গোলরক্ষক আনিসুর রহমানের অনুপস্থিতিতে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে পোস্টের নিচে কঠিন সময় পার করছেন মেহেদী হাসান শ্রাবণ। এই তরুণকে এরই মধ্যে লেবাননের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জও সামলাতে হয়েছে। ভুল করেছেন, তবু চেষ্টা করে গেছেন। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই কথা বলেছেন কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়ে।
মুখোমুখি
ভুল করে শেখার ম্যাচ নয় এগুলো

কালের কণ্ঠ স্পোর্টস : ক্যারিয়ারের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় যাচ্ছে আপনার। এ পর্যন্ত কেমন অভিজ্ঞতা হলো?
মেহেদী হাসান শ্রাবণ : সব মিলিয়ে ভালোই বলব। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে এই সুযোগটা এসেছে। বসুন্ধরা কিংসে জিকো ভাইয়ের বদলে খেলার সুযোগ হলো।
প্রশ্ন : হুট করে দায়িত্ব চলে আসায় তা কতটা কঠিন ছিল?
মেহেদী : যে ম্যাচগুলো আমি খেলছি, এগুলো তো কোনো প্রীতি ম্যাচ না, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একেকটি ম্যাচ। অনেক চাপের ম্যাচ।
প্রশ্ন : তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচগুলোতে ভালোভাবেই বের হয়ে এসেছে দল, আপনার ভুলগুলো খুব বেশি বড় হয়ে ওঠেনি।
মেহেদী : ভুলটা খেলার অংশ। যত দ্রুত সম্ভব ভুলটা ভুলে গিয়ে আবার নতুন করে মানিয়ে নেওয়াটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আমি সেটাই চেষ্টা করেছি। দুটো ম্যাচেই আমি সেটা করতে পেরেছি বলে মনে হয়। একটা ভুলের পরে ওরকমভাবে আর কোনো বড় ভুল হয়নি। দলকে সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন : ভাবলে এখনো কোন ভুলটা বেশি পোড়ায়?
মেহেদী : আমার কাছে এ রকম কিছু মনে হয়নি যে আমার ভুলের কারণে দল খুব বেশি সমস্যায় পড়েছে। মনে হয়েছে আরেকটু ভালো হতে পারত বা সিদ্ধান্তটা আরো ভালো নিতে পারতাম।
প্রশ্ন : মাজিয়ার বিপক্ষে ওই পাস বাড়ানোয় কি আরেকটু আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন ছিল?
মেহেদী : না, আমি বরং অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে তাড়াতাড়ি পাসটা দিতে গিয়েছিলাম। আরেকটু সময় নেওয়া দরকার ছিল।
প্রশ্ন : এগুলো তো শিক্ষাও?
মেহেদী : সেটিই। ভুল না করলে তো শেখা যাবে না। আমার এখন শেখারই বয়স। তবে সমস্যা হলো ভুল করে শেখার ম্যাচ এগুলো না। ফ্রেন্ডলি ম্যাচ বা ক্লাবের ম্যাচ খেলতে খেলতে পরিণত হয়ে আসতে পারলে ভালো, যেটা জিকো ভাই পেরেছে। আমি তো হুট করেই এই পরিস্থিতিতে।
সম্পর্কিত খবর

টিভিতে

ক্রিকেট
আইপিএল, কলকাতা-বেঙ্গালুরু
সরাসরি, রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, ২ ও ৩
ফুটবল
বিশ্বকাপ বাছাই, ইউরোপিয়ান অঞ্চল
চেক প্রজাতন্ত্র-ফারো আইল্যান্ডস
সরাসরি, রাত ১-৪৫ মিনিট, টেন ৫
ওয়েলস-কাজাখস্তান
সরাসরি, রাত ১-৪৫ মিনিট, টেন ১
।
টি স্পোর্টস

ক্রিকেট
ডিপিএল
পারটেক্স-অগ্রণী ব্যাংক
সরাসরি, সকাল ৯টা
।
সার্চ কমিটিকে ‘আলটিমেটাম’

ক্রীড়া প্রতিবেদক : গত আগস্টে সার্চ কমিটি করা হলেও এখনো ফেডারেশনগুলোর অ্যাডহক কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। যা নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গত পরশু কমিটিকে আলটিমেটাম দিয়েছে ২০ এপ্রিলের মধ্যে সব কটি ফেডারেশনের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য।
যদিও সার্চ কমিটির জমা দেওয়া কমিটি প্রকাশ করা নিয়ে মন্ত্রণালয় এর মধ্যেই দীর্ঘসূত্রতা দেখিয়েছে। গত পরশু নতুন করে পাঁচটি ফেডারেশনের কমিটি ঘোষণা করা হলেও সার্চ কমিটির অন্যতম সদস্য মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদ বলেছেন, ‘এর মধ্যেও শ্যুটিং, বক্সিং ও উশুর কমিটি তারা (মন্ত্রণালয়) ঘোষণা করেনি।
যদিও যেসব ফেডারেশনে কমিটি হয়েছে, সেখানেও এনএসসির অর্থের পুরোটা এখনো পাওয়া যায়নি। দাবায় যেমন চার কিস্তির মাত্র একটি দেওয়া হয়েছে, হকিতেও অর্ধেক। তা ছাড়া নতুন কমিটি না হওয়া পর্যন্ত পুরনোদেরই কাজ চালিয়ে নেওয়ার কথা।

সবার শেষে জহির

ক্রীড়া প্রতিবেদক : নানজিংয়ে এশিয়ান ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে হতাশ করেছেন জহির রায়হান। ৪০০ মিটারে নিজের হিটে সবার শেষে দৌড় শেষ করেছেন তিনি। সময় নিয়েছেন ৪৯.৮৪ সেকেন্ড, যা তাঁর গত বছরের এশিয়ান ইনডোরের টাইমিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি। তেহরানে রুপা জয়ের পথে ৪৮.১০ সেকেন্ডে শেষ করেছিলেন এ স্প্রিন্টার।
নানজিংয়ে ভালো করতে না পারার পেছনে প্রস্তুতির অভাবকে দুষেছেন এই অ্যাথলেট, ‘বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের মতো আসরে অংশ নেব আমি, সেই অনুপাতে কি প্রস্তুতি নিতে পেরেছি আমি? বলতে গেলে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই তো এসেছি। আর্মি স্টেডিয়ামে সপ্তাহখানেক নিজের মতো অনুশীলন করেছি। এতে বিশ্ব আসরের প্রস্তুতি হয়? এই ট্র্যাকেই তো কোনো দিন দৌড়াইনি আমি। এর যে তীব্র বাঁক, সে বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না।
গত বছর তেহরানের সেই আসরের পর এ ধরনের ট্র্যাকে আর নামাই হয়নি জহিরের। নানজিংয়ে গেছেন তিনি একরকম অংশগ্রহণ করতেই।