চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একসময়ের ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও বাড়েনি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধ বরাদ্দ। ৩১ শয্যার জনবল ও সরঞ্জাম দিয়ে কোনোমতে চালানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। হাসপাতালের কয়েকটি আবাসিক কোয়ার্টার ডরমিটরি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে তিনটি কোয়ার্টার বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এগুলো এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
২০১৩-১৪ অর্থবছরে হাসপাতাল চত্বরে ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা ভবন, ডাইডস ডরমিটরি ও নার্সিং কোয়ার্টার নির্মিত হয়। এরপর ৫০ শয্যা চালু করা হয়। তবে ৫০ শয্যা হাসপাতালে ১৪ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে রয়েছেন পাঁচজন।
৩১ শয্যার হাসপাতালের জনবল এখনো রয়েছে এই হাসপাতালে। সে হিসাবেও চিকিৎসকের তিনটি পদ শূন্য ও ডেপুটেশনে রয়েছেন দুজন।
এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ও আন্ত বিভাগে ২৫-৩০ জন রোগী ভর্তি হওয়ায় চাপ সামলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বরাদ্দ দেওয়া হয়নি ৫০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ ওষুধ।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, চিকিৎসা সামগ্রীসহ ওষুধ বরাদ্দ পাওয়া যাবে।’