জয় থেকে তখনো ৫১ রান দূরে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। হাতে মাত্র দুই উইকেট। এই অবস্থা থেকে জয়ই দেখতে পাচ্ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। অথচ সেখান থেকে কিনা ম্যাচটিই হেরে বসে তারা! হারতে থাকা ম্যাচে গুলশানকে মনে রাখার মতো এক জয় এনে দেওয়ার কৃতিত্ব ফরহাদ রেজা ও মেহেদী হাসানের।
দুজনই পেসার। তবে ব্যাটিংয়ের হাত মন্দ নয় অভিজ্ঞ ফরহাদের। এদিক থেকে গুলশানের দুই উইকেটের জয়ে তাঁর সঙ্গী মেহেদীর ব্যাটিংটা একদমই ‘বোনাস’ ছিল দলের জন্য। দুজনের ম্যাচ জেতানো অবিচ্ছিন্ন জুটি ৫৪ রানের।
৩৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ফরহাদ। সমান চার-ছক্কায় মেহেদী অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ৩২ রান করে। এদিন আগে ব্যাটিং করে ওপেনার বিশাল চৌধুরির ৮৩ ও আইচ মোল্লার ৬৫ রানের ইনিংসে ২৯০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ব্রাদার্স। ৯ বল বাকি থাকতে লক্ষ্য তাড়া করে গুলশান।
গুলশানের মতো দারুণ এক জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবও। আগে ব্যাটিং করে পারটেক্স ক্রিকেট ক্লাব ২২৩ রানে অলআউট হয়ে গেলেও লক্ষ্য তাড়া করতে তালগোল পাকায় রূপগঞ্জ। দলটির ইনিংসের শেষ বলে পাওয়া জয়ের কারিগর ওপেনার আবদুল মজিদ। ১২৩ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। আরেক ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৪৬ রানের জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ব্রাদার্স ইউনিয়ন-গুলশান ক্রিকেট ক্লাব : ব্রাদার্স ইউনিয়ন : ৫০ ওভারে ২৯০/৯ (বিশাল চৌধুরি ৮৩,
আইচ মোল্লা ৬৫, মিজানুর ৫০; নিহাদুজ্জামান ৩/৪০, আসাদুজ্জামান ৩/৬২)।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব : ৪৮.৩ ওভারে ২৯৪/৮ (মোহাম্মদ ইলিয়াস ৫৩, নাঈম ৫০, ফরহাদ ৪৭*;
সোহাগ গাজী ৪/৪৪, শফিউল ২/৬৬)।
ফল : গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ফরহাদ রেজা।
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব-রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব : পারটেক্স : ৪৯.৫ ওভারে ২২৩ (জয়রাজ ৫৪,
রুবেল মিয়া ৫২; মাহমুদুল ৩/৪৬, আল-আমিন জুনিয়র ৩/১৭)।
রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব : ৫০ ওভারে ২২৫/৬ (আবদুল মজিদ ১০০*, আসাদুল্লাহ গালিব
৫০; আহরার ২/৩২)।
ফল : রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : আবদুল মজিদ।
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব-শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব : অগ্রণী ব্যাংক : ৫০ ওভারে ২৯৪/৭ (ইমরুল
৮৬, সাদমান ৫৩, অমিত ৪১; রাফসান ২/৪৯, মোহাম্মদ ওয়ালিদ ২/৬২)।
শাইনপুকুর : ৫০ ওভারে ২৪৮/৫ (রাফসান ১০৬*, মিনহাজুল ৫১*; নাঈম ২/৩৪, আরিফ ২/৪১)।
ফল : অগ্রণী ব্যাংক ৪৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ইমরুল কায়েস।