয়েছেন। নূর আলম বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর ধরে পানিসংকট তীব্র হতে দেখছি, এখানে সাহায্য–সহযোগিতাও অনেক সীমিত। অনেককেই বাধ্য হয়ে অনেক দূরে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পানি আনতে হয়, যা অনেক বেশি সময়সাপেক্ষও।’

এমএসএফ বলেছে, জরুরি সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকা, প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহব্যবস্থা আরও উন্নত ও দ্রুত করার সুযোগ আছে। কলেরার মতো পানিবাহিত রোগসহ নানাধরনের চর্ম রোগের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি হ্রাস এবং ক্রমবর্ধমান অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

আরো পড়ুন
নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারীরা জনগণের শত্রু : আমীর খসরু

নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারীরা জনগণের শত্রু : আমীর খসরু

 

এমএসএফ একটি বোরহোল, একটি পানি সংরক্ষণ ও সরবরাহ সেবা শুরু করেছে এবং ক্যাম্পে ট্রাকের মাধ্যমে পানি সরবরাহ সেবা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। এই জরুরি পদক্ষেপগুলো যদিও এ সংকটের সাময়িক সমাধান দেয়, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী ও পর্যাপ্ত নয়।

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ও দাতাসংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই পানি সরবরাহে বিনিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এমএসএফ। পাশাপাশি দায়িত্বশীল অংশীদারদের কাছে জবাবদিহি ও সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা বলেছে তারা।

মন্তব্য
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন

বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্ত নিয়ে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্ত নিয়ে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্ত নিয়ে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্রিটিশ এমপিরা। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থের সন্ধান কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ধরনের ‘বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা’ চালানো হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

এই সংবাদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে নিয়ে সন্দেহজনক ই-মেইল পেয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা।

আরো পড়ুন
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে : বাবুল

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে : বাবুল

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ এই কর্মকর্তা বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল সম্পদের সন্ধানে যুক্তরাজ্য সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতাও চেয়েছেন। এসব অর্থের কিছুটা যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কিনতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকও অর্থপাচার বিষয়ে সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন।

চলতি বছর ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করেন। তবে সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ।

ব্রিটিশ এমপিরা আশঙ্কা করছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি তদন্তের প্রচেষ্টা আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে। কারণ আহসান মনসুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর বছেন, যারা মানি লন্ডারিংয়ের তদন্তের আওতায় রয়েছে, তারা আমার সুনাম নষ্ট করতে নানাভাবে টার্গেট করার চেষ্টা চলছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল সেনাবাহিনী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল সেনাবাহিনী
সংগৃহীত ছবি

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

সোমবার (২৪ মার্চ) শহীদ আবু সাঈদের বাবার নিকট আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬  জুলাই রংপুরে আন্দোলন চলাকালীন নিরস্ত্র অবস্থায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ।

মাতৃভূমির জন্য তার নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আইএসপিআর জানায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শহীদ আবু সাঈদের বাবা হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে রংপুর থেকে সিএমএইচ, ঢাকাতে আনা হয় এবং উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে গত ২৩ মার্চ জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সেনাবাহিনীপ্রধানের আমন্ত্রণে তিনি উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ