নিষেধাজ্ঞা না মেনেই মেঘনা নদীতে প্রতিযোগিতা করে লক্ষ্মীপুরের জেলেরা প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছেন। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মদদে জেলেরা নদীতে যাচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন লোক-দেখানো নিয়ম রক্ষার অভিযান পরিচালনা করায় ক্ষুব্ধ সচেতন লোকজন। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
রামগতির আলেকজান্ডার, কমলনগরের সাহেবেরহাটের চেয়ারম্যান বাজার, মতিরহাট, চরবংশীর পানিয়ালা, হাজীমারা, কুচিয়ামারা ও হাইমচরের জালিয়ারচর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা শুরুর পাঁচ-সাত দিন জেলেরা নদীতে যাননি। এর পর থেকে প্রতিদিন প্রতিযোগিতা করে জেলেরা দলবদ্ধভাবে নদীতে যাচ্ছেন। এসব মাছ চিহ্নিত ঘাটগুলোতে প্রকাশ্যে কেনাবেচা না হলেও বিকল্প স্থানে নিয়ে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হয়। মাছঘাটের দায়িত্ব থাকা স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতারা লোক দিয়ে পাহারায় পিকআপ ভ্যানযোগে মাছগুলো চালান করেন।
অভিযোগ রয়েছে, কমলনগরের পাটারিরহাট ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও পাটারিরহাট মাছঘাটের সভাপতি রাজ্জাক তালুকদার নদীর লুধুয়া থেকে পাটারিরহাট এলাকা এবং মাতাব্বরহাট থেকে মতিরহাট পর্যন্ত উপজেলা যুবদলের সদস্য মো. হেলাল নদীতে জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। হেলালের সঙ্গে আছেন মফিজ, আজাদ, মালেক মাঝি, সিরাজ মাঝি, শুক্কুর মাঝি, কবির মাঝি, আজাদ মাঝিসহ অনেকে।
আবদুর রাজ্জাক তালুকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মাছ ধরার সঙ্গে আমি জড়িত নই।’
যুবদল নেতা মো. হেলাল বলেন, ‘কোনো অপকর্মের সঙ্গে আমি জড়িত নই।
রাজ্জাক তালুকদার ও বেলাল মাঝি এসবের সঙ্গে জড়িত।’
কমলনগর কোস্ট গার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ জানায়, বিশাল এই নদী কারো একার পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘একদিকে অভিযানে গেলে অন্যদিকে জেলেরা নদীতে নামেন। সর্বশক্তি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাছান বলেন, নদীতে যাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য চাঁদপুরে ৪০ হাজার পাঁচজন জেলেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
৪০ কেজি করে তাঁরা চারবার এই চাল পাবেন।