পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩২ চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত মাত্র সাতজন। ফলে ৫০ শয্যার এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষকে।
উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ভরসাস্থল এ হাসপাতাল। এখানে কর্মরত সাত চিকিৎসকের মধ্যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একজন।
অন্য ছয়জন ডাক্তারকে দিয়ে কোনো মতে চলছিল সেবা। এরই মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে গেছেন একজন মেডিক্যাল অফিসার এবং দুজন মেডিক্যাল অফিসার উচ্চতর কোর্স করার জন্য কিছু দিনের মধ্যেই চলে যাবেন। তখন থাকবেন তিনজন মেডিক্যাল অফিসার। নতুন চিকিৎসক না পেলে এ তিনজনকে দিয়েই চালাতে হবে সেবা কার্যক্রম।
এ ছাড়া হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (এক্স-রে) না থাকায় বন্ধ আছে এ সেবা। অন্যদিকে হাসপাতালে ছয় বছর ধরে সিজার কার্যক্রম বন্ধ আছে। ফলে গর্ভবতী নারীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কিংবা কাটাছেঁড়া করা রোগী জরুরি বিভাগে এলে টাকা ছাড়া সেবা পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টাকা না দিলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া ওয়ার্ড বয়রা এসব রোগীর শরীরে হাত দিতে চান না। তবে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিলে সেবা দেন ঠিকই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে চিকিৎসাসেবা প্রদানে গাফিলতি করা হচ্ছে না। ডাক্তার সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানানো হয়েছে।’