পাকিস্তানের হাতে মুলতানের নাটাই

শেয়ার
পাকিস্তানের হাতে মুলতানের নাটাই

নোমান আলী ও সাজিদ খানের ঘূর্ণিজালে মুলতানে হাঁসফাঁস করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই দুই স্পিনার মিলে ৯ শিকার করলে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০৯ রান করে সব মিলিয়ে ২০২ রানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।

বোলারদের বদৌলতে দিনের শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছিল ক্যারিবীয়দের।

সউদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৭০ ছাড়ানো হাফসেঞ্চুরির পরও প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান। গতকাল শনিবার মাত্র ৪৩ রানে স্বাগতিকদের শেষ ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন জোমেল ওয়ারিকান-জেডেন সিলসরা। কিন্তু বোলারদের এই বর্ণিল সাফল্য ম্লান হয়ে গেছে ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায়। নোমান ও সাজিদের স্পিনে মাত্র ৬৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন স্কোরে আউটের শঙ্কায় পড়েছিল ক্যারিবীয়রা।
কিন্তু শেষ চার ব্যাটারের খানিকটা প্রতিরোধে ১০০ পেরোয় ক্যারিবীয়দের। নোমান ৫টি আর সাজিদ ৪ উইকেট নিয়ে ধস নামান সফরকারী ইনিংসে।

৯৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন শান মাসুদ ও মোহাম্মদ হুরাইরা। এরপর জোড়া আঘাতে হুরাইরা ও বাবর আজমকে ফেরান ওয়ারিকান।

হাফসেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক শান মাসুদের রান আউটের নেপথ্যেও ভূমিকা আছে তাঁর। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ওয়ারিকান ভালো একটা দিন কাটালেও পাকিস্তানের হাতেই মুলতান টেস্টের নাটাই। ক্রিকইনফো

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

টিভিতে

শেয়ার
টিভিতে

ক্রিকেট

ডিপিএল, রূপগঞ্জ-ব্রাদার্স

সরাসরি, সকাল ৯টা

আইপিএল, বেঙ্গালুরু-দিল্লি

সরাসরি, রাত ৮টা

অন্যান্য চ্যানেলে

ক্রিকেট

মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড

সরাসরি, সকাল ১০-৩০ মিনিট, টাফি

ফুটবল

ইউরোপা লিগ, কোয়ার্টার ফাইনাল

লিওঁ-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

সরাসরি, রাত ১টা, টেন ২

টটেনহাম-ফ্রাংকফুর্ট

সরাসরি, রাত ১টা, টেন ৩/৫

রেঞ্জার্স-অ্যাথলেতিক বিলবাও

সরাসরি, রাত ১টা, টেন ১

টেনিস

মন্তে কার্লো মাস্টার্স

সরাসরি, বিকেল ৩টা, সনি টেন ৫

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
মুখোমুখি

প্রতিটি ম্যাচই এখন ফাইনাল

শেয়ার
প্রতিটি ম্যাচই এখন ফাইনাল

ফেডারেশন কাপে প্রথম কোয়ালিফায়ার হেরে যাওয়ায় ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। লিগের বাকি ম্যাচগুলোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলের অধিনায়ক তপু বর্মণের কাছে মৌসুমের বাকি সব ম্যাচই এখন তাই ফাইনাল। সেসব নিয়েই কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি এই ডিফেন্ডার।

 

প্রশ্ন : কোয়ালিফায়ারে আবাহনীর কাছে হারের কারণ কী মনে করছেন?

তপু বর্মণ : পুরো ম্যাচেই আমরা আধিপত্য দেখিয়েছি। কিন্তু ৮৪ মিনিটে গিয়ে গোল হজম করি। ওরা একটা সুযোগ পেয়েই কাজে লাগিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হয়েছে।

১২০ মিনিট আমরা লড়াই করেছি। টাইব্রেকার তো ভাগ্যের খেলা, এখানে ভাগ্য সহায় ছিল না আমাদের। এখন আমাদের সামনে সুযোগ আছে। ১৫ তারিখে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে জিতে ফাইনালে যেতে চাই।

প্রশ্ন : আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুয়ান লেসকানো খেলতে পারেনি। তারিক কাজী ছিলেন না। এঁরা থাকলে কাজটা আরো সহজ হতো কি না?

তপু বর্মণ : অবশ্যই, ওরা থাকলে আমাদের শক্তি বেড়ে যেত। লেসকানো থাকলে খুব ভালো হতো। দলে একজন বিদেশি নাম্বার নাইন থাকলে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ সব সময় বাড়তি চিন্তায় থাকে এবং তাকে নিয়ে পরিকল্পনা করে।

এর ফলে দুই উইং কিছুটা হলেও জায়গা ফাঁকা পেয়ে যায়। ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, পরের ম্যাচেই মাঠে নামতে সে মুখিয়ে আছে।

প্রশ্ন : টানা বড় ম্যাচ খেলতে হচ্ছে আপনাদের। রিকভারির তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না। এটা কতটা প্রভাব ফেলছে?

তপু বর্মণ : এটা নিয়ে আমরা এরই মধ্যে আলোচনা করেছি। আবাহনীর বিপক্ষে যদি জিততে পারতাম তাহলে ১২ তারিখের ম্যাচের পর ১০ দিনের বিরতি পেতাম। কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে না। এখানে আমাদের ওপর চাপ বেড়ে গেল। কারণ আগামী শনিবার লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে খেলতে হবে। এরপর মঙ্গলবার আবার রহমতগঞ্জের সঙ্গে ম্যাচ। রিকভারির একটা ব্যাপার আছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আমি সবাইকে বলেছি এই ম্যাচগুলোর জন্য প্রস্তুত হতে। ফেডারেশন কাপে রহমতগঞ্জ ম্যাচ এবং লিগের বাকি আট ম্যাচই আমাদের জন্য ফাইনাল। আবাহনীর বিপক্ষে দলের সবাই যেভাবে চেষ্টা করেছে, তাতে আমি খুশি। জিততে পারলে আরো ভালো লাগত।

প্রশ্ন : দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রহমতগঞ্জ কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে?

তপু বর্মণ : চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। দুই দলেরই সুযোগ সমান থাকবে এই ম্যাচে। ওরা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং দল, এর আগেও ওরা আমাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। এই ম্যাচ যেহেতু কিংস অ্যারেনায়, এটা আমাদের কিছুটা হলেও সুবিধা দেবে। আমরাও ঘরের মাঠের সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।

 

মন্তব্য

পারিশ্রমিক নিয়ে পাল্টাপাল্টি

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেয়ার
পারিশ্রমিক নিয়ে পাল্টাপাল্টি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও (ডিপিএল) অনুশীলন বয়কটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল পারিশ্রমিক বকেয়ার অভিযোগ এনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীনের কাছে চিঠি দিয়েছেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা। এরপর খেলোয়াড়দের বিপক্ষে পাল্টা অভিযোগ করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

গতকাল অনুশীলন বয়কট নিয়ে পারটেক্সের অলরাউন্ডার  মোক্তার আলী বলেন, পারিশ্রমিকের সমস্যাটা এক দিনের নয়।

অনেক দিন ধরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ক্লাব কোনো সাড়া দিচ্ছে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজ (গতকাল) যেমন অনুশীলন বয়কট করলাম, কালকের (আজ) ম্যাচও খেলব না। এবার সবার পারিশ্রমিক খুবই অল্প। সেই টাকাও আমরা পাচ্ছি না।
তাই এমন সিদ্ধান্ত।

এমন অভিযোগের পর ক্লাব সেক্রেটারি সাজ্জাদ হোসেনের দাবি, আমরা ৬০ শতাংশ টাকা দিয়ে দিয়েছি। আমি বলেছি, আগামীকাল (আজ) তোমাদের আরো ১০ শতাংশ টাকা দেব, ৩০ এপ্রিল ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ৮০ শতাংশ টাকা পেয়ে যাবে। লিগ শেষ হলে বাকি ২০ শতাংশ টাকা পাবে।

তবু ওরা ম্যাচ না খেলার হুমকি দিয়েছে বলে শুনেছি।

তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে এমন কোনো বার্তা পাননি বলে দাবি করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জয়রাজ শেখ। টাকা চাইতে গেলে উল্টো ক্লাব কর্তৃপক্ষের থেকে হুমকি পাচ্ছেন বলেও জানালেন তিনি। এমন অভিযোগে উল্টো দলের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে দায়ী করলেন সাজ্জাদ। এমনকি অনুশীলন বয়কটের জন্য মোক্তারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি, দু-একজন ক্রিকেটার আছে, যারা দলের মধ্যে এই সমস্যাগুলো তৈরি করছে।

মোক্তার আমাদের না বলে ভারতে (এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ) খেলতে চলে গেল। এই ঘটনার জন্য আমরা ওকে শাস্তি হিসেবে কোনো ম্যাচ খেলাচ্ছি না। দলের বাইরে রাখা হয়েছে বলে সে এগুলো করছে। এমন অভিযোগের পর মোক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে জয়রাজ বলেছেন, আমরা বকেয়া পারিশ্রমিক চাচ্ছি, এ জন্য এখন এসব কথা বলা হচ্ছে।

লিগে ৯ ম্যাচে মাত্র ২ জয়ে রেলিগেশনের শঙ্কায় আছে পারটেক্স। এমন সময় পারিশ্রমিক ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছেন ক্রিকেটাররা। একই দিনে খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক ক্রিকেট খেলার গুরুতর অভিযোগ এনেছেন প্রধান কোচ আনোয়ারুল মোস্তাকিম। তবে জানা গেছে, পারিশ্রমিক বিতর্কের মধ্যে গতকাল তিন-চারজন খেলোয়াড়কে নতুন করে দলে নিয়েছে পারটেক্স। আজকের ম্যাচও খেলবেন তাঁরা।

 

মন্তব্য

আরো উন্নতির খোঁজে মমিনুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেয়ার
আরো উন্নতির খোঁজে মমিনুল

প্রথম দুটির তুলনায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বশেষ চক্রে সাফল্য বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই চক্র মিলিয়ে জয় ছিল একটি। গত চক্রে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারটিতে। তবু দল হিসেবে খুব বেশি উন্নতি চোখে পড়ছে না অভিজ্ঞ মমিনুল হকের।

এর পেছনে কারণ হিসেবে মমিনুলের ব্যাখ্যা, আমার কাছে মনে হয় না, আমরা খুব ভালো টেস্ট খেলেছি। আপনাদের নির্দিষ্ট কারো কাছে মনে হতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি হতাম দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের আরো উন্নতির খোঁজে মমিনুলমাটিতে সিরিজটা যদি আমরা জিততে পারতাম। তাহলে হয়তো বলতে পারতাম, পুরো চক্রটা আমাদের ভালো গেছে।

দল হিসেবে উন্নতি না দেখলেও মমিনুল বোলারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন, দশ টেস্ট খেলে আমরা চারটা জিতেছি। অন্তত আরো দুইটা ম্যাচ জিতলে আমাদের র‌্যাংকিং আরো ওপরে থাকত। আগের চক্রে আমরা ৮ নম্বরে ছিলাম (আসলে ৯ নম্বরে), এবারও ৮ নম্বরে ছিলাম (আসলে ৭ নম্বরে)। আমার কাছে মনে হয় না, আমরা খুব বেশি উন্নতি করেছি।
আমাদের বোলিংটা উন্নতি করেছে। এটাই উন্নতির জায়গা।

টেস্টে আরো বেশি ভালো করতে না পারার পেছনে ব্যাটিংয়ের দুর্দশাই বেশি ভোগাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। মমিনুল জানিয়েছেন, ব্যাটাররা উন্নতির চেষ্টা করছে। তাঁর কথা, সবাই চেষ্টা করছে জিনিসটা উন্নতি করার জন্য।

যেহেতু আমাদের পেস বোলিং উন্নত হয়েছে, আমরা জানি একটু ভালো স্কোর করতে পারলে আমাদের ম্যাচ জেতা সহজ হয়ে যায়। আমার মনে হয় এটা আপনারা পাকিস্তানেও দেখেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজেও দেখেছেন। আমাদের নিজেদের মধ্যে কথা হচ্ছে, চেষ্টা করছি, প্রস্তুতি ভালো।

নতুন আরেকটি চক্র শুরু হওয়ার অপেক্ষায়। তার আগে চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দুটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবু সেরা দলই ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সেই দল নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতার ছক কষার কথা উঠে এসেছে মমিনুলের কণ্ঠে, অবশ্যই ম্যাচ জেতা, সিরিজ জেতাএগুলোই আমাদের লক্ষ্য থাকবে। আপনি যে দেশের সঙ্গেই খেলেন, ভালো বা খারাপ দল হোকযখনই খেলবেন তখন লক্ষ্য থাকতে হবে। এখানে আপনার ম্যাচ ড্র, সত্যি কথা বলতে ওই দিনগুলো এখন আর নাই। ওই মানসিকতা এখন আর নাই।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ