ফেডারেশন কাপে প্রথম কোয়ালিফায়ার হেরে যাওয়ায় ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। লিগের বাকি ম্যাচগুলোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলের অধিনায়ক তপু বর্মণের কাছে মৌসুমের বাকি সব ম্যাচই এখন তাই ফাইনাল। সেসব নিয়েই কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি এই ডিফেন্ডার।
প্রশ্ন : কোয়ালিফায়ারে আবাহনীর কাছে হারের কারণ কী মনে করছেন?
তপু বর্মণ : পুরো ম্যাচেই আমরা আধিপত্য দেখিয়েছি। কিন্তু ৮৪ মিনিটে গিয়ে গোল হজম করি। ওরা একটা সুযোগ পেয়েই কাজে লাগিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হয়েছে।
১২০ মিনিট আমরা লড়াই করেছি। টাইব্রেকার তো ভাগ্যের খেলা, এখানে ভাগ্য সহায় ছিল না আমাদের। এখন আমাদের সামনে সুযোগ আছে। ১৫ তারিখে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে জিতে ফাইনালে যেতে চাই।
প্রশ্ন : আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুয়ান লেসকানো খেলতে পারেনি। তারিক কাজী ছিলেন না। এঁরা থাকলে কাজটা আরো সহজ হতো কি না?
তপু বর্মণ : অবশ্যই, ওরা থাকলে আমাদের শক্তি বেড়ে যেত। লেসকানো থাকলে খুব ভালো হতো। দলে একজন বিদেশি নাম্বার নাইন থাকলে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ সব সময় বাড়তি চিন্তায় থাকে এবং তাকে নিয়ে পরিকল্পনা করে।
এর ফলে দুই উইং কিছুটা হলেও জায়গা ফাঁকা পেয়ে যায়। ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, পরের ম্যাচেই মাঠে নামতে সে মুখিয়ে আছে।
প্রশ্ন : টানা বড় ম্যাচ খেলতে হচ্ছে আপনাদের। রিকভারির তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না। এটা কতটা প্রভাব ফেলছে?
তপু বর্মণ : এটা নিয়ে আমরা এরই মধ্যে আলোচনা করেছি। আবাহনীর বিপক্ষে যদি জিততে পারতাম তাহলে ১২ তারিখের ম্যাচের পর ১০ দিনের বিরতি পেতাম। কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে না। এখানে আমাদের ওপর চাপ বেড়ে গেল। কারণ আগামী শনিবার লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে খেলতে হবে। এরপর মঙ্গলবার আবার রহমতগঞ্জের সঙ্গে ম্যাচ। রিকভারির একটা ব্যাপার আছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আমি সবাইকে বলেছি এই ম্যাচগুলোর জন্য প্রস্তুত হতে। ফেডারেশন কাপে রহমতগঞ্জ ম্যাচ এবং লিগের বাকি আট ম্যাচই আমাদের জন্য ফাইনাল। আবাহনীর বিপক্ষে দলের সবাই যেভাবে চেষ্টা করেছে, তাতে আমি খুশি। জিততে পারলে আরো ভালো লাগত।
প্রশ্ন : দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রহমতগঞ্জ কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে?
তপু বর্মণ : চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। দুই দলেরই সুযোগ সমান থাকবে এই ম্যাচে। ওরা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং দল, এর আগেও ওরা আমাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। এই ম্যাচ যেহেতু কিংস অ্যারেনায়, এটা আমাদের কিছুটা হলেও সুবিধা দেবে। আমরাও ঘরের মাঠের সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।