<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে কঠিন এক যোদ্ধা শরীয়তপুরের পূর্ব ধানুকা এলাকার জায়েদা খাতুন (৩৭)। নিজের বলতে কিছুই নেই এই নারীর। পরিত্যক্ত একটি ফাঁকা জায়গায় টিন দিয়ে খুপরি বানিয়ে চার সদস্যের পরিবারসহ বসবাস করছেন। স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, তাই বাধ্য হয়ে চা বিক্রি করে পরিবারের হাল ধরার চেষ্টা করছেন। তবে বেচাকেনা খুবই কম হওয়ায় চোখে এখন শুধুই ধোঁয়াশা। তার এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে একটি সেলাই মেশিন। চা বিক্রির পাশাপাশি বাকি সময়টুকু দক্ষ হাতে কাজ করবেন সেলাইয়ের। আর এই মেশিনের চাকায় ঘুরে দাঁড়াবে তার সংসার।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জায়েদা খাতুন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার নিজের বলতে কিছুই নাই। থাকি অন্যের জায়গায়। স্বামী অনেক দিন ধরে ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন। ধার করে ছোট্ট একটা চায়ের দোকান দিছিলাম। ভালো জায়গা না হওয়ায় তেমন চলে না। বসুন্ধরা থেকে পাঁচ মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে একটা সেলাই মেশিন দিল। এখন চা বেচার পাশাপাশি সেলাই মেশিন চালিয়ে রোজগার করতে পারব। এতে আমার সংসারের বাচ্চাকাচ্চা নিয়া ডাইল-ভাত খেতে পারব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>