<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুনর্খননের মাধ্যমে বগুড়ার করতোয়া নদীকে পুরজ্জীবিত করাসহ সংশ্লিষ্ট কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় মৃত করতোয়া নদী যেমন ফিরে পাবে তার নব্যতা, তেমনি উন্নয়ন হবে কৃষিক্ষেত্রে। যার অবদান পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। পানিসম্পদ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষ করে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি এখন একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পের কাজ আগামী জানুয়ারিতে শুরু ও ২০২৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকল্পের উদ্দেশ্য করতোয়া, ইছামতী, গজারিয়া ও নাগর নদীর ৩৫৫.১০ কিলোমিটার এলাকা পুনর্খননের মাধ্যমে বগুড়াসহ গাইবান্ধা এলাকায় সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে নদীসমূহের নব্যতা ফিরিয়ে আনা। দখল ও দূষণ থেকে করতোয়া এবং সংশ্লিষ্ট পার্শ্ববর্তী নদীকে রক্ষা করা। ভূগর্ভস্থ পানির পুনর্ভরণ ও সেচ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা। পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ও দীর্ঘায়িত করে মৎস্য চাষের উন্নয়ন ও নদীর তীরে বনায়ন করা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের প্রধান অঙ্গসমূহের মধ্যে রয়েছে,  করতোয়া নদীর তীরে ৩১.৪৭ কিলোমিটার ঢাল সংরক্ষণের কাজ। বাঙ্গালী নদীর তীরে ১.৪৫ কিলোমিটার ও নাগর নদীর তীরে ০.৩০ কিলোমিটারসহ মোট ১.৭৮ কিলোমিটার নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ। করতোয়া নদী পুনর্খনন ১০৬ কিলোমিটার, নদীর ১৭ কিলোমিটার মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, গজারিয়া নদী পুনর্খনন ৩৪.৬০ কিলোমিটার, নাগর নদী পুনর্খনন ১১২ কিলোমিটার এবং ইছামতী নদী পুনর্খনন ৭১ কিলোমিটার ও সদরের এরুলিয়া খাল ১৪ কিলোমিটারসহ মোট ৩৫৫ কিলোমিটার খনন করা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া করতোয়া নদীর উভয় তীরে বাঁধ কাম ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে ৩২ কিলোমিটার। জেলা সদরের সুবিল খালের অংশে লিংকিং ওয়ার্ক করা হবে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। নির্মাণ করা হবে পানি নিয়ন্ত্রণ একটি অবকাঠামো, ব্রিজ ফাউন্ডেশন ৯৮টি, ওয়াকওয়েতে থাকবে ১০০ সিঁড়ি, বসার জন্য ১০০ বেঞ্চ ও ছাতা এবং ২৭ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন ড্রেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান এবং সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের (সুপ্র) সাধারণ সম্পাদক কে জি এম ফারুক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">করতোয়া উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে বর্ষায় নদীর পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং বন্যার তীব্রতা কমে যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক জানান, প্রকল্পটি অনুমোদন হলে জানুয়ারি ২০২৫ সালে কাজ শুরু করা হবে।</span></span></span></span></span></p>