ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
১৩ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
১৩ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদ ও প্রজন্ম দলের নেতাদের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদ ও প্রজন্ম দলের নেতাদের নামে মামলা
সংগৃহীত ছবি

জালিয়াতি ও প্রতারণা করার অভিযোগে কথিত জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদের স্বঘোষিত সভাপতি গোলাম সারোয়ার সরকার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাহমুদুল আলম মাহমুদ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের স্বঘোষিত মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালতে অ্যাডভোকেট ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি বাদী হয়ে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে শেরেবাংলানগর থানাকে এজাহার হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলার এজাহারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন
জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ

জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ

 

এ ছাড়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামে আদালতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের সদস্যসচিব মো. নিহার হোসেন আরেকটি মামলার আবেদন করেন। আদালত তারও জবানবন্দি রেকর্ড করে পল্টন মডেল থানাকে এজাহার হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলার এজাহারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদের স্বঘোষিত সভাপতি গোলাম সারোয়ার সরকার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাহমুদুল আলম মাহমুদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি দলীয় অনুমোদন ব্যতীত ও অজ্ঞাত আসামিগণের পূর্ণসমর্থনে নিজেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা দিয়া ‘জিয়া প্রজন্ম’ নামে একটি দল অনুমোদনহীন ভুয়া সংগঠনের আবির্ভাব করে দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’-এর বর্ধিত সভাস্থলের স্থানে আসামি সারোয়ার হোসেন রুবেলসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন ঘটনাস্থলে আসেন। আসামি রুবেল ‘ভুয়া পরিচয় পত্র’ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দলীয় মহাসচিবের স্বাক্ষর নিজে এবং অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় সৃজন করেন। পরিচয়পত্রটি জাল স্বাক্ষর সম্বলিত এবং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজনকৃত হওয়ার বিষয়টি আসামিগণকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

আরেক মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম পরিষদ’ নামে অনুমোদনহীন ভুয়া সংগঠনের আবির্ভাব ঘটিয়ে সেই সংগঠনের ভুয়া সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।

আসামিরা এই ভুয়া সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের কাছে থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা আয় করেছে বলে লোক মুখে শোনা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ মার্চ সাক্ষীদের কাছে ২৩ মার্চের ইফতার মাহফিলের খরচ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্বাধীনতাসংগ্রামের অসম্পূর্ণ জাতীয় কর্তব্য সম্পন্ন করতেই গণ-অভ্যুত্থান : সাইফুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্বাধীনতাসংগ্রামের অসম্পূর্ণ জাতীয় কর্তব্য সম্পন্ন করতেই গণ-অভ্যুত্থান : সাইফুল হক
সংগৃহীত ছবি

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘স্বাধীনতাসংগ্রামের গণ-আকাঙ্ক্ষা বারবার প্রতারিত ও পদদলিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বিপরীতে দেশকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি জমানার মতো এক দেশে দুই অর্থনীতি কায়েম হয়। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধের অসম্পূর্ণ জাতীয় কর্তব্য সম্পন্ন করতেই ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ সব কথা বলেন তিনি।

সাইফুল হক বলেন, হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা দিবস। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার গৌরবকে আড়াল করে সামনে এগোনো যাবে না।

তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের মধ্যেও নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রশ্নে ন্যূনতম জাতীয় সমঝোতা বিনষ্ট করা যাবে না।

কারো কারো হঠকারিতা ও বাড়াবাড়ির কারণে গণ-অভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ সম্পর্কে সাইফুল হক বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েই গেল। কেউই অপরাধের বিচার ও সংস্কারের বিরুদ্ধে নয়।’ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য রেখে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য

সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে : গয়েশ্বর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে : গয়েশ্বর
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘নির্বাচন যতই বিলম্ব হবে, অন্তর্বর্তী সরকার ততই বিপদে পড়বে। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতাধর হয়েও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। জনগণের বিরুদ্ধে গেলে এ সরকারও বেশিদিন টিকবে না। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।

রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে।’

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া মঞ্চের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উত্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্তি বৃদ্ধিকরণ এবং দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা ৩১ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন করেছি।

অন্তর্বর্তী সরকার বোধ হয় তা পছন্দ করেনি। তাই তারা সংস্কার সংস্কার করছে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তাদের আন্দোলনের সঙ্গে আমরাও ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু তারা এখন বিএনপির সম্পর্কে যেসব কথা বলছে, তা অত্যন্ত আপত্তিজনক।

সম্প্রতি তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও কথা বলেছে। এতে সরকারের দায় আছে। কারণ সরকার তাদের বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। জনগণ যদি আপনাদের (এনসিপি) ভোট দেয় আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কথাবার্তা সংযত হয়ে বলতে হবে।

জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজ উল্ল্যাহ ইকবালের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহসভাপতি আবু তালেবের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ভিপি হারুন অর রশিদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) ভিপি মাহবুবুল হক নান্নু, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম।

মন্তব্য

ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব : রুহিন হোসেন

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব : রুহিন হোসেন
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থা ভালো করার জন্য অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। ভালোভাবে সংস্কারের মধ্য দিয়ে আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব।’

আজ বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রস্তাব গৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রস্তাব গৃহীত

 

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘ভালো সংস্কারের মধ্য দিয়ে নির্বাচন ডিসেম্বরে কেন তার আগেই বাংলাদেশে সম্ভব বলে আমরা মনে করি।

আমরা বলেছি, নির্বাচনব্যবস্থা ভালো করার জন্য অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। আমরা মনে করি, এর জন্য এই যে এত দিন সময় গেল, এটা কালক্ষেপণ হলো।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে বলছি, আগামীকাল থেকে ওই টিম রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করুক যে নির্বাচনব্যবস্থা কী করে সংস্কার করে ভালো নির্বাচন করা যায়, দুই মাসও সময় লাগবে না। অতএব নির্বাচন ভালো সংস্কার করে নির্বাচন ডিসেম্বরে কেন তার আগেই বাংলাদেশে সম্ভব।

মন্তব্য

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী : গোলাম পরওয়ার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী : গোলাম পরওয়ার

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘যারা বিদেশি প্রভুদের দাসত্বে লিপ্ত তারাই জামায়াতের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সব সময় ধারণ করে। আমাদের সংবিধানের ভূমিকাতে সেটা আমরা ঘোষণা দিয়ে বলেছি। ঐতিহাসিক স্বীকৃতি প্রদান করেছি।

বুধবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর অপ্রতিরোধ্য ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রা, জনপ্রিয়তা, গণজাগরণ প্রতিরোধ করতে সব সময় একটা শক্তি, একটা মহল, স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধকে জামায়াতে ইসলামীর বিপক্ষে দাঁড় করানোর একটা অপচেষ্টা করে থাকে। আওয়ামী লীগ এ কাজে সিদ্ধহস্ত। তারা বিদায় নিয়েছে।

আওয়ামী লীগ ছাড়াও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে আমরা যারা রাজপথে ছিলাম, সেই সংগ্রামী নেতাদের মধ্য থেকেও কিছু লোকের জামায়াত বিরোধিতার কথাগুলো, ভাষাগুলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ভাষার সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। কিন্তু তারা ভুলে যান স্বৈরাচারবিরোধী, ফ্যাসিবাদবিরোধী, ভোটাধিকারের আন্দোলনে তাদের সঙ্গে থাকলে, তখন বলে আমাদের সঙ্গী। না থাকলে বলে এরা জঙ্গি। সঙ্গে থাকলে আমাদের সব গুনাহ মাফ।
নাম বলতে চাই না, জনগণ তাদের চেনে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি প্রশ্ন এখনো নিষ্পত্তি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েকটি প্রশ্নের নিষ্পত্তি হয়নি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনারা দেশের মানুষের ওপর হামলে পড়ল, গুলি চালাল। ২৬ মার্চ সকালে শেখ মুজিব কি গ্রেপ্তার হলো, নাকি আত্মসমর্পণ করল তা নিয়ে ইতিহাসের বিতর্ক এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। রেসকোর্স ময়দানে ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা আপনি (শেখ মুজিব) দিয়ে দিয়েছেন।

৭ মার্চের পর কেন পাকিস্তানিদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন। জাতির কাছে সেই ইতিহাস এখনো অপ্রকাশিত।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনি যদি দেশের স্বাধীনতাই চাইবেন, তাহলে আবার মিটিংয়ে বসলেন কেন। জাতি বুঝতে পেরেছে, আলোচনা সমঝোতা করে আপনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্বাধীনতাই যদি চাইতেন, তাহলে পাকিস্তানি প্রেতাত্মা হায়েনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেন না। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো নেতা তার প্রতিপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে ধরা দেয়নি। লাখ লাখ মানুষকে গুলির মুখে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়নি।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন নিতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করেই নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় পূর্বের মতো বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ