টাঙ্গাইল

হাতে ভাজা মুড়ির কদর বাড়ছে

কাজল আর্য, টাঙ্গাইল
কাজল আর্য, টাঙ্গাইল
শেয়ার
হাতে ভাজা মুড়ির কদর বাড়ছে
লবণ-পানি দিয়ে হাতে ভেজে বিশুদ্ধ মুড়ি উৎপাদন করছেন এক নারী কারিগর। সম্প্রতি কালিহাতী উপজেলার দৌলতপুরে

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়ার মুড়ির চাহিদা দেশজুড়ে। পবিত্র রমজান মাসের ইফতারিতে রকমারি উপাদানের মধ্যে মুড়ি অত্যাবশ্যকীয়। মুড়ির চাহিদা সারা বছর থাকলেও রোজার সময় উৎপাদন এবং বিক্রি বহু গুণে বেড়ে যায়। ফলে মুড়ি ব্যবসায়ীরা বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন রমজান মাসের জন্য।

আবার অনেকে সিজনাল ব্যবসা হিসেবে এই মাসে মুড়ি উৎপাদন এবং বিক্রি করে থাকেন। বর্তমানে এখানকার মুড়ি তৈরির কারিগর ও ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুরসত নেই।

টাঙ্গাইলসহ দেশের আট জেলায় মুড়ি সরবরাহ হয়ে থাকে জেলার কালিহাতীর নারান্দিয়া থেকে। এখানকার উৎপাদিত মুড়ির সুনাম দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এখনো নারান্দিয়ার শতাধিক বাড়িতে হাতে মুড়ি ভাজা হয়। মেশিনের সাহায্যে মুড়ি উৎপাদন নতুন সংযোজন হলেও হাতে ভেজে মুড়ি তৈরি এবং বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে শতাধিক পরিবার।

একজন ব্যক্তি এক দিনে এক মণ থেকে দেড় মণ চালের মুড়ি ভাজতে পারে। প্রতি মণ চালে ২২ থেকে ২৩ কেজি মুড়ি হয়।

প্রতি কেজি মুড়ি পাইকারি ৯০-১০০ টাকা এবং খুচরা ১১০-১২০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। মূলত গ্রামের নারীরাই হাতে ভেজে গুণগত মানসম্মত মুড়ি তৈরি করে।

দৌলতপুর গ্রামের রাধা রানী মোদক কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা বংশ পরম্পরায় এই মুড়ি ভাজা ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমি ৩৭ বছর ধরে মুড়ি ভাজি। কিন্তু এখন সব কিছুর দাম বেশি।

পরিশ্রমের তুলনায় তেমনটা লাভ হয় না।

মুড়ির কারিগরসহ সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ টাকার হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদন এবং কেনাবেচা হয়। তবে পরিশ্রমের লাভ বেশির ভাগই চলে যায় মধ্যসস্বত্বভোগীদের পকেটে। রমজান মাসে দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা পিকআপ, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে বস্তাভর্তি মুড়ি কিনে টাঙ্গাইলের প্রত্যন্ত এলাকায় বিক্রি করেন। যাতায়াতব্যবস্থা ভালো থাকায় পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, বগুড়া, শেরপুর ও গাজীপুরে নারান্দিয়ার মুড়ি সরবরাহ হয়।

তবে প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদনকারীরা। মেশিনে মুড়ি ভাজতে সময় কম লাগে, কিন্তু তুলনামূলকভাবে লাভ বেশি। অন্যদিকে হাতে মুড়ি ভাজতে সময় বেশি লাগে, কিন্তু লাভ সামান্য। ফলে হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদনকারীরা দিন দিন এই কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় ধাবিত হচ্ছেন এবং অনেকেই চলে গেছেন।

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, টাঙ্গাইল তথা বাংলাদেশের মধ্যে মুড়ি উৎপাদনের অন্যতম স্থান কালিহাতীর নারান্দিয়া। এখানকার উৎপাদিত লাখ লাখ টাকার মুড়ি সারা দেশে সরবরাহ হচ্ছে। এটি একপ্রকার কুটিরশিল্প। মানুষের চাহিদা পূরণে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ প্রয়োজন। বিশেষ করে হাতে ভাজা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভূরুঙ্গামারীতে ২০০০ ইয়াবা জব্দ বিজিবির

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভূরুঙ্গামারীতে ২০০০ ইয়াবা জব্দ বিজিবির

ভূরুঙ্গামারীতে দুই হাজার পিস ইয়াবা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ বাশজানী গ্রামের আনন্দবাজার এলাকায় একদল মাদক কারবারিকে ধাওয়া করে এসব ইয়াবা জব্দ করেন বিজিবি সদস্যরা। বিজিবি জানিয়েছে, শনিবার বিকেলের দিকে দিয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের টহলকারী দল আনন্দবাজার এলাকায় সন্দেহজনক একটি মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা মোটরসাইকেল ও ইয়াবা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা দিয়াডাঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যান।

মন্তব্য

সাংবাদিকের ছেলেকে অজ্ঞান করে লুট

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
সাংবাদিকের ছেলেকে অজ্ঞান করে লুট

ধামরাই থানাসংলগ্ন কালের কণ্ঠের সাংবাদিকের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলেকে অজ্ঞান করে আসবাবপত্র তছনছ করে সোয়া দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ধামরাই থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার দুপুরে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী।

কালের কণ্ঠের ধামরাই প্রতিনিধি আবু হাসানের ছেলে মোহাম্মদ তানভির জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বোরকা পরা দুজন মহিলা, তাঁদের সঙ্গে বাচ্চা এক ছেলে ও ২০-২২ বছরের এক যুবক বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে প্রধান ফটকের ভেতরে ঢোকেন। এ সময় আকস্মিকভাবে পেছন থেকে তাঁর (তানভির) মুখে রুমাল চেপে ধরেন ওই যুবক। এরপর ওই যুবক অজ্ঞান হয়ে গেলে ভবনের ভেতরে ঢুকে পাঁচটি কক্ষের আলমারি, ওয়ার্ডরোব, শোকেস ও ট্রাঙ্কের তালা খুলে জিনিসপত্র তছনছ করে ওয়ার্ডরোবে থাকা সোয়া দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্য

অবাধে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
অবাধে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য। রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না সরকারি খাসজমিও। এতে ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।

সরেজমিনে উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, সুয়াবিল, রোসাংগিরী, জাফতনগর, নারায়ণহাট ও লেলাং ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই আঞ্চলিক সড়কগুলোতে ওভারলোড যানবাহনের ছোটাছুটি। রাতের আঁধারে সমতল কৃষি ও বনভূমি মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্যে পুকুর-খালে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাটি বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সিন্ডিকেট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কৃষিজমির উর্বর মাটি কাটছে। পাইন্দং ইউনিয়নের বাসিন্দা নিয়াজ মোরশেদ বলেন, রাতের আঁধারে অতিরিক্ত মাটি বোঝাই যানবাহনের চলাচলে রাস্তা ভেঙে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে হুমকির শিকার হতে হয় তাদের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। সুনির্দিষ্ট সংবাদ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

দুর্বৃত্তের বিষে পুড়ল বোরোক্ষেত

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
দুর্বৃত্তের বিষে পুড়ল বোরোক্ষেত

যশোরের কেশবপুরে দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দিয়েছে এক কৃষকের ৯৩ শতক জমির বোরো ধান। গত বুধবার রাতের আঁধারে ঘাস মারা ওষুধ দিয়ে বোরো ক্ষেতটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানিয়েছেন, ওই ক্ষেতের ধান কোনোভাবেই রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ঘটনা উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষক।

কৃষক বুলু সরদার বলেন, ওই ৯৩ শতক জমিতে প্রায় ৮০ মণ বোরো ধান উৎপাদন হতো। ধানে থোড় এসেছিল। কিন্তু এর আগেই দুর্বৃত্তরা ক্ষেতের ধান শেষ করে দিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করে ধানক্ষেতটি পুড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষেতের ধান আর রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওই ধানক্ষেতটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ