<p>পাখির জন্য ভালোবাসা! পাখির নিরাপদ আশ্রয় তৈরিতে টাঙ্গাইলে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে নীলফামারীর পর্যটন স্পট নীলসাগরে পাখির বাসা করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।</p> <p>‘পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, এদের রক্ষায় এগিয়ে আসুন’ স্লোগানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন গাছে অর্ধশতাধিক মাটির হাঁড়ি বসানো হয়েছে। বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঠাগারের সদস্য শামীম আল মামুন, মনসুর হেলাল, সাজ্জাদ হোসেন, জাহিদ হাসান, রাকিব হোসেন, শহীদ ইসলাম ও শামীম-শাহীন বিজ্ঞান একাডেমির শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি এই উদ্যোগ নেন করেন।</p> <p>এদিকে নীলফামারীতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে সম্প্রতি গাছে গাছে মাটির পাতিল বসিয়ে পাখির বাসা তৈরি করে দিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে শনিবার সকালে পাখির অভয়াশ্রম ও পর্যটনকেন্দ্র নীলসাগরের বিভিন্ন গাছে শতাধিক পাতিল স্থাপন করা হয়।</p> <p>জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নীলফামারীর একমাত্র পর্যটনকেন্দ্র নীলসাগর দিঘি। প্রতিদিন শত শত পর্যটক আসে এখানে। শীতের শুরুতে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা নানা প্রজাতির পাখির আনাগোনা হয়। এ কারণে জেলা প্রশাসন পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে এলাকাটিকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফারুক আল মাসুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক প্রমুখ।</p> <p>জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান বলেন, জানুয়ারি মাস পাখির প্রজনন মৌসুম। তাই পাখির নিরাপদ প্রজননের জন্য নীলসাগরে পরীক্ষামূলক ১০০ পাতিল স্থাপন করা হচ্ছে। এর সংখ্যা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়া পরিযায়ী পাখিদের জন্য নীলসাগর দিঘিতে শেডের ব্যবস্থা এবং পাখির খাবার দেওয়া হবে।</p> <p> </p>