<p>ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রথম প্রায় দেড় একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কমলার চাষ করে সাফল্যে পেয়েছেন প্রবাসফেরত শহিদ আহাম্মেদ। তার ওই বাগানটির অবস্থান উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আখালিয়া গ্রামে।</p> <p>কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আখালিয়া গ্রামের কৃষক নিশান আলীর ছেলে এইচএসসি পাস শহিদ আহাম্মেদ আর্থিক সফলতা অর্জনের জন্য ২০০৮ সালে সাউথ আফ্রিকা গমন করেন এবং ২০১৫ সালে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি প্রথমে পোলট্রি ও লেবুর চাষ শুরু করেন। কিন্তু লেবুতে তেমন একটা সাফল্য না আসায় অন্য ফসল চাষের দিকে নজর দেন। এক পর্যায়ে তিনি ইউটিউব দেখে কমলা, মাল্টা ও ড্রাগন চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ফার্মের প্রায় দেড় একর জমিতে চায়না জাতের ২৩০টি এবং দার্জিলিং জাতের ৭০টি কমলার চারা রোপণ করেন। অবশিষ্ট জমিতে মাল্টা ও ড্রাগনের বাগান করেন। শহিদ আহাম্মেদের বাগানের গাছগুলোতে থোকায় থোকায় ঝুলছে অনেকটাই হলুদ হয়ে কমলা। ওই বাগান থেকে চলতি বছর তিনি প্রায় ছয় লাখ টাকার মাল্টা ও দেড় লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করেছেন এবং দেড় শ টাকা কেজি দরে কমলা বিক্রি শুরু করেছেন। পাশাপাশি সারা দেশে কমলার চাষ ছড়িয়ে দিতে কলম পদ্ধতিতে কমলার চারা করে স্বল্প দামে বিক্রি করছেন। কথা হলে শহিদ আহাম্মেদ জানান, ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে তিনিই প্রথম কমলা চাষ করেছেন। বাগান থেকে প্রথম (চলতি) বছর ৮-৯ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করার আশা করছেন। তিনি জানান, কমলাবাগানে প্রয়োজনে চার-পাঁচবার সেচ এবং তিন-চারবার সার প্রয়োগ করতে হয়। তার মতে, এভাবে কমলার চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিলে বিদেশ থেকে কমলা আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। উপজেলা কৃষি অফিস তাকে বাগান করার কাজে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করছে।</p> <p> </p> <p> </p>